1. info@www.khulnarkhobor.com : khulnarkhobor :
বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:১৯ পূর্বাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি/বিজ্ঞাপন
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com    বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৪৭,আপার যশোর রোড (সঙ্গীতা হোটেল ভবন) নীচতলা,খুলনা-৯১০০।ফোন:০১৭১০-২৪০৭৮৫,০১৭২১-৪২৮১৩৫। মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
খুলনার খবর
খুলনায় বিএনপির সমাবেশ যেন জনসমুদ্র পাইকগাছায় বিএনপি’র নেতার স্ত্রী’র জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন লোহাগড়ায় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীসহ ১০২ জনের নামে মামলা বাগেরহাটে চাঞ্চল্যকর শিক্ষক হত্যার প্রধান আসামী গ্রেফতার নওগাঁর মান্দায় সাত দিনেরও বেশি সময় ধরে অবরুদ্ধ কয়েকটি পরিবার ‘ছাত্র আন্দোলনের সাবেক জনশক্তিদের নিয়ে ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ জামায়াতের প্রীতি সমাবেশ’ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের ওয়ার্ড সভাপতি-সেক্রেটারী সম্মেলন অনুষ্ঠিত শার্শায় পাষন্ড পিতার হাতে হাফেজ পুত্রের করুণ মৃত্যু লোহাগড়ায় পবিত্র ঈদ-এ-মিলাদুন্নবী (স.)পালিত শার্শায় ভাবগম্ভীর্যোর সাথে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) ঈদ ই মিলাদুন্নবী উদযাপন কয়রায় যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার মাইকেল মধুসূদন স্মৃতি বিজড়িত বহু পুরাতন কাঠবাদাম গাছটি ঝড়ে উপড়ে পড়েছে পাইকগাছায় উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সাঃ) পালিত পাইকগাছায় অতিবৃষ্টির সুযোগে পরিকল্পিতভাবে জোয়ারের পানি তুলে প্লাবিত করছে পৌরসভাসহ বিভিন্ন এলাকা বন্যার্তদের সহযোগিতায় কানাডিয়ান সংগঠন কেশবপুরে পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী উদযাপিত নিরালা সিনিয়র সিটিজেনদের আয়োজনে ঈদ-এ-মিলাদুন্নবী পালন আজ পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) সাংবাদিক মোঃ সাইফুল্লাহ তারেকের বড় মামার ইন্তেকাল পাইকগাছা উপজেলার বানভাসি মানুষের পাশে দাঁড়াল মুস্তাফিজ ফাউন্ডেশন

আদম্য ফাতেমা-জোহরা’র লেখাপড়া কি মাঝ পথেই থেমে যাবে

  • প্রকাশিত : বুধবার, ৪ অক্টোবর, ২০২৩
  • ১৪০ বার শেয়ার হয়েছে

অতনু চৌধুরী(রাজু)বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধি || হতদরিদ্র পরিবারের দুই জমজ বোন এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ (এ প্লাস) পেয়ে শেখ হেলাল উদ্দীন সরকারি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছে। হতদরিদ্র এ পরিবারটির দিনমজুর বাবা এখন বিছানায় পক্ষাঘাতগ্রস্থ, মা সেলাইয়ের কাজ করেন।একমাত্র ছোট ভাই পাঁচ বছর বয়স থেকেই ডায়াবেটিক্সে আক্রান্ত। টাকার অভাবে নিয়মিত চিকিৎসা করাতে না পারায় এখন শারীরিক সমস্যার সাথে অনেকটা মানসিকভাবে ভারসম্যহীন। জীর্ন কুটিরে বসবাস করা এমন একটা প্রান্তিক পরিবার থেকে উঠে এসেছে ফাতেমা ও জোহরা। স্বপ্ন বড় হয়ে চাটার্ড একাউটেন্ট হবে। সমাজে মাথা উঁচু করে দাড়াবে। কিন্তু সে স্বপ্নে এখন বাঁধ সেধেছে চরম দারিদ্রতা।

বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১৩ কিলোমিটার দুরে শুভদিয়া ইউনিয়নের দুর্গম কচুয়া গ্রামের জিল্লুর রহমান তালুকদারেরব জমজ মেয়ে ফাতেমা খাতুন ও জোহরা খাতুন। অভাবের কারণে দু’বোন অন্যের বাসায় প্রাইভেট পড়িয়ে যে সামান্য উপর্জন করে তার সাথে মায়ের সেলাইয়ের টাকা দিয়ে কোন মতে সংসার চলে। ধারকর্য ও শিক্ষকদের সহযোগিতায় এসএসসি পরীক্ষায় ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে দু’বোন জিপিএ-৫ পেয়েছে। দু বেলা ঠিকমতো খাবার খরচ চালানো যাদের জন্য দুরুহ, তাদের জন্য উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার খরচ চালানো ও গ্রাম থেকে প্রায় ৪/৫ কিলোমিটার দুরের কলেজে নিয়মিত ক্লাস করার খরচ চালানো প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ছে। মেয়েদের লেখাপড়া বন্ধের উপক্রম দেখে হতাশ হয়ে পড়েছেন মা মাসুদা বেগম। মা বাবার স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখতে ভোর থেকেই গ্রামে বাড়ি বাড়ি ঘুরে প্রাইভেট পড়ান দু’বোন। বাড়ি ফিরে মাকে সাহায্য, বাবা ও ভাইকে সেবাযত্নের পর গভীর রাত পর্যন্ত জেগে লেখাপড়া করেন তারা। এভাবেই নিজেদের সংগ্রামের কথা বলছিলেন আদম্য ফাতেমা ও জোহরা।

ফাতেমা ও জোহরার বাবা পক্ষাঘাতগ্রস্থ দিনমজুর জিল্লুর রহমান ভাঙ্গা ভাঙ্গা কন্ঠে বলেন,বাড়ির জায়গাটুকু ছাড়া আমার কিছুই নেই। পুরাতন এই ছোট্ট একটি ঘরে পরিবারের পাঁচ সদস্যের বসবাস। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলাম আমি। দিনমজুরের কাজ করতাম। প্যারালাইসিস হওয়ায় এখন আর কাজ করতে পারি না। মেয়ে দুইটা নিজের চেষ্টায় যতদুর পারছে লেখাপড়া করেছে। এখন কারো সহযোাগীতা না পেলে ওদের লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যাবে।

কান্নাজড়িত কন্ঠে মাসুদা বেগম জানান,গরীব হলেও তার মেয়ে দু’টি লেখাপড়া শিখে মানুষ হতে চায়। ধারকর্যকরে কলেজে ভর্তি করিয়েছিলেন। কিন্তু এখন কলেজে পড়ানোর মতো আর্থিক অবস্থা তাদের না থাকায় পড়াশোনা বন্ধের পথে।

শেখ হেলাল উদ্দীন সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ বটু গোপাল দাস বলেন, ফাতেমা ও জোহরা অত্যান্ত মেধাবী শিক্ষার্থী। লেখাপড়ার প্রতি তাদের খুব আগ্রহ। আমি ব্যক্তিগতভাবে যতটুকু পারি সহায়তা করার চেষ্টা করি।পরিবারটির আর্থিক অবস্থা খুবই খারাপ। সমাজের বৃত্তবানদের সহযোগিতা পেলে মেয়ে দুটি লেখাপড়া চালিয়ে যেতে পারবে। লেখাপড়ার সুযোগ ও সহযোগিতা পেলে মেয়ে দুটি বড় হয়ে সমাজের মুখ উজ্জ্বল করবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’ফাতেমা ও জোহরা কি সত্যিই তাদের স্বপ্ন পূরণ করতে পারবে,নাকি অভাবের কারণে মাঝ পথেই থেমে যাবে।

শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

youtube

https://youtube.com/@khulnarkhobor?si=v3cvg3zJmM54JYRa

Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:-  ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।