1. info@www.khulnarkhobor.com : khulnarkhobor :
বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:৩৩ অপরাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি/বিজ্ঞাপন
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com    বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৪৭,আপার যশোর রোড (সঙ্গীতা হোটেল ভবন) নীচতলা,খুলনা-৯১০০।ফোন:০১৭১০-২৪০৭৮৫,০১৭২১-৪২৮১৩৫। মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
খুলনার খবর
৬ দিন পর খোঁজ মিলেছে নিখোঁজ কদরুল হাসানের দিঘলিয়ায় মাদ্রাসা ছাত্রকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ শিক্ষকের বিরুদ্ধে কেশবপুরের মঙ্গলকোট ইউনিয়নে বিএনপির নতুন কমিটি গঠন; মুস্তাক সভাপতি-ইউসুফ সাঃ সম্পাদক কেশবপুর নিউজ ক্লাবের মাসিক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত আগামী ১৩ই সেপ্টেম্বর দৌলতপুরে ইসলামী আন্দোলন এর গণসমাবেশ কয়রার খান সাহেব কোমরউদ্দিন কলেজের অধ্যক্ষ আত্মগোপনে খুলনায় প্রশাসনকে সর্বত্র ঢেলে সাজিয়ে নাগরিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে- খুলনা ইসলামী আন্দোলন বাগেরহাটে এক স্কুল ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার মোংলায় বাজার মনিটরিং ও ৫৩’হাজার টাকা অর্থদন্ড বাগেরহাটে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত-১ এমদাদ উল বারী বিটিআরসির নতুন চেয়ারম্যান নওগাঁয় মানববন্ধনে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ, চেয়ারম্যানের নিন্দা ও প্রতিবাদ শাপলার বহু গুণ; ঔষধিগুণে ভরপুর শাপলা খুলনায় নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে তিন শ্রমিকের মৃত্যু বাংলাদেশে চাহিদা মেটাতে ভারত থেকে ডিম আমদানি নড়াইলে নতুন পুলিশ সুপার হিসাবে কাজী এহসানুল কবীরের যোগদান সর্বত্র কল্যাণরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য পূর্ন প্রস্তুতি নিতে হবে- মাওঃ আব্দুল আউয়াল নড়াইলে মোটরসাইকেল দূর্ঘটনায় কলেজ ছাত্র নিহত ১২ বছর পর ফিরে পেলো কেশবপুরে শহীদ জিয়া ছাত্রাবাসের নাম পলিথিন বন্ধে বিশেষ অভিযান ১অক্টোবর; নিষিদ্ধ হচ্ছে পলিথিন ব্যাগ

গ্রীষ্মের বিদায় আসছে শীত, রস সংগ্রহে ব্যস্ত গাছি

  • প্রকাশিত : মঙ্গলবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২৩
  • ৩৪৬ বার শেয়ার হয়েছে

শেখ খায়রুল ইসলাম,পাইকগাছা প্রতিনিধি || গ্রীষ্মকে বিদায় জানিয়ে শীত আসছে।শুরু হয়েছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যের প্রতীক খেজুর গাছ তোলার কাজ।সারা দেশের ন্যায় তাই যেন দক্ষিণ জনপদের পাইকগাছা এলাকার গাছিরাও বসে নেই,তারা প্রতিটি মুহূর্ত রস সংগ্রহের কাজে ব্যাস্ত রয়েছেন।

পাইকগাছা এলাকা বর্তমানে মাছে সমৃদ্ধশালী।ফসলী জমির সিংহভাগ এখন মাছ চাষীদের দখলে।এক সময় এলাকায় লক্ষ লক্ষ খেজুর গাছ থাকলেও আজ তার সংখ্যা অনেকটা কম,তার পরেও যে একেবারে কম তা ঠিক নয়।যে গাছগুলো রয়েছে সেগুলোর পরিচর্যা করতেই যেন হিমশিম খাচ্ছেন গাছিরা।যারা গাছ কাটে তাদের বলা হয় গাছি।খেজুর গাছের অগ্রভাগের একটি নির্দিষ্ট অংশ চিরে বিশেষ ব্যবস্থায় ছোট কলসি (ভাড়/ঠিলে) বাঁধা হয়।ফোঁটায় ফোঁটায় রসে পূর্ণ হয় সে কলসি।তাই খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহে গাছ তোলা কাটাসহ বিভিন্ন রকমের পরিচর্যায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন গাছিরা।ছোট বড় বিভিন্ন রকমের খেজুর গাছে অত্যান্ত ঝুঁকি নিয়েই তোলা কাটা করতে হয়। কোমরে মোটা রশি বেঁধে গাছে ঝুলে গাছ তোলার কাজ করতে হয়।খেজুর গাছের চাহিদাটা ইট ভাটায় বেশী ও ফসলী জমির একটা মোটাংশ লীজ ঘের হওয়ায় বর্তমানে খেজুর গাছের সংখ্যা অনেকাংশে কম।তাই যেন খেজুর গাছে বিলুপ্তির সুর বাজছে। তাই আগের মতো মাঠও নেই,নেই সারি সারি এই খেজুর গাছও। তারপরও গ্রামের মাঠে আর গ্রাম্য মেঠো পথের ধারে কতক গাছ দাঁড়িয়ে আছে কালের স্বাক্ষী হয়ে।

অনুসন্ধানে দেখা যায়,আমাদের গ্রাম বাংলায় অতীতে খেজুর রসের যে সুখ্যাতি ছিল তা ক্রমেই কমে যাচ্ছে।খেজুরের রস শীতের সকালে বসে মুড়ি মিশিয়ে গ্লাস ভরে খেতে বেশ মজা লাগে।সন্ধ্যা রস আরো মজাদার।বেশ লোভণীয় নলেন পাটালি ও গুড়।খেজুর গুড় বাঙালীর সংস্কৃতির একটা অঙ্গ।ক’দিন পরেই প্রতিটি ঘরে খেজুরের রস দিয়ে পিঠা পুলি পায়েস তৈরীর ধূম পড়বে।ঢেঁকি ঘরে চাল কুটার ধুম পড়ে যাবে,শোনা যাবে ঢেকির ঢক ঢক শব্দ।মুড়ি,চিড়া,পিঠা খাওয়া কৃষক পরিবার থেকে শুরু করে সবার বাছে বেশ প্রিয়।এসব আশা নিয়ে শীত মৌসুমে গাছ কাটার কাজে গাছিদের বেশ ব্যস্ত সময় পার হয়।দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের কয়েক হাজার গাছির সারা বছরের রুজিরুটির নির্ভর করে এ পেশার উপর।

পাইকগাছার বক্স গাছি জানান,শীত আসা মাত্রই আমরা খেজুর গাছ ছিলানোর জন্য সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত লেগেই আছি।পাঁচ মাস খেজুর গাছ কেটে রস সংগ্রহ করে তা জ্বালিয়ে গুড় বানিয়ে বাজারে বিক্রি করে বেশ আর্থিক সচ্ছলতা আসে আমাদের।খেজুর গাছ তোলার মৌসুম এলে তাদের মুখে ফুটে ওঠে হাসি। নিজেদের প্রয়োজনীয় খাবারের চাহিদা মিটিয়ে বাকিটা বিক্রি করে যে অর্থ পায় তা দিয়ে চলে পুরো বছর। এখনো শীত জেঁকে না বসলেও গাছিরা গাছ কাটার জন্য দা তৈরী, ঠুঙি,দড়ি ও মাটির কলস (ভাড়/ঠিলে) কেনার কাজ সেরে নিচ্ছেন।আগের মতো খেজুর গাছ আর নেই।এরপরও গাছিরা তাদের ঐতিহ্য ধরে রাখতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

youtube

https://youtube.com/@khulnarkhobor?si=v3cvg3zJmM54JYRa

Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:-  ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।