1. info@www.khulnarkhobor.com : khulnarkhobor :
মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ০৩:২১ পূর্বাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com    বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৪৭,আপার যশোর রোড (সঙ্গীতা হোটেল ভবন) ,খুলনা-৯১০০।ফোন:০১৭১০-২৪০৭৮৫,০১৭২১-৪২৮১৩৫। মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
খুলনার খবর
সাড়ে ৪ ঘন্টা পর খুলনার সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ শুরু খুলনায় ট্রেন-ট্রাক সংঘর্ষে নিহত ১,আহত ৮ রেল যোগাযোগ বন্ধ!  উদ্ধারকাজ  চলছে তেরখাদায় বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস-২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত খুলনা জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়কের বিরুদ্ধে অপপ্রচার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন মান্দায় পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী পালিত শার্শায় শিয়াল ধরতে বিদ্যুতের ফাঁদে এক বৃদ্ধার মৃত্যু ভিজিডির চাল ওজনে কম বিতরণ বন্ধ, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে দূর্নীতির অভিযোগ  দলীয় প্যাডে আ.লীগ নেতাদের প্রত্যয়নপত্র;লোহাগড়ায় দুই নেতার বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর নোটিশ গোপালগঞ্জে বাঁধার মুখে প্রিন্স মামুন; উদ্বোধন হলনা বিরিয়ানী হাউস “মান্দা উপজেলা সাংবাদিকের সম্মাননা স্বারক প্রদান “July women,s Day -2025” আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত স্বাদে-পুষ্টিতে সমৃদ্ধ এই জলজ উদ্ভিদ, দখল করছে ভোজন রসিকের মন বিএনপি কখনো ধর্মকে রাজনৈতিক হিসেবে ব্যবহার করে না, ধর্ম যার যার রাষ্ট্র সবার – তুহিন সাতক্ষীরায় জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন খুলনার অপহৃত খাদ্য পরিদর্শক সুশান্ত উদ্ধার এবং গ্রেফতার ২ যশোর ষষ্ঠীতলায় আশরাফুল ইসলাম বিপুল হত্যা: প্রধান আসামি বাপ্পি ও সহযোগী রাজীব র‍্যাবের হাতে আটক মোংলা-খুলনা মহাসড়কটি যেন মরণ ফাঁদ যশোরে ১১টি স্বর্ণের বারসহ তিন চোরা কারবারীকে আটক খুলনায় পুলিশ পরিচয়ে খাদ্য পরিদর্শক অপহরণের! সাড়ে ৫ ঘন্টার মধ্যে উদ্ধার প্লাস্টিক সামগ্রীর বিভিন্ন ব্যবহারিক জিনিসপত্রের ভিড়ে, বিলুপ্ত হচ্ছে দেশের চিরচেনা মৃৎশিল্প

গ্রীষ্মের বিদায় আসছে শীত, রস সংগ্রহে ব্যস্ত গাছি

  • প্রকাশিত : মঙ্গলবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২৩
  • ৪৩৯ বার শেয়ার হয়েছে

শেখ খায়রুল ইসলাম,পাইকগাছা প্রতিনিধি || গ্রীষ্মকে বিদায় জানিয়ে শীত আসছে।শুরু হয়েছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যের প্রতীক খেজুর গাছ তোলার কাজ।সারা দেশের ন্যায় তাই যেন দক্ষিণ জনপদের পাইকগাছা এলাকার গাছিরাও বসে নেই,তারা প্রতিটি মুহূর্ত রস সংগ্রহের কাজে ব্যাস্ত রয়েছেন।

পাইকগাছা এলাকা বর্তমানে মাছে সমৃদ্ধশালী।ফসলী জমির সিংহভাগ এখন মাছ চাষীদের দখলে।এক সময় এলাকায় লক্ষ লক্ষ খেজুর গাছ থাকলেও আজ তার সংখ্যা অনেকটা কম,তার পরেও যে একেবারে কম তা ঠিক নয়।যে গাছগুলো রয়েছে সেগুলোর পরিচর্যা করতেই যেন হিমশিম খাচ্ছেন গাছিরা।যারা গাছ কাটে তাদের বলা হয় গাছি।খেজুর গাছের অগ্রভাগের একটি নির্দিষ্ট অংশ চিরে বিশেষ ব্যবস্থায় ছোট কলসি (ভাড়/ঠিলে) বাঁধা হয়।ফোঁটায় ফোঁটায় রসে পূর্ণ হয় সে কলসি।তাই খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহে গাছ তোলা কাটাসহ বিভিন্ন রকমের পরিচর্যায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন গাছিরা।ছোট বড় বিভিন্ন রকমের খেজুর গাছে অত্যান্ত ঝুঁকি নিয়েই তোলা কাটা করতে হয়। কোমরে মোটা রশি বেঁধে গাছে ঝুলে গাছ তোলার কাজ করতে হয়।খেজুর গাছের চাহিদাটা ইট ভাটায় বেশী ও ফসলী জমির একটা মোটাংশ লীজ ঘের হওয়ায় বর্তমানে খেজুর গাছের সংখ্যা অনেকাংশে কম।তাই যেন খেজুর গাছে বিলুপ্তির সুর বাজছে। তাই আগের মতো মাঠও নেই,নেই সারি সারি এই খেজুর গাছও। তারপরও গ্রামের মাঠে আর গ্রাম্য মেঠো পথের ধারে কতক গাছ দাঁড়িয়ে আছে কালের স্বাক্ষী হয়ে।

অনুসন্ধানে দেখা যায়,আমাদের গ্রাম বাংলায় অতীতে খেজুর রসের যে সুখ্যাতি ছিল তা ক্রমেই কমে যাচ্ছে।খেজুরের রস শীতের সকালে বসে মুড়ি মিশিয়ে গ্লাস ভরে খেতে বেশ মজা লাগে।সন্ধ্যা রস আরো মজাদার।বেশ লোভণীয় নলেন পাটালি ও গুড়।খেজুর গুড় বাঙালীর সংস্কৃতির একটা অঙ্গ।ক’দিন পরেই প্রতিটি ঘরে খেজুরের রস দিয়ে পিঠা পুলি পায়েস তৈরীর ধূম পড়বে।ঢেঁকি ঘরে চাল কুটার ধুম পড়ে যাবে,শোনা যাবে ঢেকির ঢক ঢক শব্দ।মুড়ি,চিড়া,পিঠা খাওয়া কৃষক পরিবার থেকে শুরু করে সবার বাছে বেশ প্রিয়।এসব আশা নিয়ে শীত মৌসুমে গাছ কাটার কাজে গাছিদের বেশ ব্যস্ত সময় পার হয়।দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের কয়েক হাজার গাছির সারা বছরের রুজিরুটির নির্ভর করে এ পেশার উপর।

পাইকগাছার বক্স গাছি জানান,শীত আসা মাত্রই আমরা খেজুর গাছ ছিলানোর জন্য সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত লেগেই আছি।পাঁচ মাস খেজুর গাছ কেটে রস সংগ্রহ করে তা জ্বালিয়ে গুড় বানিয়ে বাজারে বিক্রি করে বেশ আর্থিক সচ্ছলতা আসে আমাদের।খেজুর গাছ তোলার মৌসুম এলে তাদের মুখে ফুটে ওঠে হাসি। নিজেদের প্রয়োজনীয় খাবারের চাহিদা মিটিয়ে বাকিটা বিক্রি করে যে অর্থ পায় তা দিয়ে চলে পুরো বছর। এখনো শীত জেঁকে না বসলেও গাছিরা গাছ কাটার জন্য দা তৈরী, ঠুঙি,দড়ি ও মাটির কলস (ভাড়/ঠিলে) কেনার কাজ সেরে নিচ্ছেন।আগের মতো খেজুর গাছ আর নেই।এরপরও গাছিরা তাদের ঐতিহ্য ধরে রাখতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:-  ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।