অতনু চৌধুরী(রাজু) বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধি || অর্থের অভাবে চিকিৎসা ও দু’বেলা-দু’মুঠো খেতে পারছে না মোংলা উপজেলার সুন্দরবন ইউনিয়নের ২’নং ওয়ার্ডে বুড়বুড়িয়া গ্রামের ৭০ বছর বয়সী জোসনা বিশ্বাস নামের এক দরিদ্র,উপায়হীন এক নারী।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,পরিবারের একমাত্র উপার্জন কারি ব্যক্তি ছিলেন জোসনা বিশ্বাস ।এরই মধ্যে দুই ছেলে ও চার মেয়ে’কে বিয়েও দিয়েছেন নিজের আয়ে। গত তিন বছর ধরে বার্ধক্য জনিত কারনে তার শরীরে বিভিন্ন রোগে বাসা বেঁধেছে।এরই মধ্যে মোংলার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাও করানো হয়েছে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি ছিলেন, অর্থ না থাকায় বাড়িতে আসতে বাধ্য হয় । অর্থের অভাবে ভালো উন্নত কোন চিকিৎসা ও দু’বেলা দু’মুঠো খেতে পারছেন না তিনি।বর্তমানে না খেয়ে বা অসুস্থ অবস্থায় একটি কুঁড়েঘরে বসবাস করছেন।
এ বিষয়ে দরিদ্র নিরুপায় জোসনা বিশ্বাসের মেয়ে কাকলী’র কাছে জানতে চাইলে তিনি খুলনার খবর’কে বলেন, আমার বিবাহ হয়ে গেছে আমার স্বামী অন্যের জমিতে কাজ করে কোনো রকম সংসার চালান। আমার কিছুই করার নাই বললেই চলে। হাতে খাটে – পেটে খায়, এমন অবস্থা আমাদের। মাঝে মধ্যে আমি আমার মা’কে দেখার জন্য যাই এবং আমার যতটুকু সম্ভব আমার মা’কে সাহায্য করি।
তিনি আরও বলেন, আমরা ছয় ভাই বোন, আমার বড় দুই ভাই তাদের জায়গা – জমি বিক্রয় করে দিয়ে কোথায় যেন চলে গেছে তাদের খোঁজখবর নেই। আমার বড় দুই বোনের অনেক দূরে বিবাহ হয়েছেন তাঁরাও মা’কে দেখতে আসেন না।আমার পরিবারটি একেবারেই গরিব-অসহায় এমন অবস্থায় আমার মার জন্য করার কিছু নাই।
এ বিষয়ে স্থানীয় এলাকাবাসীর কাছে জানতে চাইলে তারা খুলনার খবর’কে বলেন, জোসনা বিশ্বাস ছাড়া তার পরিবারে এখন কেউ না-ই বললেই চলে এবং তিনি গরিব-অসহায়। তার অর্থ সম্পদ কিছুই না-ই বললেই চলে। আমাদের কাছে প্রতিনিয়ত আসেন কিছু আর্থিক সাহায্যের জন্য। কিন্তু আমাদের করনীয় তেমন কিছু নেই। তাই এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে তার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’সহ বিভিন্ন মানবিক অঙ্গ – সংগঠনের নেতৃবৃন্দের কাছে জোসনা বিশ্বাসের জন্য সহযোগীতা কামনা করেন।
দরিদ্র, নিরুপায় জোসনা বিশ্বাস’কে সাহায্য পাঠানোর জন্য সরাসরি তার নিজস্ব ঠিকান গিয়ে তাকে সাহায্য দিতে পারেন বা নিচের নম্বরে যোগাযোগ করতে পারেন –
(পার্সোনাল) বিকাশ, +88019-856-40712