1. info@www.khulnarkhobor.com : khulnarkhobor :
বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ০৮:২৯ পূর্বাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com    বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৪৭,আপার যশোর রোড (সঙ্গীতা হোটেল ভবন) ,খুলনা-৯১০০।ফোন:০১৭১০-২৪০৭৮৫,০১৭২১-৪২৮১৩৫। মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
খুলনার খবর
নগরীতে মাদকের ব্যবহার উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে খুলনার স্ট্রিট ফুডের তালিকায় জনপ্রিয় ‘ ডিম ঘোটা’ তেরখাদায় ছাগলাদহ বুড়ো মায়ের গাছতলায় ৫৯ তম মহোৎসব ও মায়ের পূজা অনুষ্ঠিত যশোর ঝিকরগাছার গদখালীতে মহাসড়কের পাশে ফুল বেচাকেনায় নিষেধাজ্ঞা সকল প্রকার রাজনৈতিক সমর্থন থেকে অব্যাহতি: ব্যক্তিগত ঘোষণাপত্রের লিগ্যাল নোটিশ খুলনায় ‘তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার’ সমাবেশ হবে তারুণ্যের মহামিলন বাজারে এলো ‘পারফরম্যান্স কিং’‘রিয়েলমি ১৪ ৫জি’ এবং ‘রিয়েলমি ১৪টি ৫জি’ কুয়েটের ৩৭ শিক্ষার্থীকে শোকজ, প্রতিবাদে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করায় দাকোপ উপজেলা ও চালনা পৌরসভা বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত, ২ নেতা বহিষ্কার যশোরের হামিদপুর অটো ভ্যান বিতরণ ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার মতো দেশকে অন্যের কব্জায় তুলে দেয় এমন কাউকে আগামীতে ক্ষমতায় আনা যাবে না – নার্গিস বেগম কুয়েটের ৩৭ শিক্ষাথীকে শো-কজ : ক্লাশে ফিরেননি শিক্ষকরা খুলনায় ডাকাতিয়া খাল ইজারা নিয়ে বিএনপির ২ গ্রুপের সংঘর্ষ, পুলিশসহ আহত ৫ ! থানায় মামলা নিবন্ধন ফিরে পেতে জামায়াতের আপিল শুনানি ফের বুধবার সেবিকা হচ্ছে সমাজ বিনির্মাণের একটি মহান পেশা : এড. মনা ৬৮ বছরেও পূর্ণতা পায়নি তেরখাদার শ্রীপুর মধুসূদন মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি এনবিআর বিলুপ্ত, রাজস্ব নীতি ও ব্যবস্থাপনায় দুটি নতুন বিভাগ গঠন তদন্তকে ‘স্টেট অফ দ্যা আর্ট’ পর্যায়ে পৌঁছাতে হবে -সিআইডি প্রধান নিষিদ্ধ হলো আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন গুলোও সামাজিক মাধ্যমে আওয়ামী লীগের সব প্রচার-প্রচারণা নিষিদ্ধ – বিটিআারসি

কেশবপুরে সরিষার ভালো ফলনের সম্ভাবনায় কৃষকরা উৎফুল্ল

  • প্রকাশিত : শুক্রবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২৩
  • ১৭৬ বার শেয়ার হয়েছে

পরেশ দেবনাথ,কেশবপুর,যশোর || যশোরের কেশবপুর উপজেলায় বিস্তৃত শরিষা ফসলে মাঠ জুড়ে হলুদের সমারোহ। সরিষার ভালো ফলনের সম্ভাবনায় কৃষকরা উৎফুল্ল। নৈস্বর্গিক রূপের আবহাওয়ায় দিগন্ত ছুঁয়েছে, সরিষা ফুলের গন্ধে বিভোর সারা মাঠ। কেশবপুরের ১১টি ইউনিয়নের বিস্তৃত মাঠ জুড়ে বারি সরিষা চাষের উৎসবে মেতেছেন কৃষকরা। মাঠে মাঠে মৌমাছির গুঞ্জনে মুখরিত সরিষার ক্ষেত। হলুদ সরিষার ফুলে ফুলে ঘুরছে মৌমাছির দল। ভোঁ ভোঁ শব্দ তুলে দলে দলে তারা এক ফুল থেকে আরেক ফুলে উড়ে মধু সংগ্রহ করে। মৌমাছির পরাগায়নের ফলে বৃদ্ধি পাচ্ছে শরিষার ফলন। মধু আহরণকারীরা মধু আহরণে ব্যস্ত।

সরিষার ভালো ফলনের সম্ভাবনায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে,সরকারিভাবে এ বছর গত ২৬ অক্টোবর ৪ হাজার কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে ২ কেজি করে শরিষার বীজ ও স্যার বিতরণ করা হয়েছে। গত বছর এ উপজেলায় ১ হাজার ৫৭০ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছিল। চলতি বছর সরিষার আবাদ হয়েছে ১ হাজার ৭৫ হেক্টর জমিতে। সেই হিসেবে এ বছর সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১ হাজার ৫৭ হেক্টর জমি। গত বছরের চেয়ে এ বছর বেড়ে ৫০৫  হেক্টর বেশি জমিতে সরিষা আবার করেছেন কৃষকরা। কৃষকের মাঠে আগাম জাতের বারি সরিষা চাষে ভালো ফলনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। কেশবপুরের কৃষকরা বোরো  আবাদের আগে একই জমিতে বারি-১৪, বারি-৯, বারি-১৮, বারি-১৭ ও টরি-৭ জাতের সরিষা চাষ করে আসছেন দীর্ঘদিন ধরে, আর সরিষার বাম্পার ফলন ঘরে তোলার সঙ্গে সঙ্গে কৃষি অধিদপ্তর কর্তৃক প্রদত্ত কৃষক লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত করতে সক্ষম হয়। পাশাপাশি অধিক  ফলনশীল বারি-১৪,ও বারি-৯ জাতের এি সরিষা চাষ করে কৃষকেরা বোরো আবাদের খরচ উঠিয়ে নেয়। এ  বছর নতুন করে  টরি-৭ বারি- ৯,বারি বীনা- ৯, বারি-১৭ ও বারি -১৮ জাতের উচ্চ ফলনশীল সরিষা চাষ শুরু করেছে। এ সব জাতের সরিষা ৭০ থেকে ৮৫ দিনের মধ্যে কৃষকরা ঘরে তুলতে পারেন। যার ফলে কৃষকরা সরিষা চাষের পর বোরো আবাদ করতে পারেন, যে কারণে উপজেলা ব্যাপী কৃষকরা সরিষা চাষে ঝুঁকছেন। উপজেলার সাগরদাঁড়ী ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রামের কৃষক হুমায়ুন কবির সাবু, আবুল কালমা আজাদ, গোপসেনা গ্রামের কৃষক আজিবার রহমান সানা, জালাল সানা, ফতেপুর গ্রামের কৃষক আবুল সানা, ওজিয়ার সরদার, বাগদাহ গ্রামের কৃষক আব্দুল জলিল, হাবিবুর রহমান, প্রতাপপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল কুদ্দুস, কাকিলাখালী গ্রামের কৃষক আফজাল হোসেন, দেউলি গ্রামের কৃষক আজিজুর রহমান, রেজাউল ইসলাম।

মজিতপুর গ্রামের কৃষক শহিদুল ইসলাম বলেন,প্রতিবছর সরিষা চাষ করা হয়। ইরি বোরো মৌসুমের আগেই সরিষা তুলে সেই জমিতে বোরো ধানের আবাদ করে থাকেন কৃষকরা। তবে চলতি বছরে সরিষার চাষে বাম্পার ফলন হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তারা।

সাতবাড়িয়া গ্রামের কৃষক আলাউদ্দিন,ময়েজ উদ্দিন,রামচন্দ্রপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল সরদার,আজিজুর রহমান,ব্রহ্মকাটি গ্রামের কৃষক তরিকুল ইসলাম খাঁ, তপন বসু বলেন,গত বছরের তুলনায় এ বছরে বৃষ্টির পানি কম থাকলেও সরিষা ভালো ফলনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। বিঘা প্রতি জমিতে ৭ থেকে ৮ হাজার টাকা খরচ করে প্রায় ৬ থেকে ৭ মন সরিষা পাবেন বলে তারা ধারণা করেছেন। বাজারের সরিষার দাম ভালো পাওয়া যাবে কিন্তু লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে এ পর্যন্ত ২ হাজার ৭৫ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ অর্জিত হয়েছে। অধীর দাম ও বাম্পার ফলন হওয়ায় কৃষকরা সরিষা আবাদে ঝুঁকেছেন।

উপজেলা কৃষি অফিসার মাহমুদা আক্তার জানান,এ বছর ৪ হাজার কৃষকের মাঝে সরকারিভাবে বিনামূল্যে ২ কেজি করে শরিষার বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সরিষার ফলন ভালো হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আজ দু’দিন আবহাওয়া খারাপ চলছে। তবে ফুলের মুখে যদি ভারী বৃষ্টিপাত হয় সে ক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্ত হবে কৃষকরা। আমরা প্রতিনিয়ত এলাকায় গিয়ে কৃষকদের বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে চলেছি।

শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:-  ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।