1. info@www.khulnarkhobor.com : khulnarkhobor :
শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ১২:৪১ পূর্বাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com    বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৪৭,আপার যশোর রোড (সঙ্গীতা হোটেল ভবন) ,খুলনা-৯১০০।ফোন:০১৭১০-২৪০৭৮৫,০১৭২১-৪২৮১৩৫। মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
খুলনার খবর
দাকোপে অপহৃত স্কুল ছাত্রী উদ্ধার, যুবক গ্রেপ্তার খুলনায় খুন ও লাশ উদ্ধারের ঘটনা বাড়ছে, জনমনে উদ্বেগ ! বিএনপি’র আয়োজনে ফ্রি দাঁতের চেকআপ ও টুথপেস্ট বিতরণ বকেয়া পৌরকর আদায়ের লক্ষ্যে কেসিসি’র মালামাল ক্রোক অভিযান স্বায়ত্তশাসিত হচ্ছে বিটিভি ও বাংলাদেশ বেতার আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান দিবসে সরকারি ছুটি থাকবে প্রতিদিন ডালিম খেলে শরীরে ঘটে যেসব উপকার ঘটে দিঘলিয়ায় ভুয়া দলিল ও অবৈধ কাগজপত্র তৈরীর প্রতারক চক্র আটক যশোরে করোনা আক্রান্ত আরো দুজনের জনের মৃত্য ২৮ জুন ঢাকায় মহাসমাবেশ সফলে ইসলামী আন্দোলন খুলনা সদর থানার যৌথ সভা মোল্লাহাটে গরু বোঝাই ট্রাক ও মোটরসাইকেল সংঘর্ষে নিহত-১ যৌথ বাহিনীর অভিযানে নাবিক ভর্তির নামে প্রতারকচক্রের ০৩ সদস্য আটক নগরীতে ২’শ বোতল ফেন্সিডিলসহ এক মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার কেশবপুর যুবদল কর্মীকে পিটিয়ে হত্যা/হত্যাকারী আটক ২৮ জুন মহাসমাবেশ সফলে ইসলামী আন্দোলন নগর কমিটির প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত দিঘলিয়ায় পুলিশের হাতে আটক ব্যক্তিকে ছিনিয়ে নিলো তার সহযোগীরা তারেক রহমানের সহধর্মীনি ডাঃ জুবাইদা রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে খতমে কোরআন ও দোয়া অনুষ্ঠান নড়াইলে পুকুরের পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু লোহাগড়ায় বিধবা নারীকে ধর্ষণ, মামলা দায়ের লোহাগড়ায় ইয়াবাসহ মাদক কারবারি গ্রেফতার 

ক্লু-লেস হত্যা মামলার মূল রহস্য উদঘাটনসহ হত্যাকান্ডে জড়িত ৮ আসামী গ্রেফতার

  • প্রকাশিত : বুধবার, ১৭ জানুয়ারী, ২০২৪
  • ১৮৭ বার শেয়ার হয়েছে

সাগর কুমার বাড়ই,খুলনা || ১৭ জানুয়ারী বুধবার দুপুর ১ টার দিকে কেএমপি’র সদর দপ্তরস্থ পুলিশ কমিশনার কার্যালয়ে পুলিশ কমিশনার মোঃ মোজাম্মেল হক,বিপিএম (বার),পিপিএম-সেবা মহোদয় খানজাহান আলী থানা পুলিশ কর্তৃক ক্লু-লেস হত্যা মামলার মূল রহস্য উদঘাটনসহ হত্যাকান্ডে জড়িত ৮জন আসামীকে গ্রেফতার এবং ভিকটিমের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া ইজিবাইকের অংশ বিশেষ উদ্ধার সংক্রান্তে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকদের সাথে প্রেস ব্রিফিং করেন।

কেএমপি’র পুলিশ কমিশনার বলেন,“খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ অপরাধ দমন,আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ এবং নগরবাসীর সেবায় সর্বদা তৎপর।আমরা বিগত কয়েক মাস থেকেই অস্ত্রধারী,সন্ত্রাসী,নাশকতাকারী,জঙ্গী,মাদক ব্যবসায়ী, সাজাপ্রাপ্ত পরোয়ানাভুক্ত আসামী,হত্যাকান্ডে জড়িত আসামী ও ভূমিদস্যুসহ সমাজে প্রভাব প্রতিপত্তিশালী যারা নাশকতা সৃষ্টি করতে পারে তাদের গ্রেফতারের জন্য সাঁড়াশী অভিযান পরিচালনা অব্যাহত রেখেছি।

গত আগস্ট ২০২৩ খ্রি:থেকে ইতোমধ্যেই আমরা ১৮টি আগ্নেয়াস্ত্র, ১৩২ রাউন্ড গুলি, ২৫টি চোরাই মোটরসাইকেল, ককটেল,গান পাউডার,স্বল্প সময়ে ক্লু-লেস হত্যা মামলার মূল রহস্য উদঘাটনসহ আসামীদের গ্রেফতার, চোরাই স্বর্ণালঙ্কার ও বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি।

তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন,গত ৫ জানুয়ারী~ ২০২৪ তারিখ অর্থাৎ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের একদিন আগে রাত আনুমানিক ৯ ঘটিকার সময় খানজাহান আলী থানাধীন আটরা পশ্চিম পাড়া নতুন রেল লাইনের পূর্ব পাশে জনৈক সাইফুল ইসলামের সরিষা ক্ষেত হতে হাত-পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় খানজাহান আলী থানা পুলিশ অজ্ঞাত একটি মৃত দেহ উদ্ধার করে।

অজ্ঞাত লাশ উদ্ধার করে খানজাহান আলী থানা পুলিশ লাশটির সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করে ময়না তদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।

অজ্ঞাত লাশ উদ্ধারের ঘটনাটি লোকমুখে শুনে রূপসা মাস্টার পাড়া এলাকা থেকে রাণী বেগম নামক একজন মহিলা খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে এসে অজ্ঞাতনামা লাশটি তাঁর স্বামী মোঃ আবুল কালাম আজাদ (৫৬) বলে সনাক্ত করে।

ভিকটিমের পরিচয় মোঃ আবুল কালাম আজাদ(৫৬), পিতা-মৃত ইসহাক মোল্লা,মাতা-কুলসুম বেগম,সাং-দত্তের পশুরি বুনিয়া,পোস্ট-বাটিখালঘাটা,থানা-কাঠালিয়া,জেলা-ঝালকাঠি,এ/পি সাং-রুপসা মাষ্টারপাড়া, খেয়াউদ্দিন ডাক্তারের বাড়ীর ভাড়াটিয়া,থানা-খুলনা সদর,খুলনা মহানগরী বলে জানা যায়।

এই ঘটনায় ভিকটিমের স্ত্রী রাণী বেগম খানজাহান আলী থানায় এসে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামী করে এজাহার দায়ের করলে বাদীর এজাহারের ভিত্তিতে অফিসার ইনচার্জ খানজাহান আলী থানার মামলা নং-০২,তারিখ-০৮/০১/২০২৪, ধারা-৩০২/৩৭৯/৩৪ পেনাল কোড রুজু করে।

পরবর্তীতে খানজাহান আলী থানার একটি চৌকস তদন্ত দলের নেতৃত্বে এই মামলা তদন্ত করতে গিয়ে ঘটনার প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ ও পারিপার্শ্বিক পর্যালোচনায় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় আসামীদের গ্রফতার করা হয়।

উল্লেখ্য যে,এই মামলার মূল আসামী ভিকটিমের ইজিবাইকটি ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য দীর্ঘদিন যাবৎ ভিকটিম মোঃ আবুল কালাম আজাদকে ফলো করে আসছিলো এবং অন্যান্য আসামীদের যোগসাজসে তাকে হত্যা করার পরিকল্পনা করে।
সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী ঘটনার দিন ৫ জানুয়ারী ২০২৪ খ্রিঃ ভিকটিমকে রূপসা ঘাট থেকে রিজার্ভ ভাড়া করে আটরা-আফিল গেট এলাকায় নিয়ে যায়।

সেখানে পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক অবস্থানরত আসামীরা ভিকটিমের ইজিবাইকে উঠে প্রধান আসামী মনির হাওলাদার তাঁর স্ত্রীকে আনার কথা বলে মশিয়ালি নামক স্থানে নিয়ে যায়।

ঘটনাস্থলে পৌঁছে আসামীরা বাথরুমে যাওয়ার কথা বলে ইজিবাইক চালক ভিকটিম মোঃ আবুল কালাম আজাদকে থামায় এবং হঠাৎ তাকে ধাক্কা দিয়ে গাড়ী থেকে ফেলে দিয়ে অন্ধকারের ভিতর প্রধান আসামী মনির হাওলাদারসহ আসামী মোঃ রনি শেখ, জাহাঙ্গীর হোসেন, ফোরকান হোসেন তোহান, রিয়াদ লস্কর রিয়াদ ও সৈয়দ মোহন হোসেন মোহন মিলে এই হত্যাযজ্ঞে শামিল হয়।তোহান ও রিয়াদ মাফলার দিয়ে ভিকটিমের নাক-মুখে প্যাচ দেয় এবং রনি শেখ ও জাহাঙ্গীর হোসেন ভিকটিমের হাত ধরে কিছুক্ষণ ধস্তাধস্তি করে।তৎপরে মনির হাওলাদার ভিকটিমের শ্বাসরোধ করে মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু নিশ্চিত করে হাত-পা বেঁধে সরিষা ক্ষেতে ফেলে দিয়ে ইজিবাইকটি নিয়ে পালিয়ে যায়।

পরবর্তীতে এই ছিনতাইকৃত ইজিবাইকটি অন্য কোথাও বিক্রি করলেও ধরা পড়বে বিধায় ইজিবাইকটির যন্ত্রাংশ পার্ট পার্ট করে খুলে মালিক সেজে আসামী সৈয়দ মোহন হোসেন মোহন গ্রেফতারকৃত অন্য আসামী মোঃ জাহিদুল ইসলাম জাহিদ এর নিকট বিক্রি করে এবং পরবর্তীতে সে মোঃ আলামিন কাজী আলামিন এর নিকট ইজিবাইকটির যন্ত্রাংশ বিক্রয় করে।

অত্র মামলাটির তদন্তকালে জানা যায় যে,মৃত আবুল কালাম আজাদ দীর্ঘদিন যাবৎ অন্যের বাড়িতে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতো।পরবর্তীতে সে ইজিবাইকটি ভাড়া নিয়ে চালিয়ে অনেক কষ্টে সংসার চালাতো।সে অত্যন্ত দীনহীন হওয়ায় মানবিক দায়িত্ব বোধ থেকে আমারা পাশে দাঁড়াবো।

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি সামাজিক দায়িত্ববোধ থেকে সাধ্য অনুযায়ী মানবিক ভাবে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে।সেই প্রেক্ষিতে কেএমপি’র পক্ষ থেকে আমরা নিহত ভিকটিমের স্ত্রী রাণী বেগমকে আত্মকর্মসংস্থানের জন্য একটি সেলাই মেশিন ও নগদ অর্থ প্রদান করছি।”

অত্র মামলার বাদী ও ভিকটিমের স্ত্রী রাণী বেগম মহানগরী পুলিশের নিকট হতে ১ টি সেলাই মেশিন ও নগদ অর্থ পাওয়ায় এবং নতুনভাবে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হওয়ায় পুলিশ কমিশনার মহোদয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

এছাড়াও,ভিকটিমের স্ত্রী এই হত্যা মামলায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত সকল আসামি গ্রেফতার হওয়ায় খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের প্রতি সন্তুষ্টি প্রকাশ করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেন।

এ সময় কেএমপি’র ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস অ্যান্ড সাপ্লাই) অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত এম এম শাকিলুজ্জামান, অতিঃ ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (উত্তর) সোনালী সেন, পিপিএম-স।

শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:-  ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।