মোঃ ইমরান হোসেন,বটিয়াঘাটা প্রতিনিধি || গতকাল রবিবার সকাল ১১টায় বটিয়াঘাটা ইজিবাইক চালক-মালিক সমিতি সাময়িক কর্মবিরতি পালন করে।

বটিয়াঘাটা কৃষি প্রধান এলাকা এলাকার সাধারণ মানুষ কাজকর্ম করে খেটে খায়।খুলনায় যাওয়া আসার জন্য বর্তমানে এই রাস্তায় ইজিবাইক ব্যবহৃত হয় এতে করে মানুষের নতুন কর্ম সংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে। শিক্ষিত ও বেকার যুবক এ কর্মের সাথে সংশ্লিষ্ট এর সাথে প্রায় বটিয়াঘাটা উপজেলার দুই হাজার পরিবারের জীবন জীবিকা নির্বাহ করছে।

ইজিবাই মালিক সাগর,ওহিদ মোল্লা,শফি সানা শহীদ সানা,পলাশ অনেক ইজিবাইক চালকের জানায়,আমরা খুলনা শহরকেন্দ্রীক বটিয়াঘাটা উপজেলার সকল ইজিবাইক চালক সদস্যগণ,আমরা বটিয়াঘাটা উপজেলার সকল যাত্রীগণদের নির্বিঘ্নে নির্দিষ্ট ভাড়ার বিনিময়ে খুলনা শহরে অথাৎ গল্লামারি ব্রিজ সংলগ্ন মসজিদ পর্যন্ত পৌছিয়ে দিয়ে আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে সকল ট্রাপিক আইন মেনে আসা যাওয়া করিয়া আসিতেছি। এরই মধ্যে খুলনা সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক আমাদের যাত্রী নিয়ে খুলনা শহর কেন্দ্রীক গল্লামারি পর্যন্ত যেতে দিচ্ছে না। বিধায় আমাদের গাড়িতে যাত্রী উঠতে অনিহা প্রকাশ করিতেছে।

অন্যদিকে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের গাড়ি যত্র তত্র বটিয়াঘাটা উপজেলাধীন সকল স্থান হতে যাত্রী আনা নেওয়া করিতেছে এবং বিভিন্ন যায়গায় যানযাটের সমস্যা সৃষ্টি করিতেছে। আমাদের বটিয়াঘাটা উপজেলাধীন সকল গরীব ইজিবাইক চালকদের বর্তমান গাড়ি চালিয়ে জীবন জীবিকা নির্বাহ করা অভ্যন্ত কঠিন হইয়া পড়িয়াছে।

উল্লেখ্য থাকে যে,আমরা যদি বটিয়াঘাটা থেকে গল্লামারি পর্যন্ত যাত্রী আনা-নেওয়া করিতে না পারি তবে খুলনা সিটি কপোরেশনের গাড়ি গুলি বটিয়াঘাটা উপজেলার ভিতর প্রবেশ না করিলে কিছুটা হলেও স্বাভাবিক জীবন যাপন করাসহ,সিটি কর্পোরেশন প্রদত্ত বুলু বুকে ১৫ নম্বর পৃষ্ঠায় ১৩ নাম্বারে উল্লেখ আছে যে সিটির বাইরে যাওয়া নিষেধ তা স্বত্তেও তারা আইন মানছে না।বেআইনিভাবে বটিয়াঘাটার বিভিন্ন জায়গায় প্রবেশ করে কৃত্রিম যানজট সৃষ্টি করে বিভিন্ন যাত্রীদের সাথে ভাড়া নিয়ে বিভেদ সৃষ্টি করে।

তাতে আমাদের সুনাম ক্ষুন্ন হচ্ছে,সিটি কর্পোরেশনের গাড়ি যদি বটিয়াঘাটার ভিতরে ঢুকতে না পারে তাহলে আমাদের যানজট কমবে এবং যাত্রীদের সুন্দরভাবে আমরা সেবা প্রদান করিতে পারি বলে আশা রাখি।

এ ব্যাপারে দাকোপ বটিয়াঘাটার সংসদ সদস্য ননী গোপালের কাছে তারা লিখিত দেন বটিয়াঘাটা উপজেলা চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম খানের কাছেও লিখে দেন বটিয়াঘাটা নির্বাহী কর্মকর্তা শরীফ আসিফ রহমানের কাছেও তারা লিখিত দেন যাতে তাদের আশু পরিবার নিয়ে সংসার পরিচালনা করতে পারে মতো আবেদন জানান।