খুলনার খবর || যশোরের বহুল আলোচিত পৌর কাউন্সিলর ও হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামি জাহিদ হোসেন মিলন ওরফে টাক মিলনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।গতকাল বুধবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে যশোরের পালবাড়ি কাঁচাবাজার এলাকায় নিজ কার্যালয় থেকে তিন সহযোগীসহ তাকে গ্রেফতার করা হয়।যশোর কোতয়ালি থানা পুলিশের ইন্সপেক্টর (অপারেশন্স) পলাশ বিশ্বাস তাদেরকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
টাক মিলনের সঙ্গে গ্রেফতার তিনজন হলেন- শহরের টালিখোলা এলাকার আকবার আলী ছেলে দস্তগীর, কদমতলা এলাকার আব্দুর রহিমের ছেলে শফিকুল ইসলাম ও টালিখোলা এলাকার আব্দুল গফফারের ছেলে মারুফুজ্জামান।এ ঘটনায় মামলার পর বুধবার রাতেই আসামিদের আদালতে পাঠানো হলে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
পুলিশ প্রাথমিকভাবে জানিয়েছে, হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর গ্রেফতারদের কাছ থেকে তিন বোতল বিদেশি মদ জব্দ করা হয়েছে। এছাড়া মিলনের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ রয়েছে যেগুলো আমলে নিয়ে অনুসন্ধান চলছে।
যশোর কোতয়ালি থানার পরিদর্শক (অপারেশন্স) পলাশ বিশ্বাস জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে কাঁচাবাজার সংলগ্ন ওয়াহিদ নামক এক ব্যক্তির ভাড়া দেওয়া ভবনে অবস্থিত ইন্টারনেট ব্যবসার অফিসে অভিযান চালানো হয়। সেসময় অফিসের মধ্যে কাউন্সিলর কয়েকজনকে মাদক সেবন করতে দেখা যায়। পুলিশ সেখান থেকে পৌর কাউন্সিলর জাহিদ হোসেন মিলনসহ চারজনকে আটক করে। এছাড়া ওই অফিসের ভেতর থেকে কয়েক বোতল বিদেশি মদও জব্দ করা হয়।
পুলিশ ও গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, জাহিদ হাসান মিলন ওরফে টাক মিলনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে। ২০১৮ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর রাতে শহরের পুরাতন কসবা কাজীপাড়া এলাকার যুবলীগ কর্মী শরিফুল ইসলাম সোহাগকে গুলি ও কুপিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা।
ওই মামলায় আটক এক আসামির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে টাক মিলনের নাম উঠে আসে। এই মামলার সন্ধিগ্ধ আসামি তিনি। এছাড়া তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা, অভিযোগ রয়েছে।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।