1. info@www.khulnarkhobor.com : khulnarkhobor :
বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ০১:০৫ পূর্বাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com    বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৪৭,আপার যশোর রোড (সঙ্গীতা হোটেল ভবন) ,খুলনা-৯১০০।ফোন:০১৭১০-২৪০৭৮৫,০১৭২১-৪২৮১৩৫। মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
খুলনার খবর
কালিগঞ্জে বিএনপির সদস্য নবায়ন কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন প্রকৌশলী মোঃ হায়দার আলী উপ – সহকারী প্রকৌশলীকে ফুল দিয়ে সংবর্ধনা খুলনায় বিশাল মদের চালান জব্দ; আটক ২ গণঅধিকার পরিষদ খুলনা মহানগরের সাধারণ সম্পাদক, শেখ রাশিদুল ইসলামকে স্বপদে বহাল নগরীতে ৯ বছরের শিশু ধর্ষণ ! ধর্ষক গ্রেপ্তার ঝিকরগাছার ছুটিপুর বাজারে আশা হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল কয়রায় স্কুলের প্রাচীর নির্মানে বাঁধা ও জীবন নাশের হুমকির অভিযোগ তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে  প্রস্তুতি সভা – মহানগর যুবদল লোহাগড়ায় দিনে-দুপুরে খুন: কুপিয়ে হত্যা করা হলো খাজা মোল্যাকে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও মৌলিক অধিকার বিষয়ে তারুণ্যের ভাবনা” শীর্ষক সেমিনার – জেলা যুবদল বটিয়াঘাটা যুবলীগ সদস্য গ্রেপ্তার নিরীহদের হয়রানির অভিযোগে খুলনায় সংবাদ সম্মেলন: প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপের দাবি খুলনায় পাট ও বস্ত্রকল শ্রমিকদের ৭ দফা দাবি – সংবাদ সম্মেলনে, কর্মসূচি ঘোষণা খুলনায় নাগরিক কমিটির দাবি: কৃষি, পাটশিল্প ও সুন্দরবন রক্ষায় বাজেটে সুনির্দিষ্ট বরাদ্দ চান নগরীতে মাদকের ব্যবহার উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে খুলনার স্ট্রিট ফুডের তালিকায় জনপ্রিয় ‘ ডিম ঘোটা’ তেরখাদায় ছাগলাদহ বুড়ো মায়ের গাছতলায় ৫৯ তম মহোৎসব ও মায়ের পূজা অনুষ্ঠিত যশোর ঝিকরগাছার গদখালীতে মহাসড়কের পাশে ফুল বেচাকেনায় নিষেধাজ্ঞা সকল প্রকার রাজনৈতিক সমর্থন থেকে অব্যাহতি: ব্যক্তিগত ঘোষণাপত্রের লিগ্যাল নোটিশ খুলনায় ‘তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার’ সমাবেশ হবে তারুণ্যের মহামিলন

কেশবপুরে ১৯০ স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় শহীদ মিনার নেই

  • প্রকাশিত : বুধবার, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
  • ১৯৩ বার শেয়ার হয়েছে

পরেশ দেবনাথ,কেশবপুর,যশোর || কেশবপুরে ১৯০ স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় শহীদ মিনার নেই। কেশবপুর উপজেলায় ২৯৫টি স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় রয়েছে। ফলে ওই সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ভাষা শহীদদের প্রতি যথাযথভাবে শ্রদ্ধা জানাতে পারছে না। ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনে কিছু কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ইট সাজিয়ে, কলাগাছ ও শ্রেণি কক্ষের বেঞ্চ দিয়ে অস্থায়ীভাবে শহীদ মিনার নির্মাণ করে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে থাকেন বলে জানা গেছে।

কেশবপুর উপজেলার দু’শিক্ষা দপ্তরে তথ্য অধিকার আইনে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে,এ উপজেলায় ১৫৮টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৭৩টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়,১২টি কলেজ এবং ৫২টি দাখিল ও সিনিয়র মাদ্রাসা রয়েছে। এর মধ্যে ১৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে,৬২টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে,৭টি কলেজে ও ১৯টি মাদ্রাসায় শহীদ মিনার রয়েছে। এর বাইরেও এ উপজেলায় বেশ কিছু কিন্ডার গার্টেন,প্রতিবন্ধী স্কুল,স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী ও কওমি মাদ্রাসা রয়েছে। যার কোনটিতেই নেই শহীদ মিনার। এর ফলে ওইসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অমর একুশে ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পারছে না।

কর্মকর্তারা বলছেন,প্রতিটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্থানীয়ভাবে অনুদান সংগ্রহ করে শহীদ মিনার নির্মাণ করার পরামর্শ দেয়া হয়। এরজন্য আলাদা কোনো বরাদ্দ নেই। আর শিক্ষকরা বলছেন,স্থানীয়ভাবে অনুদান সংগ্রহ করা কঠিন ব্যাপার। তাছাড়া, একটি শহীদ মিনার নির্মাণে কয়েক হাজার টাকা দরকার। যা কোনোভাবেই স্থানীয়ভাবে জোগাড় করা সম্ভব না।

শিক্ষাবিদরা বলছেন,সরকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিভিন্ন খাতে প্রতি বছর লাখ লাখ টাকা অনুদান দিচ্ছে। যার একটি বড় অংশ লুটপাট হয়ে যায়। বহু স্কুলে এসব খাতের টাকার একটি অংশ ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আর প্রধান শিক্ষকরা ভাগাভাগি করে নেন বলে অভিযোগ রয়েছে। যদিও কোনো কোনো স্কুলে বরাদ্দের পুরো অর্থ ব্যয় হয়ে থাকে বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। ওইসব স্কুলের প্রধান শিক্ষকের সততা আর দৃঢ়চেতানা মনোভাবের কারণে এটি সম্ভব হয়।
শিক্ষাবিদরা বলছেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কোটি কোটি টাকা খরচ করে সরকার ভবন নির্মাণ করছে। অনেক স্কুলে অহেতুক ভবন করা হচ্ছে। অথচ শহিদ মিনার নির্মাণ করে দিচ্ছে না।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হুদা বাবু বলেন, অধিকাংশ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার না থাকায় শিক্ষার্থীরা প্রতিবছর ইট সাজিয়ে ও শ্রেণি কক্ষের বেঞ্চ দিয়ে অস্থায়ীভাবে শহীদ মিনার নির্মাণ করে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে থাকেন। তবে এদিন প্রত্যেক বিদ্যালয়ে প্রভাতফেরী ও আলোচনা সভা হয়। চলতি মাসে প্রধান শিক্ষকদের সভায় প্রত্যেক বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নির্মাণের ব্যাপারে উদ্যোগ গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আকরাম হোসেন খান জানান, সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই শহীদ মিনার থাকা উচিত। এ ব্যাপারে ইতিপূর্বে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা রয়েছে। শহীদ মিনার নেই এমন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরকেও অবগত করা হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার তুহিন হোসেন বলেন,শিক্ষার্থীদের আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের তাৎপর্য ও অমর একুশের চেতনা,মূল্যবোধ সম্পর্কে জানতে এবং শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্য সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণ করা উচিত। শহীদ মিনার নির্মাণে সরকারি ভাবে বরাদ্দ না থাকায় অনেক স্কুলে তা নেই। তারপরও সব স্কুল কর্তৃপক্ষকে স্থানীয়ভাবে অর্থ জোগাড় করে শহীদ মিনার নির্মাণে উদ্বুদ্ধ করা হবে।

শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:-  ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।