1. info@www.khulnarkhobor.com : khulnarkhobor :
সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫, ০৯:২৮ অপরাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com    বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৪৭,আপার যশোর রোড (সঙ্গীতা হোটেল ভবন) ,খুলনা-৯১০০।ফোন:০১৭১০-২৪০৭৮৫,০১৭২১-৪২৮১৩৫। মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
খুলনার খবর
মাইলষ্টোন স্কুলে ছুটির ঘন্টা; চিরদিনের জন্য বাড়ি ফিরলো নিহত শি’শু’রা মাইলস্টোনে হতাহত পরিবারের পাশে থাকার আহবান খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের উত্তরার মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা মহানগর-এর শোক যান্ত্রিক ত্রুটিতে উত্তরায় বিমান বাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত, তদন্ত কমিটি গঠন : আইএসপিআর পাইকগাছা উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কর্তৃক বিনা মূল্যে বীজ চারা সার বিতরণ কেশবপুরে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থীদের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান রাজধানীর উত্তরায় বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান (ফাইটার জেট) বিধ্বস্ত যশোরে অনলাইন জিডি সেবা চালু: থানায় দালাল ও হয়রানির যুগের অবসান খুলনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সহ ৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা, ২ জন গ্রেপ্তার খুলনায় আসছেন জামায়াতের আমীর ও সেক্রেটারি জেনারেল কেন ত্বকের জন্য উপকারী কাঁচা হলুদ? খুমেক হাসপাতালে করোনায় যুবকের মৃত্য ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দোসরদের মিথ্যা মামলা, হয়রানি থেকে বাঁচার আকুতি বিএনপি নেতার বর্ষায় ঘরে ঘরে জ্বর-কাশি, রোগের কারণ ও বাঁচতে করণীয় ফিটনেসবিহীন গণপরিবহন সরিয়ে নিতে বিশেষ ঋণ দেবে সরকার : সড়ক উপদেষ্টা অবৈধ দখল উচ্ছেদ ও দূষণ প্রতিরোধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে জেলা প্রশাসকের নিকট বাপা’র স্মারকলিপি প্রদান আহবায়ক কৃষ্ণ গোপাল ও সদস্য সচিব মলয় কেশবপুরে ১৫১ সদস্য বিশিষ্ট জন্মাষ্টমী উদযাপন কমিটি গঠন খুলনার দিঘলিয়ায় এসএসসি পরীক্ষায় A+ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা পাইকগাছায় দেশীয় অস্ত্র দিয়ে ফাঁসানো রসময়সহ সকলের মুক্তি এবং ষড়যন্ত্রকারীদের গ্রেফতারের দাবীতে-মানববন্ধন তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে বিষ্ণুপুরে বিএনপির বিক্ষোভ ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত

মোংলায় কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে হাতের তৈরি মুড়ি

  • প্রকাশিত : মঙ্গলবার, ২ এপ্রিল, ২০২৪
  • ২৬০ বার শেয়ার হয়েছে

অতনু চৌধুরী(রাজু)বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধি ||
হাতে ভাজা মুড়ি হলো বাঙালির প্রাচীন ঐতিহ্য। বছরজুড়ে কমবেশি এই মুড়ির কদর থাকলেও রমজান মাসে এর চাহিদা বেড়ে যেতো কয়েকগুণ। বর্তমানে মানুষের আধুনিক জীবনযাত্রায় শহর থেকে গ্রামাঞ্চলে পরিবর্তনের ছোঁয়া লেগেছে। সেই ছোঁয়ায় আর সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বদলেছে মুড়ি তৈরির ধরণ। যান্ত্রিক ব্যবস্থার উন্নতির ফলে বাগেরহাটের মোংলায় হাতে ভাজা মুড়ি যেন ঐতিহ্য হারাতে বসেছে। সহসায় হাতের ভাজা তৈরি মুড়ি তেমন চোখে পড়ছে না। মেশিনের তৈরি মুড়ি সব জায়গা দখল করে নিয়েছে।
এ ক্ষেত্রে হাতে ভাজা মুড়ির স্থান দখল করে নিয়েছে কারখানার মেশিনের তৈরি মুড়ি।

একটা সময় ছিল গ্রামাঞ্চলের গৃহবধূরা মৌসুমী ধান কাটার পর মুড়ি ভাজার জন্য আলাদা করে ধান রাখতেন। সেই ধান রোদে শুকানোর পর ভাঙিয়ে চাল তৈরি করে নিজ হাতে মুড়ি ভাজতেন। অনেকে আবার ভালো চাল কিনে মুড়ি ভাজতেন। প্রতিটি ঘরে ছিল হাতে ভাজা মুড়ি তৈরির উৎসব। গ্রামের ছোট-বড় যে কোনো পরিবারে সারা বছরই হাতে ভাজা মুড়ি পাওয়া যেত। সেই সঙ্গে অনেক পরিবারের লোকজন হাতে তৈরি মুড়ি ভেজে বিক্রি করে বেশ টাকা উপার্জন করতেন। আর রমজান মাসে ছিল বাড়তি কদর।

বর্তমানে আধুনিকতার ছোঁয়ায় গ্রামাঞ্চলে হাতে তৈরি ভাজা মুড়ি যেন তেমন একটা চোখে পড়ছে না। দেশের বড় বড় নামি-দামি কোম্পানিগুলো মুড়ি তৈরি করে অতিসহজে শহর থেকে শুরু করে গ্রামের দোকানগুলোতে পৌঁছে দিচ্ছে।

গত কয়েক বছর আগেও মোংলা পৌর শহর ও মোংলার মিঠাখালী ইউনিয়ন’সহ বেশ কয়েকটি এলাকায় হাতে তৈরি ভাজা মুড়ি তৈরি করতেন। সময়ের প্রেক্ষাপটে যান্ত্রিক কারখানায় তৈরি মুড়ি বাজার দখল করে নেয়ায় অনেকে এ পেশা ছেড়ে দিয়েছেন।

এ বিষয়ে মুড়ি ভাজা ছেড়ে দেওয়া রতন মন্ডল বলেন, এক সময় বছরজুড়ে বাড়িতে হাতের ভাজা মুড়ি তৈরি করা হতো। পরিবারের সবাই কমবেশি শ্রম দিতো। স্থানীয়দের পাশাপাশি পাইকাররা এসে বাড়ি থেকে মুড়ি নিয়ে যেতো। বর্তমানে চাল, লাকড়িসহ আনুসাঙ্গিক খরচ বৃদ্ধি পাওয়ায় লাভ তেমন হয় না। তাছাড়া মেশিনের তৈরি মুড়ি অতি সহজে বিভিন্ন দোকানে পাওয়ায় হাতে তৈরি মুড়ির চাহিদা অনেক কমে গেছে।

তিনি আরও বলেন, আসলে হাতে তৈরি মুড়ির রং লালচে হলেও খেতে সুস্বাদু হয়। এই মুড়ি দীর্ঘ দিন ঘরে রাখলেও এর স্বাদের কোনো পরিবর্তন হয় না। কারখানায় মুড়ি দেখতে সাদা ধবধবে হলেও ২’দিন ঘরে রাখলেই চুপসে যায়। এসব মুড়ি খোলা অবস্থায় প্রতি কেজি ৬০-৬৫’টাকায় বিক্রি হওয়ায় সব জায়গাতে চাহিদা বেড়েছে। এতে করে হাতে তৈরি মুড়ির চাহিদা কমে যাওয়ায় এ পেশা ছেড়ে দিয়েছেন।

এ বিষয়ে মোংলা উপজেলার মিঠাখালী ইউনিয়নের মুড়ি তৈরির কারিগর অরুণ মন্ডল বলেন, গত ৪০’বছর ধরে নিজের হাতে তৈরি করা মুড়ি ভেজে বিক্রি করছি। এক সময় এ পাড়া’সহ অন্য জায়গাতে অনেক লোকজন হাতে মুড়ি তৈরির কাজে জড়িত ছিল। বর্তমানে নানা প্রতিকূলতায় অনেকেই মুড়ি তৈরি কাজ ছেড়ে দিয়েছেন। অন্য কোনো কাজ জানা না থাকায় এ পেশায় কাজ করছি।

তিনি আরও বলেন, স্থানীয় বাজারে হাতে ভাজা প্রতি কেজি মুড়ি বিক্রি হচ্ছে ১১০’টাকা। এখানে বিক্রি হচ্ছে ১’শ টাকায়। রমজান মাস আসায় চাহিদা বেড়েছে। দৈনিক ৩০’কেজি চালের মুড়ি ভাজা হয়। মুড়ি ভেজে স্থানীয় দোকান ও পাইকারদের কাছে বিক্রি করছি।

এ বিষয়ে মোংলা উপজেলার মিঠাখালী ইউনিয়নের লিটন মন্ডল, অরুপ চৌধুরী ও মিঠুন মলঙ্গীর বলেন, ছোটবেলায় দেখেছি বাড়িতে মা-চাচিরা জমির ধান থেকে মুড়ি ভাজার চাল তৈরি করে মুড়ি ভাজতেন। সব সময় প্রত্যেক ঘরে – ঘরে কমবেশি ভাজা মুড়ি পাওয়া যেতো। কিন্তু কালের বিবর্তনে মানুষ আর হাতে মুড়ি তৈরি করছে না। মেশিনের তৈরি মুড়ি দোকান থেকে মানুস ক্রয় করছেন বা আমরা ক্রয় করছি। যার কারণে হাতে ভাজা মুড়ির ঐতিহ্য আমাদের মাঝ থেকে হারিয়ে গেছে।

এ বিষয়ে মোংলা উপজেলার মিঠাখালী ইউনিয়নের মুড়ি ক্রেতা বিকাশ মন্ডল (গুরু) বলেন, আসলে সব সময় চেষ্টা করি দেশীয় হাতের তৈরি মুড়ি খাওয়ার জন্য। এখনতো সব জায়গাতে হাতে তৈরি মুড়ি পাওয়া যায় না। তাই মেশিনের তৈরি মুড়ি কেনা হয়।

এ বিষয়ে মোংলা উপজেলার মিঠাখালী ইউনিয়নের স্থানীয় ডা. হাকিম বিপ্লব সরদার বলেন,এক সময় ঘরে – ঘরে মুড়ি ভেজে খাওয়ার প্রচলন থাকলেও তা এখন নেই। এখন বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মুড়ি পাওয়া গেলেও হাতে তৈরি ভাজা মুড়ির কদরই অন্য রকম। বর্তমানে হাতে তৈরি মুড়ির চাইতে মেশিনে ভাজা মুড়ির চাহিদা বেশি। দামও কম। তবে পরামর্শ থাকবে মেশিনে ভাজা মুড়ি না খাওয়া ভালো। কারণ এটা স্বস্থ্যসম্মত নয়।

শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:-  ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।