1. info@www.khulnarkhobor.com : khulnarkhobor :
বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫, ০২:০৬ অপরাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com    বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৪৭,আপার যশোর রোড (সঙ্গীতা হোটেল ভবন) ,খুলনা-৯১০০।ফোন:০১৭১০-২৪০৭৮৫,০১৭২১-৪২৮১৩৫। মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
খুলনার খবর
গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারে গণমাধ্যমকেই অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে কোন বয়সে মানুষ সত্যিকারের ভালোবাসা খুঁজে পায়? ৯ জুলাই ২০২৪ : সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি ঘোষণা রাতে ভাত না রুটি কোনটি বেশি স্বাস্থ্যকর, চিকিৎসকদের পরামর্শ খুলনা-৫ (ফুলতলা – ডুমুরিয়া) আসনের প্রার্থী নির্ধারণ নিয়ে দুই উপজেলা নেতাদের সঙ্গে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের মতবিনিময় খুলনায় এনসিপির পদযাত্রা সফল করতে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ জুলাই শহীদ বিপ্লবের কবর জিয়ারত করলেন জামায়াতের জেলা আমির কেশবপুরে গাঁজা ও ইয়াবা সেবনের অপরাধে তিন জনের কারাদণ্ড স্বৈরাচারের দোসররা যেন কোনক্রমে বিএনপিতে অনুপ্রবেশ করতে না পারে  দিঘলিয়ায়- আজিজুল বারী হেলাল কেশবপুরে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে ফল মেলার উদ্বোধন তেরখাদায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে হলদে পাখি সম্প্রসারণের লক্ষ্যে মতবিনিময় সভা ১৮ দলীয় শহীদ জিয়া স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টে, খুলনা নর্থ চ্যাম্পিয়ন যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভুয়া চিকিৎসক আটক যশোরে মাঠ থেকে ছাগল আনতে যেয়ে ধর্ষণের শিকার যশোরে নাশকতা মামলায় সাংবাদিক শিশির কারাগারে মোংলা-ঢাকা আন্তঃনগর ট্রেন চালুর দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি দিঘলিয়ায় চালের দাম বেড়ে বিপাকে সাধারণ মানুষ দিঘলিয়া পরীক্ষার শেষ সময় ছাত্রীর ছবি তোলেন  শিক্ষক, প্রতিবাদে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের ক্ষোভ সেনা ও নৌবাহিনীর অভিযানে অবৈধ অস্ত্র-গু‌লি ইয়াবাসহ ৪ সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার পুলিশ জনগণের সেবক, পুলিশকে ‍দূরে ঠেলে দিবেন না, পদত্যাগ প্রসঙ্গে কেএমপি কমিশনার

পবিত্র হজ্জ আজ

  • প্রকাশিত : শনিবার, ১৫ জুন, ২০২৪
  • ২৬৯ বার শেয়ার হয়েছে

আজ পবিত্র হজ। আরাফাতের ময়দানে থাকার দিন। সেলাইবিহীন শুভ্র কাপড়ে সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সারা বিশ্ব থেকে সমবেত মুসলমানরা আজ থাকবেন সেখানে।

‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হামদা ওয়াননি’মাতা লাকা ওয়াল মুলক, লা শারিকা লাক।’ অর্থাৎ ‘আমি হাজির, হে আল্লাহ আমি হাজির, তোমার কোনো শরিক নেই, সব প্রশংসা ও নিয়ামত শুধু তোমারই, সব সাম্রাজ্যও তোমার’-এ ধ্বনিতে আজ মুখর থাকবে আরাফাতের ময়দান।

মিনায় মুসলি­দের জড়ো হওয়ার মধ্য দিয়ে পবিত্র হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। ৮ জিলহজ শুক্রবার সকাল থেকে মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হলেও বৃহস্পতিবার রাতেই হাজিরা মিনার তাঁবুতে পৌঁছে যান। হজযাত্রীর সংখ্যা বিবেচনায় সৌদি মুয়ালি­মরা আগের রাত থেকেই হজযাত্রীদের তাঁবুর শহর মিনায় নেওয়া শুরু করেন। হজযাত্রীরা বৃহস্পতিবার এশার পর মক্কার নিজ নিজ আবাসন থেকে ইহরাম বেঁধে মিনায় রওয়ানা হন।

মিনায় যাত্রার মধ্য দিয়ে হজ পালনের সূচনা হয়, যা শেষ হবে ১২ জিলহজ শয়তানকে পাথর নিক্ষেপের মধ্য দিয়ে। অন্যান্য দেশের হাজিদের সঙ্গে এবার বাংলাদেশের ৮২ হাজার ৭৭২ হাজিও শুক্রবার সারা দিন মিনার তাঁবুতে অবস্থান করেছেন।

তাঁবুর এই শহর মুখরিত হয়ে উঠেছিল ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক’ ধ্বনিতে। সারা দিন ও রাত তারা মিনায় কাটান ইবাদত-বন্দেগির মধ্য দিয়ে। আল্লাহর নৈকট্য লাভের আশায় মশগুল ছিলেন জিকির ও তালবিয়াতে।

মিনায় পৌঁছে হজযাত্রীরা ফজর থেকে এশা অর্থাৎ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করেন নিজ নিজ তাঁবুতে। ৯ জিলহজ (শনিবার) সূর্যোদয়ের পর হজযাত্রীদের আরাফাতের ময়দানের উদ্দেশে যাত্রা করার কথা থাকলেও শুক্রবার রাতেই তাদের নিয়ে যান মুয়াল্লিমের দায়িত্বশীলরা।

পবিত্র হজ ইসলামের পাঁচ স্তম্ভের একটি। আর্থিকভাবে সমর্থ ও শারীরিকভাবে সক্ষম পুরুষ ও নারীর জন্য তা ফরজ। এবার যারা হজে এসেছেন, তারা আজ সূর্যোদয়ের পর সমবেত হবেন মিনা থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে বিদায় হজের স্মৃতিবিজড়িত আরাফাতের ময়দানে।

সৃষ্টিকর্তার কাছে হাজিরা দিয়ে আত্মশুদ্ধি, মাগফিরাত ও রহমত চাইতে আসা মুসলমানরা আজ জড়ো হয়েছেন আরাফাতের ময়দানে, যাকে হজের মূল অনুষ্ঠান বলা হয়।

তিনদিকে পাহাড়ঘেরা প্রায় চার বর্গমাইল আয়তনের এ বিশাল সমতল মাঠের একপ্রান্তে জাবালে রহমত। অর্থাৎ রহমতের পাহাড়। ১৪শ বছরের বেশি সময় আগে এখানেই শেষ নবি হজরত মোহাম্মদ (সা.) দিয়েছিলেন তার বিদায় হজের ভাষণ।

এ পাহাড়টিকে কেউ কেউ দোয়ার পাহাড়ও বলে থাকেন। বলা হয়ে থাকে, আদি পিতা আদম (আ.) ও আদি মাতা হাওয়া (আ.) পৃথিবীতে পুনর্মিলনের পর এই আরাফাতে এসে আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছিলেন।

এই আরাফাতে উপস্থিত না হলে হজ পূর্ণ হয় না। তাই হজে এসে যারা অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, তাদেরও অ্যাম্বুলেন্সে করে আজ আনা হবে এখানে। ইসলামী রীতি অনুযায়ী, জিলহজ মাসের নবম দিনটি আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করে ইবাদতে কাটানোই হলো হজ।

এখানে মসজিদে নামিরা থেকে হজের খুতবা দেবেন খতিব। এ বছর আরাফাতের ময়দানে হজের খুতবা দেবেন মসজিদুল হারামের জনপ্রিয় ইমাম ও খতিব শায়খ ড. মাহের বিন হামাদ বিন মুয়াক্বল আল মুয়াইকিলি। একই সঙ্গে মসজিদে নামিরাতে নামাজও পড়াবেন তিনি।

তার প্রদত্ত সেই খুতবার বাংলা অনুবাদ করবেন সৌদি আরবে অধ্যয়নরত চার বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ড. খলীলুর রহমান, আ ফ ম ওয়াহিদুর রহমান মাক্কী, মুবিনুর রহমান ফারুক এবং নাজমুস সাকিব। তারা দেশটির বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত। বাংলা ছাড়াও ৪৯টি ভাষায় এদিন অনুবাদ করা হবে হজের খুতবা।

১৯৮১ সাল থেকে টানা ৩৫ বছর হজের খুতবা দিয়েছেন সৌদি আরবের গ্র্যান্ড মুফতি শায়খ আবদুল আজিজ বিন আবদুল্লাহ আশ শায়খ। ২০১৬ সালে তিনি বার্ধক্যজনিত কারণে অবসর নেন। এরপর থেকে প্রতিবছরই সৌদি কর্তৃপক্ষ নতুন খতিব নিয়োগ দিয়ে আসছেন।

ইসলামের বিধান অনুসারে, আজ সূর্যাস্তের পর আরাফাত থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার দূরে মুজদালিফায় গিয়ে রাতযাপন ও পাথর সংগ্রহ করবেন হাজিরা। ১০ জিলহজ ফজরের নামাজ আদায় করে মুজদালিফা থেকে আবার মিনায় ফিরবেন হাজিরা।

মিনায় প্রত্যাবর্তনের পর হাজিদের ১০ জিলহজ পর্যায়ক্রমে তিনটি কাজ সম্পন্ন করতে হয়। শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ, আল্লাহর উদ্দেশে পশু কুরবানি ও মাথা মুণ্ডন করা। এরপর ১১ জিলহজ তিনটি শয়তানকে ২১টি পাথর মেরে হাজিরা তাওয়াফে জিয়ারত করবেন। তাওয়াফে জিয়ারতের মাধ্যমে হজের সবকটি ফরজকাজ সম্পন্ন হবে।

তাওয়াফে জিয়ারত শেষ করে হাজিরা আবারও মিনায় চলে আসবেন এবং রাত্রিযাপন করবেন। ১২ জিলহজ তিনটি শয়তানকে প্রতীকী ২১টি পাথর নিক্ষেপ করে হাজিরা মক্কায় চলে আসবেন। সবশেষে কাবা শরিফকে বিদায়ি তাওয়াফের মধ্য দিয়ে শেষ হবে হজের আনুষ্ঠানিকতা।

চলতি বছর মক্কায় প্রবেশের তাসরিহ বা নুসুক কার্ড ছাড়া কাউকে পাওয়া গেলে ১০ হাজার সৌদি রিয়াল অর্থদণ্ড ও কারাদণ্ডের বিধান করা হয়েছে। ডিজিটাল এ নুসুক কার্ডে সংশ্লিষ্ট হজযাত্রীর প্রয়োজনীয় সব তথ্য থাকে। হজের জন্য মিনা, আরাফাত, মুজদালিফা, মসজিদুল হারামে প্রবেশ করতে চাইলে এ কার্ড অবশ্যই দেখাতে হবে।

গতবারের মতো এবারও প্রচণ্ড গরমের ভোগান্তি সঙ্গী হচ্ছে হজযাত্রীদের। হজের সময় তাপমাত্রা ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসেও পৌঁছাতে পারে বলে হজযাত্রীদের সতর্ক করেছে মক্কার আবহাওয়া দপ্তর।

বলা হয়েছে, এ বছর হজযাত্রীরা কয়েকটি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে পারেন। এর মধ্যে তাপমাত্রার উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি অন্যতম। সৌদি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মুহাম্মদ আল-আব্দুল্লাহিল বলেছেন, উচ্চতাপমাত্রা হজযাত্রীদের স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে। এ কারণে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।

শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:-  ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।