1. info@www.khulnarkhobor.com : khulnarkhobor :
শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫, ০৩:৫৬ অপরাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com    বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৪৭,আপার যশোর রোড (সঙ্গীতা হোটেল ভবন) ,খুলনা-৯১০০।ফোন:০১৭১০-২৪০৭৮৫,০১৭২১-৪২৮১৩৫। মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
খুলনার খবর
সুন্দরবন বিষয়ক শিক্ষা ও সচেতনতামূলক প্রতিযোগিতা দুর্বৃত্তের গুলিতে দৌলতপুর থানা যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি নিহত জুলাই যাত্রা সমাবেশের স্থানে শিবিরের মঞ্চ, স্থান পাচ্ছে না মঞ্চ করার এনসিপি জন্ম থেকেই দুই হাত ও দুই পা নেই, প্রতিবন্ধকতা থামিয়ে রাখতে পারনি মেধাবী লিতুন কে NCP জুলাই যাত্রা খুলনায় আসছে আজ ” বিল ডাকাতিয়ার জলাবদ্ধতা ” নিরাসন ও সমস্যার সমাধান নিয়ে ফুলতলা উপজেলা ইউনিয়ন কার্যালয় বৈঠক করলেন – লবী জুলাই গণহত্যার দায় স্বীকার, রাজসাক্ষী হলেন সাবেক আইজিপি চৌধুরী মামুন বিগত ১৭ বছরে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ওপর দখল, লুটপাট ও নির্যাতনে তারা বিশ্বরেকর্ড গড়েছে :  শফিকুল আলম মনা শ্রী শ্রী জগন্নাথদেবের উল্টো রথযাত্রা উৎসব উদ্বোধন আজ দুর্বৃত্তের হামলায় পুলিশ সুপার অফিসের প্রধান সহকারী জখম জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে শোক ও বিজয়ের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে খুলনা বিএনপির বিভিন্ন কর্মসূচি দিঘলিয়ার সেনহাটি ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে নতুন সদস্য সংগ্রহ ও সদস্য নবায়ন কার্যক্রম শুরু মোরেলগঞ্জে এইচএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র সচিবকে অব্যাহতি কেশবপুরে কেমিস্টস এন্ড ড্রাগিস্টস সমিতির সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত নগরীর ডাকবাংলা দোকান মালিক সমিতির নবনির্বাচিত নেতৃত্বে তরিকুল ও মিন্নু চিত্রনায়িকা পপির চাচা, মিয়া বাবর কে ‘জমিদার বাড়ি’ থেকে বের করে দিলেন – চাচী এবং ভগ্নিপতি ইসলামী ব্যাংকের ফুলতলা ইষ্টান গেট এজেন্ট ব্যাংক শাখায় দুই কোটি টাকা ফেরতের দাবিতে গ্রাহকদের মানববন্ধন জুলাই পদযাত্রার পথে শৈশবে হারিয়ে গেলেন নাহিদ-সারজিস, হাসনাত,রা কেসিসি’র অর্থায়নে মৃত মুসলিমদের গোসলের জন্য স্থায়ীভাবে একটি আধুনিক স্থান নির্ধারণ করলেন খুলনা মহানগর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম তুহিনের সদর থানায় (জিডি)

শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ব্যাহত চিকিৎসা সেবা

  • প্রকাশিত : রবিবার, ২৩ জুন, ২০২৪
  • ১৭৮ বার শেয়ার হয়েছে

মোঃরফিকুল ইসলাম(বেনাপোল)|| চিকিৎসক সংকটসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত যশোরের শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। ২২ জন চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও, এ হাসপাতালে রয়েছেন মাত্র ৫জন। যদিও খাতা-কলমে দায়িত্ব পালন করছেন ৭জন। দুইজনের মধ্যে একজন বেনাপোল ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে এবং আরেকজন যশোর জেলা সিভিল সার্জন অফিসে দ্বায়িক্তরত রয়েছেন।

এছাড়াও সার্জারি যন্ত্রপাতির অপ্রতুলতা, অপরিচ্ছন্নতা, ওয়ার্ডে পানি ও বিদ্যুতের সমস্যা, ময়লা ও দুর্গন্ধযুক্ত বাথরুমসহ নানা সমস্যা রয়েছে হাসপাতালটিতে। প্রায় দু’কোটি টাকা মুল্যের দুটি অপারেশন থিয়েটার দীর্ঘদিন বন্ধ রয়েছে ।

স্থানীয়রা জানান, ১৯৬২ সালে নির্মিত হয় এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি। উপজেলার ১১ ইউনিয়ন, একটি পৌরসভা ও পার্শ্ববর্তী ঝিকরগাছা উপজেলার আংশিক এলাকা সহ অন্তত ৫ লাখ মানুষের স্বাস্থ্যসেবার একমাত্র সরকারি হাসপাতাল এটি। ২০১৫ সালের ৩ মার্চ ৩১ শয্যার হাসপাতালটি ৫০ শয্যায় উন্নীত হলেও, সেবার মান বাড়েনি। দেওয়া হয়নি চাহিদা মতো জনবল। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, হাসপাতালে ২২টি মেডিকেল কর্মকর্তার পদ থাকলেও খাতা-কলমে রয়েছেন ৭জন। হাসপাতালে কর্মরত রয়েছেন ৫জন। বাকি ২জন অন্যত্র ডিউটিতে থাকেন। তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী থাকার কথা ৭৭ জন। সেখানে মাত্র ৩৫জন কাজ করছেন। ২২জন চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী থাকার কথা থাকলেও আছে ১০জন।

হাসপাতালে প্রতিদিন তিন শতাধিক রোগী চিকিৎসা সেবা নিতে আসেন। ভর্তি হন ৩৫-৪০ জন। চিকিৎসা দিতে না পারায় বেশিরভাগ রোগীকে উন্নত চিকিৎসার কথা বলে জেলা হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। রেফার্ডকৃত রোগীদের জন্য যাতায়াতের জন্য এ‍্যাম্বুলেন্স থাকলেও, নতজানু কারণে প্রায় এক মাস ধরে এ‍্যাম্বুলেন্সটি রোগী বহন বন্ধ আছে। হাসপাতালের এ‍্যাম্বুলেন্স রেখে বাইরে থেকে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে প্রাইভেট, মাইক্রো যোগে রোগী উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোর পাঠানো হয়।

হাসপাতালের একমাত্র এক্স-রে মেশিনটি মাঝে মধ্যে ঠিক হলেও ফিল্ম থাকে না। দুটি অপারেশন থিয়েটার থাকলেও চিকিৎসকের অভাবে অব্যবহৃত পড়ে থাকে বছরের পর বছর। প্যাথলজি বিভাগ থাকার পরও পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য রোগীদের বাইরের ক্লিনিকে পাঠানো হয়।

হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা উপজেলার লক্ষণপুর গ্রামের জাহানারা খাতুন জানান, জরুরি বিভাগ থেকে ডাক্তার রোগের কয়েকটি পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য বাইরে থেকে করিয়ে আনতে বলেন, আমরা গরীব এবং স্বল্প খরচে সরকারি হাসপাতালে আসি স্বাস্থ্য সেবা নিতে। টাকা দিয়ে বাইরে থেকে টেস্ট করানোর অবস্থা সবার থাকে না। হাসপাতালের যন্ত্রপাতি ও ডাক্তার সহ সব খাতে নির্দিষ্ট জনবল থাকলে আমাদের জন্য খুবই উপকার হতো। অসুস্থ মাকে নিয়ে হাসপাতালে আসা ছকিনা খাতুন বলেন, সকাল ৮টার দিকে হাসপাতালে এসেছি। সাড়ে ১১টা বাজলো। এখনও আমার রোগী দেখলো না। সেবা নিতে এসে আমরা সেবা পাচ্ছি না।

উপজেলার সামলাগাছি গ্রামের মফিজুর রহমান বলেন, পেটের সমস্যা নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাই। কিন্তু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না থাকায় মেডিকেল অফিসার ব্যবস্থাপত্র দিয়েছেন। কিন্তু ওষুধ খেয়ে অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি।

বেনাপোলের সাহিদুল ইসলাম জানান, তিনি পায়ের ক্ষত নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে যান। সার্জারি বিভাগে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না থাকায় তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে যেতে হয়েছে।

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার মাহফুজা খাতুন জানান, হাসপাতালটি ৫০ শয্যায় উন্নীত হলেও প্রয়োজনীয় সংখ্যক জনবল বাড়ানো হয়নি। হাসপাতালে চিকিৎসক, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির জনবল সংকট রয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে শূন্য পদে জনবল নিয়োগ ও অন‍্যান‍্য সমস্যা গুলো সমাধান হলে জনগণের প্রত‍্যাশা অনুযায়ী চিকিৎসা সেবা দেওয়া সম্ভব হবে বলে জানান।

শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:-  ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।