1. info@www.khulnarkhobor.com : khulnarkhobor :
সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ০৭:০৯ পূর্বাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com    বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৪৭,আপার যশোর রোড (সঙ্গীতা হোটেল ভবন) ,খুলনা-৯১০০।ফোন:০১৭১০-২৪০৭৮৫,০১৭২১-৪২৮১৩৫। মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
খুলনার খবর
কেডিএ আবাসিকের ক্ষতিগ্রস্থ জমির মালিকদের ক্ষতিপুরনের দাবিতে জনসভা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য জরুরি নির্দেশনা ২৬ জুন থেকে শুরু এইচএসসি পরীক্ষা মানতে হবে যেসব নিনির্দেশনা অস্ত্র ও মাদক,সহ সাবেক মহিলা এমপির ছেলে আটক খুলনা কবি সাহিত্যিক ফোরাম’র পথ চলা শুরু দুর্বৃত্তর ছুরিকাঘাতে যুবক গুরুতর জখম খুলনায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে  বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র আহত ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা মহানগর এর মিডিয়া সেল গঠন, আহ্বায়ক নাসির, সমন্বয়কারী কাবির বিদেশ ফেরত যুবককে গলা কেটে হত্যা সুন্দরবনে পর্যটক প্রবেশের অনুমতির দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি মোড়েলগঞ্জে ওয়ার্ড বিএনপির সম্মেলনে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ ১৭ বছর পর লন্ডন প্রবাসী আরিফ বিল্লাহর আগমনে সাজ সাজ রব খুলনায় শুরু হতে যাচ্ছে সাঁতার প্রতিযোগিতা  লাটিচার্জে বিএনপি নেতার চোখ নষ্ট, সাবেক ওসি হাসান আল মামুন কারাগারে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের ঢাকার নেতা জয় খুলনায় গ্রেপ্তার প্রথম দিনে করোনা রোগী শনাক্ত হয়নি – খুমেক টানা ১০ দিনের ছুটি শেষে সব অফিস খুলছে আজ ঈদুল আজহার টানা ছুটি শেষে আজ খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দেশের দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলের হাসপাতালে করোনা পরীক্ষার কিট সংকট, বিকল পিসিআর মেশিন, প্রস্তুত চিকিৎসকরা মোল্লাহাটে মধুমতি নদীতে গোসল করতে নেমে বৃদ্ধ রতন মোল্লা মৃত্যু

পাইকগাছায় নিয়মনীতি উপেক্ষা করে ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠেছে অসংখ্য ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক 

  • প্রকাশিত : রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ১৮৪ বার শেয়ার হয়েছে

মোঃ ফসিয়ার রহমান,পাইকগাছা প্রতিনিধি || “খুলনার পাইকগাছা উপজেলায় সরকারি নিয়মনীতি উপেক্ষা করে ব্যাঙের ছাতার মত গড়ে উঠেছে অসংখ্য ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার। সরজমিনে দেখা যায়

উপজেলার সদর,বাঁকা,কপিলমুনি ও চাঁদখালীতে নিয়মিত ডাক্তার-নার্সসহ অতি প্রয়োজনীয় চিকিৎসার যন্ত্রপাতি ছাড়াই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার ব্যাঙের ছাতার মত গড়ে উঠেছে। সরকারি হাসপাতাল থেকে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে বেসরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান স্থাপনের নীতিমালা থাকলেও সেটাও মানা হয়নি কোথাও। অভিযোগ আছে, হাসপাতাল থেকে দালালদের মাধ্যমে রোগী ভাগিয়ে নেয়া হয় এসব ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে। যেখানে হাসপাতালের কোন কোন ডাক্তারদের হাত ও রয়েছে। যেখান থেকে আদায় করা হয় মোটা অংকের কমিশন। কোন কোন সরকারি ডাক্তার ও গড়ে তুলেছে ব্যক্তিগত ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার। হাসপাতালে অনেক রোগীকে বাড়তি সুবিধা দেয়ার কথা বলে সেখানে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে। ফলে প্রতারিত হচ্ছে সাধারণ মানুষ। নীতিমালা অনুযায়ী সরকারি হাসপাতাল থেকে এক কিলোমিটার বা বিশেষ ক্ষেত্রে আধা কিলোমিটারের ভেতরে ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার স্থাপনের সুযোগ নেই। কিন্তু পাইকগাছা হাসপাতালের চারপাশে কয়েক শ’ গজ দুরে গড়ে উঠেছে ৬টি ক্লিনিক ও ১১টি ডায়াগনস্টিক সেন্টার। কপিলমুনিতে ৪টি, বাঁকা বাজারে ৫টি, চাঁদখালীতে ১টি বেসরকারি ক্লিনিক রয়েছে এছাড়াও রয়েছে অনেকগুলো ডায়াগনস্টিক সেন্টার।

অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে গড়ে উঠা এসব প্রতিষ্ঠানে নেই প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা। নেই সার্বক্ষণিক ডাক্তার, ডিপ্লোমা নার্স, টেকনিশিয়ান, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ প্রয়োজনীয় জনবল। বলতে গেলে প্রয়োজনীয় চাহিদার ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধা বিদ্যমান নেই। আছে নিবন্ধনের জটিলতা। দক্ষ টেকনিশিয়ান ও উন্নত মানের যন্ত্রপাতি না থাকায় পরীক্ষা নিরীক্ষায় সাধারাণ মানুষ হচ্ছে প্রতারিত। উন্নত চিকিৎসা সেবার নামে বড় বড় নামী দামী ডাক্তারের নামের তালিকাও সাইন বোর্ডে দেয়া হয়। অথচ তারা এখানে কখনও আসে কিনা এটাই দেখার বিষয়। ডাক্তার না থাকলেও নিজেরা জটিল জটিল রোগী অপারেশন করে থাকে এমনটিও শোনা যায়। এমনকি নর্মাল ডেলিভারি করার কথা থাকলেও সেজার করার প্রবনতা লক্ষ্য করা যায় বলে পাইকগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সদ্য সাবেক উপজেলা স্বাস্থ্য ও পপ কর্মকর্তা ডাঃ নিতীশ চন্দ্র গেলদার জানিয়েছিলেন। যে কারণে অনেকেই সেবা নিতে এসে মারাও গেছে অনেক প্রতিষ্ঠানে।

১০ বেডের একটি ক্লিনিকের অনুমোদনের ক্ষেত্রে শুধু রোগীর ওয়ার্ডের জন্য প্রতি বেডে ৮০ বর্গফুট করে মোট ৮’শ বর্গফুট জায়গা লাগবে। সেই সঙ্গে ওটি রুম, পোস্ট ওপারেটিভ রুম, ওয়াস রুম, ইনস্ট্রুমেন্ট রুম, লেবার রুম, ডক্টরস ডিউটি রুম, নার্সের ডিউটি রুম, অপেক্ষমাণ কক্ষ, অভ্যর্থনাকক্ষ, অফিস কক্ষ, চেইনঞ্জিং রুম,স্টেরিলাইজার রুম, ভান্ডার রুমসহ সামঞ্জস্যপূর্ণ অন্তত ১৩টি রুম থাকতে হবে। পুরুষ ও মহিলাদের জন্য পৃথক প্রয়োজনীয় সংখ্যক টয়লেট, প্রশস্ত সিঁড়ি, জেনারেটর, ওটি রুমে শীততাপ

নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা, ওটি টেবিল, পর্যাপ্ত ওটি লাইট, সাকার মেশিন, অ্যানেসথেসিয়া মেশিন, ডায়াথারমি মেশিন, জরুরি ওষুধসমূহের ট্রে, রানিং ওয়াটার, অক্সিজেন, আইপিএসের ব্যবস্থা থাকতে হবে। সাধারণ বর্জ্য, ধারালো বর্জ্য, জীবাণুযুক্ত বর্জ্য, তরল বর্জ্যসহ সব ধরনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনাও থাকা অত্যাবশ্যকীয়। জনবলকাঠামোতে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার, তিন জন ডিউটি ডাক্তার, ছয় জন ডিপ্লোমা নার্স, প্রয়োজনীয় অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারী, ওয়ার্ডবয়, আয়া, ক্লিনার থাকতে হবে। কিন্তু এসব নিয়ম-নীতির কোনো তোয়াক্কা না করে ছোট ছোট তিন-চার রুমের বাসাবাড়িতে ক্লিনিক গড়ে তুলে চিকিৎসার নামে প্রতারণা চলছে হরদম।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মাহবুবুর রহমান বলেন, ইতিমধ্যে একটি ক্লিনিকে অভিযান চালিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা করা হয়েছে। এ অভিযান অব্যহত থাকবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহেরা নাজনীন বলেন, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভ্রাম্যমাণ আদালত চলমান রয়েছে। এটা অবহ্যত থাকবে।

শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:-  ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।