অতনু চৌধুরী(রাজু)বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধি ||
বাগেরহাটের মোংলায় ভারী বর্ষণে শহরের বেশিরভাগ এলাকা ও প্রধান প্রধান সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন ওইসব এলাকার মানুষ। জলাবদ্ধতায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন নিম্ন অঞ্চলের মানুষেরাও।
গত শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে আজ রোববার পর্যন্ত মুষলধারে বৃষ্টিতে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।মোংলা শহরের পাশাপাশি নিম্নাঞ্চলও পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। বৃষ্টির পানি নামতে না পারায় ভোগান্তিতে পানিবন্ধি হয়ে পড়েছেন অনেক মানুষ।
রোববার বেলা ১১টার দিকে সরজমিন ঘুরে দেখা যায়, মোংলা শহর’সহ বিভিন্ন এলাকা পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। এক ফুটের বেশি পানি রয়েছে বা পৌরসভার রাস্তায় অনেক পানি দেখা যায়। অনেকের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও বাসাবাড়িতে পানি উঠে গেছে। সড়কে পানি জমে থাকায় ভোগান্তি বেড়েছে কয়েকগুণ। পানিবন্দি পরিবারগুলো এখন দুর্বি’সহ জীবনযাপন করছে।
এদিকে টানা বৃষ্টির ফলে পেটের টানে রাস্তায় বের হওয়া ইজিভ্যান ও ইজিবাইক চালকরা চরম বিপাকে পড়েছেন। যাত্রী না থাকায় যেমন আয় নেই।
এক খুদে বার্তায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়,বৃষ্টির পানিতে বাগেরহাট সদর,রামপাল,মোরেলগঞ্জ,শরণখোলা,মোংলা, কচুয়ার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পানিতে অনেকের পুকুর ও মাছের ঘের তলিয়ে গেছে।
এ বিষয়ে সোহাগ খান নামে এক ইজিবাইক চালক বলেন, চারজনের সংসার চলে আমার ওপর। তাই তো সকালে বৃষ্টির মধ্যে ইজিবাইক নিয়ে বের হয়েছি। কিন্তু লোকজন নেই। ১১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত ১০০ টাকা হইছে কি না তা বলতে পারবো না। কি আর করা, একে তো বৃষ্টি তার ওপর রাস্তাগুলো পানিতে প্লাবিত হচ্ছে, মানুষ বের হয়ে কোথায় যাবে।
এ বিষয়ে তিনি আরও বলেন,শহরের রাস্তাগুলো ভাঙা, এরইমধ্যে লাগাতার বৃষ্টি। বৃষ্টি হলেই শহরের অধিকাংশ রাস্তায় জমে থাকে পানি। যাত্রী পাওয়া যায় না। ইনকাম করতে কষ্ট হয়। এতে আমাদের দুর্ভোগের শেষ নেই।
এ বিষয়ে মোংলার জয়মনি এলাকার বাসিন্দা রাবেয়া নামের এক নারী বলেন,সামান্য বৃষ্টি হলেই ঘরের মেঝেতে পানি উঠে যায়। আমাদের এখানকার ৬’টি পরিবাবের একই অবস্থা। বৃষ্টি ও নদীর পানি না কমা পর্যন্ত আমরা দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পাব না।
এ বিষয়ে মোংলা উপজেলা মিঠাখালী ইউনিয়নের দওেরমেঠ এলাকায় অচিন্ত চৌধুরী নামের এক মৎস্য চাষি বলেন, আমাদের মৎস্য ঘেরে জোয়ারের পানিতে বড় কোন প্রভাব ফেলতে না পারলেও,বৃষ্টির পানিতে ঘেরের ব্যপক ক্ষতি করেছে। বেরি তলিয়ে ঘেরের চিংড়ি মাছ’সহ সকল প্রকার মাছ বের হয়ে গেছে। এই ভারী বৃষ্টির পানিতে অনেকেরই ঘের তলিয়ে গেছে। কারও কারও ঘেরের বেরি ভেঙ্গে গেছে। আমার নিজের ঘেরও তলিয়ে গেছে। এখনো নদী-খালে পানিতে পরিপূর্ণ থাকায় বৃষ্টির পানি মাঠ থেকে নামতে পারেনি, সবগুলো ঘের ডুবে রয়েছে বা যাচ্ছে।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।