এস.এম.শামীম,দিঘলিয়া || দিঘলিয়ায় রেকর্ডীয় ভিপি জমিতে পাকা বাড়ী বছর পেরিয়ে গেলেও জমি উদ্ধার করতে পারেনি ভূমি অফিস।
খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার সেনহাটি ইউনিয়ন এর লুৎফরের বটতলা নামক স্থানে প্রায় ৪০ শতাংশ জমি নিয়ে গড়ে উঠেছে ১ তলা বিশিষ্ট আলিশান একটি ছাদ করা বাড়ি।২০-২১ সালের শেষ দিকে ঐ বাড়ির সামনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: মাহাবুবুল আলম দিঘলিয়া উপজেলা সহসহকারী কমিশনার (ভূমি)অফিস এর নেতৃত্বে একটি সাইনবোর্ড দেওয়া হয়, তাতে উল্লেখ করা হয় এই জমি সরকারী সম্পত্তি।এবং জমির পরিমাণ দাগ নাম্বারসহ বিস্তারিত উল্লেখ করা ছিল।
কিন্তু হটাৎ করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: মাহাবুবুল আলম এর পদোন্নতি জনিত কারণে বদলি হয়ে যাওয়ায় ২২-২৩ সালে উক্ত জমির ওপরে থাকা সেই সাইনবোর্ডটি উধাও হয়ে যায়।এবং প্রধান সড়কের পাশে উক্ত জমি থাকায় তড়িঘড়ি করে রাস্তার পাশে টিনের বেড়া দিয়ে ভিতরে তৈরি হয় আলিশান ১ তলা বিল্ডিং। এতে করে সাধারণ মানুষের মধ্যে সন্দেহের সৃষ্টি হলে তারা নানাভাবে আলোচনা সমালোচনা করতে থাকলে এক পর্যায়ে উক্ত জমির বিআরএস দাগ নাম্বার ২০০৩ নিয়ে খোঁজ নেওয়া হয়।
সেনহাটি ইউনিয়ন ভূমি অফিসে সেখানে গিয়ে ঐ দাগ নাম্বার দিয়ে সরকারী তালিকায় লিপিবদ্ধ থাকা বইয়ের থেকে জানা যায় উক্ত সম্পত্তি সম্পূর্ণ ভিপি যার ক্রমিক নং ১৯৪ লিস কেস নং-৩৫৪ /৬৬/৬৭ তাং- ২১/৯/৬৭ ইং।
এ বিষয়ে উপজেলা সরকারি কমিশনার সাবেক (ভূমি) মো: জাকির হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে।পরবর্তীতে এবং ঐ জমিতে বসবাসরত প্রভাবশালী তাইজুল ব্যাপারী ও তার পরিবার জানান,তাদের কাছে জমির দলিল রয়েছে। এক পর্যায়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) দেবাংশু বিশ্বাসকে চলতি ২ মাসে ৭-৮ বার বিষয়টি আবারও অবগত করা হয়।কিন্তু আদৌ হয়নি উক্ত জমি উদ্ধার বা উচ্ছেদ অভিযান।
এবিষয়ে দিঘলিয়া উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার ও প্রধান সহকারী জাহাঙ্গীর আলম সুমন,সহকারী মো: শামীমসহ অনেকের সাথে কথা হয় কিন্তু এক সাহেব বলেন ঐ সাহেব এর কাছে আবার সেই সাহেব বলেন ঐ সাহেব এর কাছে এভাবেই চলতে থাকে।
বিষয়টি একাধিক বার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: খান মাসুম বিল্লাহকে ও অবগত করা হয়।কিন্তু তাতেও কোন লাভ হয়নি।এক পর্যায়ে তাইজুল বেপারীর বাড়িতে জমি এবং বাড়ি সম্পর্কে ও সরকারী সাইনবোর্ডের বিষয়ে জানতে চেয়ে উক্ত বাড়িতে গণমাধ্যম কর্মী গেলে তারা বলেন,এই জমি আমাদের আমাদের দলিল আছে তখন দলিল দেখতে চাইলে তাইজুল ব্যাপারীর স্ত্রী জানান দলিল কোর্টে রয়েছে আমাদের মামলা চলছে।
এবিষয়ে জাহাঙ্গীর আলম সুমন বেশ কিছু কাগজপত্র উক্ত গণমাধ্যম কর্মীকে দেখিয়ে বলেন এই জমি রেকর্ড করা হয়েছে রেকর্ড করে দিয়েছেন ডিসি সাহেব।সর্ব শেষ গত ২২শে সেপ্টেম্বর পুনরায় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি ) দেবাংশু বিশ্বাস এর নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের পক্ষ থেকে নোটিশ করা হয়েছে ১০-১৫ দিন সময় দেওয়া হয়েছে।আমরা নিয়ম মেনে কাজ করছি।কিন্তু এলাকাবাসীর মধ্যে সংশয় দীর্ঘ কয়েক বছর পেরিয়ে গেলেও কেন উক্ত জমি এখনো উদ্ধার করা হয়নি।দিঘলিয়ায় রেকর্ডীয় ভিপি জমিতে পাকা বাড়ী বছর পেরিয়ে গেলেও জমি উদ্ধার করতে পারেনি ভূমি অফিস।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।