1. info@www.khulnarkhobor.com : khulnarkhobor :
সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ০১:১৮ অপরাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com    বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৪৭,আপার যশোর রোড (সঙ্গীতা হোটেল ভবন) ,খুলনা-৯১০০।ফোন:০১৭১০-২৪০৭৮৫,০১৭২১-৪২৮১৩৫। মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
খুলনার খবর
বিএনপির প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেতে লাগবে তিন যোগ্যতা প্রতিপক্ষের হামলায় ৭০ বছর বয়সী সিরাজ ফকিরসহ একই পরিবারের ৫ জন আহত নগরীর রেলিগেটে আলামিন সরদার (৩২) নামে এক যুবককে কুপিয়ে জখম আষাঢ়ের প্রথম দিন আজ শুরু হলো বর্ষাকাল, টানা পাঁচদিন বৃষ্টির সম্ভাবনা কেডিএ আবাসিকের ক্ষতিগ্রস্থ জমির মালিকদের ক্ষতিপুরনের দাবিতে জনসভা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য জরুরি নির্দেশনা ২৬ জুন থেকে শুরু এইচএসসি পরীক্ষা মানতে হবে যেসব নিনির্দেশনা অস্ত্র ও মাদক,সহ সাবেক মহিলা এমপির ছেলে আটক খুলনা কবি সাহিত্যিক ফোরাম’র পথ চলা শুরু দুর্বৃত্তর ছুরিকাঘাতে যুবক গুরুতর জখম খুলনায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে  বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র আহত ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা মহানগর এর মিডিয়া সেল গঠন, আহ্বায়ক নাসির, সমন্বয়কারী কাবির বিদেশ ফেরত যুবককে গলা কেটে হত্যা সুন্দরবনে পর্যটক প্রবেশের অনুমতির দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি মোড়েলগঞ্জে ওয়ার্ড বিএনপির সম্মেলনে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ ১৭ বছর পর লন্ডন প্রবাসী আরিফ বিল্লাহর আগমনে সাজ সাজ রব খুলনায় শুরু হতে যাচ্ছে সাঁতার প্রতিযোগিতা  লাটিচার্জে বিএনপি নেতার চোখ নষ্ট, সাবেক ওসি হাসান আল মামুন কারাগারে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের ঢাকার নেতা জয় খুলনায় গ্রেপ্তার

এবার ‘রাষ্ট্রপতিকে অপসারণের দাবি; হাটবে কি সেই পথে সরকার?

  • প্রকাশিত : রবিবার, ৬ অক্টোবর, ২০২৪
  • ১০৩ বার শেয়ার হয়েছে

ইমরুল ইসলাম ইমন,ঢাকা || আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ও অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে দেশের প্রধান বিচারপতি,আপিল বিভাগের বিচারপতি,অ্যাটর্নি জেনারেল,পুলিশ কর্মকর্তা,বিভিন্ন সরকারি দপ্তর,বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য,ব্যাংক খাতসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক রদবদল দেখা গেছে। আর এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনের অপসারণের দাবি উঠেছে। এদিকে আইনজীবীরা রাষ্ট্রপতির অপসারণের প্রক্রিয়া সম্পর্কে মন্তব্য করেছেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুজন কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক হঠাৎ করে একই সঙ্গে মোঃ সাহাবুদ্দিনকে অনতিবিলম্বে রাষ্ট্রপতির পদ থেকে অপসারণের দাবি জানিয়েছেন।ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পর সমন্বয়করা যখনই দাবি তুলেছেন তখনই রাষ্ট্রের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে পরিবর্তন আসতে দেখা গেছে।

সরকার এবারও তাদের দাবি মেনে নিয়ে রাষ্ট্রপতি অপসারণের পথে হাঁটবে কি না? অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুলের কাছে এই প্রশ্নের উত্তর জানতে চাওয়া হলে তিনি ‘এখনই’ এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাচ্ছেন না বলে জানান।

গত বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) দুপুরে সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ তার ভেরিফায়েড ফেসবুক প্রোফাইল থেকে একটি পোস্টে সর্বপ্রথম রাষ্ট্রপতি অপসারণের দাবি জানান। তার কয়েক ঘণ্টা পর সমন্বয়ক সারজিস আলমও তার ভেরিফায়েড ফেসবুক প্রোফাইল থেকে একই কথা লিখে পোস্ট করেন।এরপরই এই বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে শুরু করে গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

তাদের দুজনের পোস্টেই মোট ৫ দফা দাবি ঘোষণা করা হয়েছে।

রাষ্ট্রপতিকে অপসারণের বাইরে বাকি চারটি দাবি হলো–
১। আওয়ামী লীগের বিচার নিশ্চিতকরণ।
২। নতুন সংবিধান গঠন,
৩। আওয়ামী দুর্নীতিবাজ আমলাদের পরিবর্তন ।
৪। হাসিনার আমলে করা সব অবৈধ চুক্তি বাতিল।

ঠিক কী কী কারণে তারা হঠাৎ করে এসব দাবি, বিশেষ করে রাষ্ট্রপতির অপসারণের দাবি তুলেছেন, এ বিষয়ে জানতে গণমাধ্যম দিনভর উভয়ের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাদের কেউই কোনো সাড়া দেননি।

পরবর্তীতে একপর্যায়ে কথা হয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসুদের সঙ্গে। তিনি জানান, তারা সবাই ওই দাবির সঙ্গে একমত।সেক্ষেত্রে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আসলে ঠিক কী কারণে রাষ্ট্রপতির অপসারণ চাচ্ছেন?

এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘একটি বিপ্লবের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন হইছে। তাই ফ্যাসিস্ট হাসিনার নির্ধারিত রাষ্ট্রপতি থাকলে তা যেকোনো সময় রাষ্ট্রের জন্য হুমকিস্বরূপ হয়ে উঠতে পারে।’

‘এই কারণে আমরা মনে করি, ওনাকে সহজ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সসম্মানে কিভাবে বিদায় দেওয়া যায়, সেদিকটা নিয়ে ভাবা উচিত। উনি ফ্যাসিজমের একটি সিম্বল। সেই সিম্বলটা থাকা উচিত না।

কোন প্রক্রিয়ায় অপসারণ করা হবে রাষ্ট্রপতি?

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের দাবি মেনে সরকার যদি সত্যিই রাষ্ট্রপতিকে অপসারণ করতে চায়, তবে তারা কোন পথ অবলম্বন করবে?

আইনজীবীরা বলছেন, এই মুহূর্তে সেটি একটি বড় প্রশ্ন হিসেবে দাঁড়াবে। কারণ এই সরকারের আইনগত বৈধতা নিয়েই প্রশ্ন আছে। সংবিধান অনুযায়ী সংসদের দুই-তৃতীয়াংশ ভোটের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতিকে অপসারণ করতে হয়। বাংলায় যাকে বলে অভিশংসন।

একাধিক সিনিয়র আইনজীবী মন্তব্য করেছেন, অভিশংসনের জন্য ‘সংসদ লাগবেই’। তবে রাষ্ট্রপতি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করলে তখন আর সংসদ লাগবে না, জানিয়েছেন তারা।

রাষ্ট্রপতি পদত্যাগ করলে, রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব কে পালন করবেন?

এ বিষয়ে সংবিধান বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, রাষ্ট্রপতি যদি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেন বা মৃত্যুজনিত কারণে পদ শূন্য হয়, তখন স্পিকার অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করবেন। তবে বাংলাদেশের বিদ্যমান রাষ্ট্রব্যবস্থায় স্পিকার-সংসদ কোনোটাই নেই।

সেই সঙ্গে স্পিকার অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি হলে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে ‘ওই সংসদ দ্বারাই নতুন রাষ্ট্রপতি’ নির্বাচন করতে হবে। ‘অতএব, রাষ্ট্রপতিকে অপসারণের জন্য বৈধ কোনো পন্থা নাই।

এখন বর্তমান সরকার যেভাবে কাজ করছে, তাতে সংবিধানের মধ্য দিয়ে বৈধতা-অবৈধতা সাংবিধানিক পদ্ধতিতে খুঁজে পাওয়া কঠিন।তাই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের এই রাষ্ট্রপতিকে অপসারণের পদ্ধতি কী হবে, সেটার জন্য তাদেরকে এখন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ থেকে রেফারেন্স নিতে হবে।

শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:-  ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।