1. info@www.khulnarkhobor.com : khulnarkhobor :
বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫, ০২:৪৩ অপরাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com    বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৪৭,আপার যশোর রোড (সঙ্গীতা হোটেল ভবন) ,খুলনা-৯১০০।ফোন:০১৭১০-২৪০৭৮৫,০১৭২১-৪২৮১৩৫। মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
খুলনার খবর
খুলনায় শেখ হাসিনাসহ ১৫৬ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন, আদেশ বিকাল তিনটায় || বাংলাদেশ নৌবাহিনীর বহরে যুক্ত হতে যাচ্ছে ডাইভিং বোট পানকৌরি, গাংচিল ও মাছরাঙ্গা এর কমিশনিং মেধা বাড়াতে চাইলে বদলে ফেলুন এই অভ্যাসগুলো পেয়ারা পাতার রয়েছে অসাধারণ স্বাস্থ্যগুণ যা আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানেও স্বীকৃত কোন ভি’টামিনের অভাবে দিনভর শুয়ে-বসে থাকতে ইচ্ছা হয়, জেনে নিন  রাতের ৩টার দিকে প্রায়ই ঘুম ভেঙে যাওয়া কীসের ইঙ্গিত? খুলনার এসআই সুকান্ত, চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশি হেফাজতে ভেঙে গেছে সংগীতশিল্পী কণার সংসার, স্বামীর সাথে হয়েছে বিচ্ছেদ ৮ ই আগস্ট ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’, ১৬ জুলাই ‘শহীদ আবু সাঈদ দিবস’ মাদক ব্যবসায়ীর চাপাতির কোপে আহত ‘দৈনিক পূর্বাঞ্চল’ প্রতিনিধি কেএমপি কমিশনারকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণের দাবি বিএনপির ৯ দিন ব্যাপী শ্রী শ্রী জগন্নাথদেবের রথযাত্রা মহোৎসব শুরু হচ্ছে আগামী শুক্রবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নির্বাচনে সভাপতি রিফাত, সম্পাদক ইনামুল ২৮ জুন ঢাকায় মহাসমাবেশ সফলে ইসলামী আন্দোলন নগর কমিটির প্রস্তুতি সভা দিঘলিয়ায় বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষ্যে র‍্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত আলফাডাঙ্গা পৌরসভার দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ছাত্র জনতার বিক্ষোভ বোয়ালমারীতে সাবেক ইউপি সদস্যের বাড়িতে ডাকাতি নৌবাহিনীর বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি-২০২৫ কার্যক্রমের উদ্বোধন করলেন – নৌবাহিনী প্রধান খুলনায় ২ লিটার বিদেশী মদ ও মাদক বিক্রয়লব্ধ টাকা সহ ১ জন আটক মোংলায় এক ছাত্রীকে অপহরণ, ধরাছোঁয়ার বাইরে আসামী

ডুমুরিয়া উপজেলার পানিবন্দি হাজারো পরিবার; সরকারি সাহায্য সহযোগিতার পরিমাণ যথেষ্ট নয়

  • প্রকাশিত : রবিবার, ৬ অক্টোবর, ২০২৪
  • ১২৫ বার শেয়ার হয়েছে

সরদার বাদশা,নিজস্ব প্রতিবেদক || খুলনা ডুমুরিয়া উপজেলা পানিবন্দী হাজারো পরিবার বন্যায় তলিয়ে গেছে উপজেলার স্কুল কলেজ রাস্তাঘাট সহ অধিকাংশ এলাকা, এখনো অনেক এলাকায় পৌঁছায়নি সরকারি কোন সহযোগিতা,এমন পরিস্থিতির ভিতর মানুষ বন্যার পানির মধ্য দুর্বিসহ জীবন যাপন করছে,উপজেলার ১৪ টি ইউনিয়নের মধ্য প্রতিটি ইউনিয়ান বন্যার পানিতে তলিয়ে আছে। বিশেষ করে মাগুরাঘোনায়,আটলিয়া, মাগুরখালী, রংপুর ইউনিয়ন বন্যার পানিতে তলানো এক মাসের মত বন্যা পরিস্থিতির তেমন কোন উন্নতি হয়নি। পৌঁছায়নি সরকারি পর্যাপ্ত পরিমাণ কোন সাহায্য। বন্যায় বিভিন্ন ইউনিয়নের কয়েক হাজার গ্রাম পানি বন্দি রয়েছে তলিয়ে গেছে হাজারো বিঘা ফসলী জমি, মৎসঘের বিশেষ করে মাগুরাঘোনা ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামে পনিবন্দি রয়েছে প্রায় দুই হাজার পরিবার। বন্যা দুর্গত এসব মানুষেরা চরম মানবেতর ভাবে অনাহার অর্ধাহারে ঘরবাড়ি ছেড়ে রাস্তার উপর খুপড়ী ঘরে বসবাস করছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে সাম্প্রতিক বন্যায়  অতি ভারী বর্ষণ এবং পানি নিষ্কাশন বাধাগ্রস্ত না থাকায় পনিতে তলিয়ে যায় মৌসুমি রোপা আমন ধান ও সবজি ক্ষেত। পানিতে ভেসে গেছে হাজারএকর জমির মাছের ঘের। তলিয়ে গেছে বসত বাড়িঘর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ মন্দির, গ্রাম্য রাস্তাঘাট। ধসে পড়েছে মাটির তৈরি ঘরবাড়ি। এতে দীর্ঘদিন ধরে গ্রাম্য যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। দেখা দিয়েছে মানুষ ও গো-খাদ্যের চরম সংকট। আবার বিশুদ্ধ খাবার পানির অভাবে দুর্গত এলাকায় দেখা দিয়েছে শিশুদের মধ্যে পানি বাহিত বিভিন্ন রোগ। বন্যায় উপজেলার ধামালিয়া, রঘুনাথপুর, রদাঘরা, খর্ণিয়া, আটলিয়া, মাগুরাঘোনা, শোভনা, সাহস, শরাফপুর, ভন্ডারপাড়া, ডুমুরিয়া, রংপুর, গুটুদিয়া মাগুরখালীসহ উপজেলাব্যাপী ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে মাগুরঘোনার ১২টি গ্রামের মধ্যে বাদুড়িয়া, ঘোষড়া, কাঞ্চনপুর, ডাঙ্গীরপার হোগলাডাঙা, বেতাগ্রাম এলাকায় বসত বাড়িঘর গোয়ালঘর ও রান্না ঘরের মধ্যে ৩/৫ ফুট পর্যন্ত পানি জমে আছে। এতে পরিবারের স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যাহত হচ্ছে। কর্মহীন হয়ে পড়েছে  শ্রমজীবী মানুষ। তারা কর্মস্থল ছেড়ে দিয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন নির্বাহ করছেন।

ভুক্তভোগী আজিজুল ইসলাম, রেজাউল করিম, মশিউর রহমান, খলিজুর রহমান এলাকাবাসী জানায়, ৪ সপ্তাহ আগে অতিবৃষ্টির কারনে বন্যায় রুপ নেয়। কিন্তু পরিস্থিতির তেমন কোন উন্নতি হয়নি। আজও পর্যন্ত অসহায় দুর্গত মানুষের মাঝে সরকারি-বেসরকারি যে সাহায্য সহযোগিতা এসেছে তা তুলনামূলকভাবে কম, কো সংস্থার পক্ষে থেকে কোন ত্রাণ বা সাহায্য পাওয়া যায়নি । তারা সরকারের সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করেছেন। তারা বলেন, প্রায় ২০ দিন আগে বন্যা দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার। ৬ নম্বর মাগুরাঘোনা ইউনিয়নের ইউপি সদস্য ইউপি চেয়ারম্যান শেখ মোঃ রফিকুল ইসলাম হেলাল বলেল, প্রায় দুই হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এবারের বন্যা খুব ভয়াবহ। ইতোপূর্বে অনেক বন্যা হয়েছে। কিন্তু এমন দৃশ্য কখনও দেখিনি। বন্যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেচ ও খাল খননের কোন বিকল্প নেই। দ্রুত পানি নিষ্কাশনের লক্ষে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ জরুরি বলে মনে করেন তিনি। তিনি আরো বলেন আমার ইউনিয়নের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার কিছু সহযোগিতা করেছেন যেটা পর্যাপ্ত পরিমাণ নয়। ৫নং আটলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শেখ হেলাল উদ্দিন, জানান ইউনিয়নের অনেক গ্রাম পানি বন্ধ অবস্থায় আছে বিষয়টি উদ্ধত কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে, সরকারিভাবে পর্যাপ্ত পরিমাণ সাহায্য ও সহযোগিতা আমরাও পাইনি,এ বিষয়ে জানতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আল-আমীনের সরকারি সেলফোনে একাধিকবার কল করেও পাওয়া যায়নি। ফলে তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:-  ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।