মোঃ রাজু হাওলাদার, খুলনা || ২০২০ সালের ৮ এপ্রিল থেকে খুলনা-চুকনগর-সাতক্ষীরা মহাসড়কের খুলনা শহরাংশের সড়টি নগরীর ময়লাপোতা মোড় থেকে গল্লামারী হয়ে জিরোপয়েন্ট পর্যন্ত এই সড়কটি চারলেনে উন্নীত করা হয়। এই অংশটুকু শেরেবাংলা সড়ক হিসেবেই পরিচিত। প্রায় চার কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের সড়কটি নির্মাণে ব্যয় হয় ১০০ কোটি ৭০ লাখ টাকা।মুলত যানজট নিরসনে সড়কে চলাচলে নাগরিক সুবিধার জন্যই তৈরি করা হয় এই সড়কটি।
অথচ এতো টাকা খরচ করেও বিন্দু মাত্র সুফল লাভ হয়নি সড়কে চলাচলরত গাড়ি কিংবা পথচারিদের।খুলনার নিরালা মোড় এলাকার রাস্তায় দীর্ঘ দিন ধরে অবৈধভাবে বাজার ও দোকান করছে ব্যবসায়ীরা। ফলে নগরীর ময়লাপোতা থেকে গল্লামারী যাওয়ার প্রধান সড়কটি শেরেবাংলা সড়কের চার লেন সড়কে বিশৃঙ্খল অবস্থা। রাস্তায় অবৈধ ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সা ও ইজিবাইক নিরালা মোড়ে স্ট্যান্ড করায় যানবাহন চলাচলের পথ সংকুচিত হয়ে গেছে। সড়কটিতে ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত যানজট লেগেই থাকে। এতে শিক্ষার্থী, অফিসগামী মানুষ ও এলাকাবাসীর ভোগান্তি চরমে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, প্রধান সড়কের দুই পাশের ফুটপাতে অবৈধ বাজার বসেছে।এবং রাস্তা জুড়ে অটোস্ট্যান্ড করে যানচলাচলে বিঘ্ন ঘটাচ্ছে।পাশাপাশি অবৈধ বাজার বসায় সেই বাজারের উচ্ছিষ্ট ময়লা আবর্জনা সব রাস্তার পাশে ফেলার কারনে দুর্গন্ধের সৃষ্টি হচ্ছে।ফলে এই সড়কটি দিয়ে চলাচলরত শিক্ষার্থী, অফিসগামী মানুষ ও এলাকাবাসীকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
এলাকায় মূল বাজার না থাকায় ফুটপাত ও প্রধান সড়কের উপর পসরা সাজিয়ে বসেছে ভাসমান এসব ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা।নগরীর ময়লাপোতা এলাকায় সন্ধ্যাবাজারের বাইরের সড়কে প্রতিনিয়ত রাতে ক্ষুদ্র মাছ ও তরকারির বিক্রেতারা তাদের পন্যের পসরা সাজিয়ে বসে।পাশাপাশি নগরীর নিরালা মোড়েও একই চিত্র দেখা যায়। এসব বাজারে বেচাকেনা তুলনামূলক বেশি থাকায় বিক্রেতারা যাচ্ছেতাইভাবে দখল করে আছে রাস্তা।এতে করে প্রতিনিয়ত ভয়াবহ যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে ভোগান্তিতে পড়ছেন পথচারীরা আর সহজেই যত্রতত্র রাস্তার উপর বাজার বসায় অহরহ ঘটছে দূর্ঘটনা।
এসব ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির পাশাপাশি ভ্যানে করে জামা-কাপড়ের পসরা নিয়ে বসে রাস্তা দখল করে নিচ্ছে।সাধারন নাগরিক ও যানবাহন চলাচলে নানা বিড়ম্বনায় পড়লেও নীরব ভূমিকা পালন করছে প্রশাসন। এসব ব্যবসায়ীদের ছাড়াও এখানে আসা ক্রেতাদের নিতে এসব এলাকায় যত্রতত্র ইচ্ছামত অটো রিক্সা ও ইজিবাইগুলো দাড় করানো থাকে ফলে সৃষ্টি হয় যানযটের।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন এলাবাসি বলেন,ময়লাপোতা থেকে গল্লামারি রাস্তার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় এবং চাঁদার বিনিময়ে এসব দোকানপাট অবাধে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।রাস্তা জুড়ে বাজার বসানো ব্যাপারটা সত্যি ভীষণ যন্ত্রণাদায়ক এটার প্রতিকার হওয়া জরুরি।
ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের দাবি সঠিক স্থান নির্ধারন করে যেন তাদের উচ্ছেদ ও পুনর্বাসন করা হয়।
১০০ কোটি ৭০ লাখ টাকা ব্যায় করে রাস্তা প্রসস্থ করেও যদি জনসাধারণ এর উপকার ভোগ করতে নাই পারে, তবে এর দায় কার! সাধারণ যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকরা এ রাস্তাটি নির্বিঘ্নে ব্যবহার করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন এসড়কে চলাচলরত হাজারো মানুষ ও এলাকাবাসি।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।