1. info@www.khulnarkhobor.com : khulnarkhobor :
সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ১২:১৪ অপরাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com    বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৪৭,আপার যশোর রোড (সঙ্গীতা হোটেল ভবন) ,খুলনা-৯১০০।ফোন:০১৭১০-২৪০৭৮৫,০১৭২১-৪২৮১৩৫। মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
খুলনার খবর
বিএনপির প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেতে লাগবে তিন যোগ্যতা প্রতিপক্ষের হামলায় ৭০ বছর বয়সী সিরাজ ফকিরসহ একই পরিবারের ৫ জন আহত নগরীর রেলিগেটে আলামিন সরদার (৩২) নামে এক যুবককে কুপিয়ে জখম আষাঢ়ের প্রথম দিন আজ শুরু হলো বর্ষাকাল, টানা পাঁচদিন বৃষ্টির সম্ভাবনা কেডিএ আবাসিকের ক্ষতিগ্রস্থ জমির মালিকদের ক্ষতিপুরনের দাবিতে জনসভা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য জরুরি নির্দেশনা ২৬ জুন থেকে শুরু এইচএসসি পরীক্ষা মানতে হবে যেসব নিনির্দেশনা অস্ত্র ও মাদক,সহ সাবেক মহিলা এমপির ছেলে আটক খুলনা কবি সাহিত্যিক ফোরাম’র পথ চলা শুরু দুর্বৃত্তর ছুরিকাঘাতে যুবক গুরুতর জখম খুলনায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে  বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র আহত ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা মহানগর এর মিডিয়া সেল গঠন, আহ্বায়ক নাসির, সমন্বয়কারী কাবির বিদেশ ফেরত যুবককে গলা কেটে হত্যা সুন্দরবনে পর্যটক প্রবেশের অনুমতির দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি মোড়েলগঞ্জে ওয়ার্ড বিএনপির সম্মেলনে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ ১৭ বছর পর লন্ডন প্রবাসী আরিফ বিল্লাহর আগমনে সাজ সাজ রব খুলনায় শুরু হতে যাচ্ছে সাঁতার প্রতিযোগিতা  লাটিচার্জে বিএনপি নেতার চোখ নষ্ট, সাবেক ওসি হাসান আল মামুন কারাগারে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের ঢাকার নেতা জয় খুলনায় গ্রেপ্তার

জীর্ণতাকে বিদায় এবং নতুন বছরকে বরণ করার উৎসব-চৈত্র সংক্রান্তি ও পহেলা বৈশাখ

  • প্রকাশিত : রবিবার, ১৩ এপ্রিল, ২০২৫
  • ৯৭ বার শেয়ার হয়েছে

ইমরুল ইসলাম ইমন, খুলনার খবর ||ষড়ঋতুর দেশ এই বাংলাদেশ।কাল পরিক্রমায় প্রতিবছর ঘুরে আসে ঋতুরাজ বসন্ত। ফাল্গুন ও চৈত্র এই দু’মাসব্যাপী চলা বসন্তেরও রাজত্ব শেষ হয় চৈত্রের অন্তিম দিনে- সেই সঙ্গে বয়ে নিয়ে আসে নতুন বাংলা বছরের সূচনালগ্নের আগাম বার্তা। পুরনো বছর ও জীর্ণতাকে বিদায় এবং নতুন বছর ও আশাকে বরণ করার উৎসব চৈত্র-সংক্রান্তি ও পহেলা বৈশাখ।

নববর্ষের আগের দিন তথা পুরনো বছরের শেষ দিনে পালিত হয় চৈত্র সংক্রান্তি বা বর্ষ বিদায়। এই দিনটাকে সমগ্র বাঙালি উদযাপন করে নানা প্রকার বর্ণিল উৎসবের মাধ্যমে। এই উৎসব বাঙালির আদি সংস্কৃতি ও লোকাচারের অংশ। এটি এখন রূপ নিয়েছে বাঙালির জাতীয় উৎসবের একটিতে।

পুরাতন ও জীর্ণতাকে ঝেড়ে ফেলে নতুনত্বের বরণ এবং নতুন আশা, আকাঙ্খা, হাসি ও রঙের মণিকোঠায় পরিণত হয়েছে চৈত্র সংক্রান্তি ও বর্ষবরণের সম্মিলিত উৎসব। চৈত্র সংক্রান্তি পালিত হয় ১৩ই এপ্রিল তথা বর্ষবরণের আগের দিন।বর্তমানে এই উৎসব তার ধর্মীয় গন্ডী পেরিয়ে ভিন্ন আঙ্গিকে দেশের মানুষের নিকট অন্যতম পার্বণ ও উৎসবের উপলক্ষ্য হিসেবে হাজির হয়েছে।

পুরাতনকে ঝেড়ে ফেলে নতুন উদ্যমে নতুনভাবে সব শুরু করার এবং পূর্বের মঙ্গলময়তা ও সৌভাগ্যকে সামনে টেনে নিয়ে যাবার প্রণোদনা থেকেই বাঙালির প্রাণের উৎসবে পরিণত হয়েছে চৈত্র সংক্রান্তি ও পহেলা বৈশাখ।

চৈত্র সংক্রান্তিতে ব্যবসায়ী সম্প্রদায় এদিনে দোকানপাট পরিষ্কার ও ধোয়া-মোছা করে অশুচি, জঞ্জাল ও অপবিত্রতাকে বিদায় জানায় এবং পরের দিন তথা নতুন বছরে সব নতুন করে শুরু করার প্রস্তুতি নেয়।

নতুন বছরে নতুন হিসেবনিকেশ খোলার রীতি যা ‘হালখাতা’ নামে পরিচিত, তার প্রস্তুতিও শুরু হয় চৈত্র সংক্রান্তিতে। ধূপ-ধুনো এবং গোলাপ পানির সুবাসে মুখরিত হয় দোকান। ব্যবসায়িক সম্প্রদায় মূলত এ দিনটিকে বিদায় উৎসব হিসেবে পালন করে। পুরাতন বছরের বকেয়া টাকা উত্তোলনের দিন এটি কারণ পরদিন নতুন বছরে খোলা হবে নতুন খাতা, চলবে নতুন হিসেব।প্রাচীনকালে চৈত্র সংক্রান্তিতে গৃহস্থরা তাদের নাতি-নাতনী ও মেয়ে জামাইকে সাদরে নিমন্ত্রণ ও আপ্যায়ন করত।

পরিবারের সকলকে নতুন কাপড় দেবার এবং উন্নতমানের ভোজন আয়োজনের চল ছিল। এছাড়াও বর্তমানে চৈত্র সংক্রান্তিকে ঘিরে নানান অনুষ্ঠান, মেলা, লাঠিখেলা, গান, নৃত্য, আবৃত্তি, শোভাযাত্রা, সঙযাত্রা, যাত্রা-পালা, মৃত্‍-কারু-পট শিল্প প্রদর্শনী প্রভৃতির আয়োজন করা হয়।

বর্ষবিদায়ের বর্ণিল উৎসবে মেতে ওঠে পুরো বাংলাদেশ।নানান ধরনের স্থানীয় পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসে এসব মেলা। বাঁশ, বেত, কাঠের তৈরি আসবাবপত্র, মাটি, ধাতু, প্লাস্টিক, রাবার প্রভৃতির তৈরি জিনিস বেচাকেনা হয় এসব মেলায়। এছাড়াও থাকে সার্কাস, যাত্রাপালা, গান-বাজনা, পুতুলনাচ, নাগরদোলা, ঘুড়ি ওড়ানোর মতো নানান বিনোদনের খোরাক।চৈত্র শেষের রঙে নিজেকে রাঙাতে বাদ যায় না বিশ্ববিদ্যালয় গুলিও।

বর্ণিল ও বাহারি সাজে সেজে পুষ্পকন্যার ন্যায় সজীব হয়ে ওঠে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলি। বাংলা বছরের শেষ উপলক্ষ্যে যেমন নানান সাংস্কৃতিক ও অন্যান্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় , তেমনি দেখা যায় মেলা, গ্রামীন খেলাধুলা, ঘোড়দৌড় ও বিভিন্ন আনন্দ আসরের। পাশাপাশি চলতে থাকে পরদিন নতুন বছরকে সাদরে অভ্যর্থনা জানাবার জোর প্রস্তুতি। বিভিন্ন সাংস্কৃতিক এবং সামাজিক সংগঠন সাক্ষর রাখে নিজস্ব পরিবেশনার।

নকশা-আল্পনার লালিমায়, আনন্দ শোভাযাত্রা ও হালখাতার আগমনী আনন্দ সুবাসে সর্বত্র সাজ সাজ রব পড়ে যায়। আর এভাবেই পুরনোকে আনন্দের সাথে বিদেয় দিয়ে আমরা পা রাখি এক অবারিত নতুনের জগতে, নতুন আশা, উদ্যম আর প্রেরণার গালিচায়।এভাবেই গ্রাম ছাপিয়ে এখন শহরে ঠাঁই করে নিয়েছে চৈত্র সংক্রান্তি উৎসব।

হাসিমুখে পুরাতনকে বিদেয় দিয়ে নতুন দিনের আগমনী বার্তায় মিশে যেতে প্রতি বছর উন্মুখ হয়ে ওঠে গ্রাম ও নগরবাসী। জাতি ও ধর্মগত ভেদ ভুলে আনন্দের শামিয়ানাতলে একীভূত হয়ে যায় নানান শেকড়ের মানুষ।

মানুষ, আনন্দ, রং, উৎসব আর হৃদ্যতার অপূর্ব পরিস্ফুটন দেখা যায় বর্ষবিদায় ও বর্ষবরণের এই আনন্দযজ্ঞে।

শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:-  ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।