খুলনার খবর ||সশস্ত্র বাহিনীর কর্মকর্তাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা চতুর্থ দফায় আরও ৬০ দিন বাড়িয়েছে সরকার।
আগামী ১৪ মে থেকে তা আগের মতই সারাদেশের জন্য প্রযোজ্য হবে বলে বৃহস্পতিবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়।
এর আগে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় মাঠে থাকা সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের প্রথমবার ১৭ সেপ্টেম্বর দুই মাসের জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দেওয়া হয়।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আ’লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার আগে থেকে সারাদেশে মোতায়েন ছিল সেনাবাহিনী। ২০২৪ সালের ৫ অগাস্ট সরকার পতনের পর কারফিউ তোলা হলেও বিপর্যস্ত আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে সেনা সদস্যদের মাঠ পর্যায়ে রেখে দেওয়া হয়। পরে যৌথবাহিনী অভিযানেও নামে।
প্রথমে সেনাসদস্যদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দেওয়া হলেও পরে নৌ ও বিমান বাহিনীসহ সশস্ত্র বাহিনীর কমিশনড পর্যায়ের কর্মকর্তাদেরও একই ক্ষমতা দিয়ে তা সশস্ত্র বাহিনীর জন্য প্রযোজ্য হবে বলে পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। গত নভেম্বরে এ ক্ষমতার মেয়াদ প্রথম দফায়, জানুয়ারিতে দ্বিতীয় দফায় এবং গত মার্চে তৃতীয় দফায় বিশেষ নির্বাহী বিচারিক ক্ষমতার এ মেয়াদ বাড়ানো হয়েছিল।
শুরু থেকেই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও উন্নয়নে দেশজুড়ে যৌথ অভিযান পরিচালনা করছে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা। নিয়মিত টহল কার্যক্রমের পাশাপাশি কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে সেখানেও যৌথ বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিত হতে দেখা গেছে। একই সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ সড়কে চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি চালাতেও দেখা গেছে যৌথ বাহিনীর সদস্যদের।
বৃহস্পতিবার সময় বাড়ানোর প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সশস্ত্র বাহিনীতে কর্মরত সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন ও এর তদুর্ধ্ব সমপদমর্যাদার কমিশনড কর্মকর্তারা (কোস্ট গার্ড ও বিজিবিতে প্রেষণে নিয়োজিত সমপদমর্যাদার কর্মকর্তাসহ) এ সময় বিশেষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা পাবে। ফৌজদারি কার্যবিধির যে ১৭ নম্বর ধারায় সেনা কর্মকর্তাদেরকে বিশেষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের এ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, সেখানে এসব নির্বাহী হাকিমরা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট অর্থাৎ জেলা প্রশাসকের অধীনে থাকার কথা বলা আছে।
ফৌজদারি কার্যবিধি, ১৮৯৮-এর ৬৪, ৬৫, ৮৩, ৮৪, ৮৬, ৯৫(২), ১০০, ১০৫, ১০৭, ১০৯, ১১০, ১২৬, ১২৭, ১২৮, ১৩০, ১৩৩ এবং ১৪২ ধারার অধীনে তাদের কার্যক্রম চলার কথা বলা হয়েছে প্রজ্ঞাপনে। এসব ধারায় গ্রেফতার ও গ্রেফতারের আদেশ, গ্রেফতারি পরোয়ানা কার্যকর করা, তলাশি পরোয়ানা জারি, অসদাচরণ ও ছোটো-খাটো অপরাধের জন্য মুচলেকা আদায়, মুচলেকা থেকে অব্যাহতি, বেআইনি সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করার ক্ষমতা পাবেন বিশেষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা।
একই সঙ্গে স্থাবর সম্পত্তি ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে বাধা অপসারণ এবং জনগণের ক্ষতির আশঙ্কা করলে সেক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে পারবেন তারা।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।