খুলনার খবর ||নিজেকে খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) মেয়র দাবি করে আলোচনার জন্ম দিয়েছেন এস এম শফিকুর রহমান মুশফিক।
২০২৩ সালের ১২ জুন অনুষ্ঠিত কেসিসি নির্বাচনে ডিজিটাল কারচুপির মাধ্যমে পরাজিত করা হয় দাবি করে প্রকৃত ভোটে তিনিই মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন বলে উলেখ করেছেন।
শফিকুর রহমান মুশফিক জানান, তার আবেদনের প্রেক্ষিতে উচ্চ আদালত সংশ্লিষ্ট ‘নির্বাচনের ফলাফল বাতিল’ করে বিষয়টি চার সপ্তাহের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন। ফলে তিনি কেসিসির মেয়রের দায়িত্ব পাচ্ছেন।
শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে নিজেকে কেসিসির মেয়র হিসেবে দাবি করেন শফিকুর রহমান মুশফিক।
শফিকুর রহমান মুশফিক বলেন, “২০২৩ সালে খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হই। আমার মনোনয় বাতিল করা হলে উচ্চ আদালতের রায়ে প্রার্থীতা ফিরে পেয়ে নির্বাচন করি।
নির্বাচনে ইভিএম-এর মাধ্যমে ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়ায় ব্যাপক কারচুপি হয়। খুলনার ডিসির কার্যালয়ে থাকা ডিভাইসের মাধ্যমে কারচুপি করে আমাকে পরাজিত করা হয়।”
লিখিত বক্তব্যে ২০২৩ সালের নির্বাচনে মেয়র হিসেবে জয়ী হয়েছেন দাবি করে তিনি জানান, জালিয়াতির নির্বাচনের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হন তিনি।
তার আগে, গত ২০ এপ্রিল প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনের সচিব ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে আবেদন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলেন তিনি।
তারা কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় উচ্চ আদালতে যান। গত ৬ মে উচ্চ আদালত এক আদেশে ২০২৩ সালের ১২ জুনের খুলনা সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের ফলাফল বাতিল এবং আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনের সচিব ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিবের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, “মেয়র হিসেবে আগামীতে নাগরিক সেবায় অংশ নেব। নগর ভবনেই আপনাদের (সাংবাদিক) সঙ্গে পরবর্তীতে দেখা হবে।”
শফিকুর রহমান মুশফিক জানান, ২০০৮ সালের উপ-নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে বাগেরহাট-১ আসনে পরাজিত হন। এছাড়া, ২০১৮ সালে জাতীয় পাটির মনোনয়ন পেয়ে এবং ২০২৩ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে নির্বাচন করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালের খুলনা সিটে করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত তালকুদার আব্দুল খালেক ৬০.৪১ শতাংশ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বদ্বী ছিলেন ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের আব্দুল আউয়াল। তিনি ভোট পান ২৩.৪৪ শতাংশ।
নির্বাচনে জাতীয় পার্টির (এরশাদ) শফিকুল ইসলাম মধু ৭.০৫ ভোট, এস এম শফিকুর রহমান ৬.৭২ এবং জাকের পার্টির এস এম সাব্বির হোসেন পান ২.৩৮ শতাংশ ভোট।
কেসিসি নির্বাচনে চতুর্থ স্থানে থাকা এস এম শফিকুর রহমান মুশফিক জামানত হারান।
২০১৮ সালের নির্বাচনে মেয়র পদে নির্বাচন করে জাতীয় পার্টির এস এম শফিকুর রহমান মুশফিক ভোট পেয়েছিলেন মাত্র ১ হাজার ৭২ ভোট।
এ নির্বাচনেও তিনি জামানত হারান।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।