খুলনার খবর ||খুলনা মহানগরীকে বর্তমানে স্ট্রিট ফুডের নগরী বলা যেতে পারে। নগরীর বিভিন্ন স্থানে স্ট্রিট ফুডের নানা পসরা নিয়ে বসে দোকানিরা। বিকাল থেকে শুরু হওয়া এই সকল দোকান চলে রাত পর্যন্ত। তবে স্ট্রিট ফুডের তালিকায় জনপ্রিয় হচ্ছে ‘ ডিম ঘোটা ’।
খুলনার নিউ মার্কেট এলাকায় বসে এই ডিমের ঘোটা বাজার।
যার মধ্যে বিখ্যাত আবুল কালামের ‘ ডিম ঘোটা ’ ভাজা। ‘ ডিম ঘোটা ’ এ আবার কেমন ডিম! এটা কি আসলেই ডিম না অন্য কিছু? তবে এ ডিম নিয়ে যতই কৌতূহল থাকুক না কেন, এটা আসলেই ডিম ভাজা।
খুলনার বায়ান্ন বছর বয়সের আবুল কালাম নামে একজন ব্যক্তি ২৫ বৎসর ধরে পেঁয়াজ ও মরিচের সঙ্গে নানা ধরনের মসলা দিয়ে ভেজে তৈরি করেন এই ডিম। যার নাম তিনি নিজেই দিয়েছেন ‘ডিম ঘোটা ’। সেই রকম দেখতে সেই রকমই স্বাদের ডিম ঘোটা’।
খুলনা মহানগরীর নিউমার্কেটের পাশে বায়তুন নূর মসজিদ কমপ্লেক্সের সামনে সন্ধ্যার পর ভোজনরসিকদের ভিড় জমে এ খাবারকে কেন্দ্র করে।
বায়তুন নূর মসজিদের পাশের জায়গাটুকু এখন ভোজন বিলাসীদের আড্ডাস্থলে পরিণত হয়েছে। এখানে শুধু ঘোটা ডিমই নয়, মিলছে নানা রকমের ফাস্ট ফুড, বিরিয়ানি, কফি, শরবতসহ আরও অনেক ধরনের খাবার। দোকানগুলোকেও সাজিয়ে তোলা হয়েছে নজরকাড়াভাবে।
নিউমার্কেটের পাশে বায়তুন নুর মসজিদের পাশে ঘোটা ডিম বিক্রেতা কালাম খুলনার খবর কে বলেন, প্রতিদিন বিকেল ৪টা থেকে শুরু করে বিক্রি চলে রাত ১০ টা নাগাদ। নানা আইটেমে এখানে ডিম বিক্রি হয়।
সিদ্ধ, নরমাল ভাজি এবং ডিম ঘোটা। তবে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয় ঘোটা ডিম। প্রতিদিন প্রায় ২শ থেকে আড়াইশ ডিম বিক্রি করেন। এর মধ্যে ঘোটা ডিমের সংখ্যাই সবচেয়ে বেশি।
হাঁসের ডিম ৩০ টাকা, দেশি মুরগির ডিম ৩০ টাকা আর ফার্মের মুরগির ডিম ২৫ টাকায় বিক্রি হয়। চার ঘণ্টার এ সময়ে তাদের আয় হয় এক হাজার থেকে দেড় হাজার টাকা।
ডিম বিক্রেতা কালাম জানান, দিনের বাকি সময়টা তাদের কেটে যায় ডিম পরিষ্কারসহ মসলা তৈরির পেছনে। এসব কাজ শেষ হলে শুরু হয় ডিম বিক্রির পালা। ডিম বিক্রি করেই তাদের সংসার চলে। তিনি নিজে একাই বিক্রি করেন। এক সন্তানের জনক তিনি।
ক্রেতা মারুফ শেখ বলেন, বায়তুন নূরের ভিতরেই আমার মোবাইল সার্ভিসিং দোকান। আমি প্রতিদিন ২ টা করে খাই।
তিনি বলেন, এখানে যারা খেতে আসেন, তারা যাওয়ার সময় পরিবার-পরিজনদের জন্যও নিয়ে যান। মসজিদের পাশের সামান্য জায়গাটুকুতে ক্রেতাদের ভিড়। খোলা আকাশের নিচে বসে ঘোটা ডিমের স্বাদ নিচ্ছেন ভোজনরসিকরা। তবে এদের মধ্যে তরুণ-তরুণীদের সংখ্যাই বেশি।
এখানে খেতে আসা সুন্দরবন কলেজের ছাত্রী অধরা খুলনার খবর কে বলেন, এখানে তিনি প্রায়ই খেতে আসেন। খোলা আকাশের নিচে বসে খাওয়ার মজাই আলাদা।
সিটি কলেজের ছাত্র মাহাবুব হাসান ও নাদীম খুলনার খবর কে বলেন, ডিম ঘোটা নামটাই একটা অন্যরকম। সবকিছুর দাম ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে।
সব আইটেমই সুস্বাদু।
তাই বন্ধুদের নিয়ে মাঝে মধ্যে চলে আসি চাচার এখানে।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।