খুলনার খবর ||খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) এর শিক্ষকবৃন্দ ভিসিকে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন। তারা আগামীকাল (২০ মে) দুপুর ১ টার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম সম্পন্ন এবং শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করে ক্লাসে ফিরে যাওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণে ভিসি ব্যর্থ হলে ১ টার পর এক দফা কর্মসূচি ঘোষণার হুঁশিয়ারি দেন।
মঙ্গলবার (২০ মে) দ্বিতীয় দিনের মতো উপাচার্যের কার্যালয়ে অবস্থান কর্মসূচি শেষে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. মো. ফারুক হোসেন প্রেস ব্রিফিংয়ে এ হুঁশিয়ারি দেন। বেলা সাড়ে ১১ টা থেকে সাড়ে ১২ পর্যন্ত ১ ঘন্টার অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়। শিক্ষক সমিতির নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত এ কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরা অংশ নেন।
১৮ এবং ১৯ ফেব্রুয়ারি ক্যাম্পাসে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার সাথে জড়িতসহ শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করার সুষ্ঠু বিচার করে শিক্ষার অনুকূল পরিবেশ তৈরি এবং একাডেমিক কার্যক্রম শুরু করার দাবিতে কুয়েটের শিক্ষকরা গত ৪ মে থেকে কর্মসূচি পালন করে আসছে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা আজ সিদ্ধান্ত নিয়েছি আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে (আগামীকাল দুপুর ১ টা) ভিসি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম সম্পন্নসহ শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করবেন। যাতে করে আমরা দ্রুত ক্লাসে ফিরে যেতে পারি। এটা না হলে আমরা শিক্ষকরা আগামীকাল (২১ মে) আরও কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব।
তিনি আরও বলেন, এটা যদি এমন হয় উনার (ভিসি’র) সিদ্ধান্তের কারণে আমরা ক্লাসে ফিরতে পারবো না এবং এককভাবেই উনি উনার দায়িত্ব নিচ্ছেন। তাহলে এক দফা দাবি করতে হবে। উনি দায়িত্ব পালন করবেন কি না? উনাকেই (ভিসি’কে) সিদ্ধান্ত নিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করতে পারবেন কি না? আমরা উনাকে বলব, উনি দায়িত্ব পালন করতে পারলে, ক্যাম্পাস পরিচালনা করবেন, না পারলে উনি উনার মত সিদ্ধান্ত নিবেন।
আগামীকালও যথাসময়ে সাড়ে ১১ টা থেকে সাড়ে ১২ টা পর্যন্ত ভাইস চ্যান্সেলরের কার্যালয়ের সামনে আমাদের অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
কর্মসূচি সম্পর্কে শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. মো. সাহিদুল ইসলাম বলেন, গত ১৪ মে ভিসি স্যারের সঙ্গে আমাদের যে এক্সিকিউটিভ বডির মিটিং হয়েছিল, সেখানে ভিসি স্যার আমাদের একটা গাইডলাইন দিয়েছিলেন। গাইডলাইন অনুযায়ী আমরা ভেবেছিলাম সমস্যার সমাধান হবে। গত রবিবার আমরা ক্লাসে যাব, ভিসি স্যারকে এমনটা আশ্বস্ত করেছিলাম। শুধু একটা মিটিংয়ের (ডিসিপ্লিনারী) জন্য সব কিছু আটকে আছে। একটা মিটিং হলে আমরা ক্লাসে যেতে পারতাম। আমরা ভিসি স্যারকে সাত কার্যদিবস সময় দিয়েছিলাম। এর মধ্যে বিচারিক কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য। কিন্তু সেটা না হওয়াই আমাদের অবস্থান কর্মসূচিতে যেতে হয়েছে।
তিনি বলেন, যেখানে ক্লাস আটকে আছে। এত গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় ছেড়ে তিনি দাপ্তরিক কাজ দেখিয়ে কিভাবে ক্যাম্পাসের বাইরে থাকেন? কোন আশার আলো দেখতে পাবো না এটা আমাদের জন্য হতাশাজনক। ভিসি মহোদয় বলছেন উনি আজ ফিরবেন।
সেই হিসেবে আমরা লাস্ট উনাকে আগামীকাল দুপুরে ১ টা পর্যন্ত সময় দিয়েছি। এর মধ্যে উনি অসম্পূর্ণ কার্যক্রম সম্পন্ন করে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করবেন যাতে করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী, সবাই যেন দায়বদ্ধ হয়ে স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফিরে যেতে পারি”।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।