পরেশ দেবনাথ, কেশবপুর, যশোর ||যশোরের কেশবপুরে এবারের কোরবানীর ঈদে আকর্ষণীয় উপহারসহ বিক্রির অপেক্ষায় প্রায় ২২মণ ওজনের বিশাল আকৃতির লিমনের শখের গরুটি। তিনি জার্সি জাতের এই গরুটি পিতৃ স্নেহে দেড় বছর যাবৎ লালন-পালন করে আসছেন।
রোববার (০১ জুন ২৫) বিকেলে কেশবপুর শহর থেকে ২ কিঃমিটার দূরে কেশবপুর পৌর শহরের ভোগতি-নরেন্দ্রপুর নোনাডাঙ্গা ১নং অর্ডের আব্দুল আহাদ-এর ছেলে লিমনের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, টালির চালাঘরে রাখা লিমনের বিশাল আকৃতির শখের গরুটি পরম যত্নে লালন-পালন করছেন।
প্রতিদিন এই বিশাল আকৃতির ষাঁড়টির খাবার তালিকায় রয়েছে ভূষি, খৈল, ভুট্টা, বিচালি ও ঘাস খাওয়ানোর পাশাপাশি পাকা কলা, বাদাম এবং পাউরুটি। ষাঁড়টিকে প্রতিদিন তিন বেলা খাওয়ানোর জন্য প্রায় ৫ থেকে ৬শ’ টাকা খরচ হয়। তিনি প্রায় দেড় বছর আগে গরুটি কেশবপুর গরুর হাট থেকে কিনেছিলেন বলে জানান। গরুটি ষাঁড়টি এখন বিশাল আকৃতির ষাঁড়ে পরিনত হয়েছে।
বর্তমান গরুর বাজার অনুযায়ী ষাঁড়টির দাম হাঁকা হচ্ছে ৬ লাখ টাকা। তিনি বলেন, প্রকৃত মূল্যে বিক্রি করতে পারলে ষাঁড়টির সাথে যে কোন একটা আকর্ষণীয় উপহার ক্রেতাকে দিবেন। স্থানীয়রা জানান, এত বড় গরু আমাদের এই এলাকায় আর একটিও নাই। তাকে প্রাকৃতিক খাবার খাইয়ে বড় করা হয়েছে। এত বড় গরু দেখে আমরাও অনুপ্রাণিত হচ্ছি। প্রতি দিন বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ এই গরু দেখতে আসে লিমনের বাড়িতে। লিটনের গরু এখন মানুষের মুখে মুখে।
লিমন বলেন, গরু লালন-পালন করা আমার ছোট বেলা থেকেই শখ। পরিবারের সকলে মিলেই গরুর সেবাযত্ন করা হয়। এ উপজেলার সবচেয়ে বড় ষাঁড় এটি বলে আমি মনে করি। ঠিক ঠাক দাম পেলে তাকে এবার বিক্রি করা হবে। কোনো পশু হাটে তাকে এখনও নিয়ে যাওয়া হয়নি। এতো বড় গরু হাটে নেওয়া সম্ভব না বিধায় বাড়ি থেকেই কোরবানির জন্য ক্রেতা বা ব্যবসায়ীর কাছে গরুটি বিক্রি করতে ইচ্ছুক।
উপজেলা প্রাণি চিকিৎসক অলোকেশ সরকার বলেন, তিনি ছোট অবস্থা থেকেই গরুটির চিকিৎসা দিয়ে আসছেন। নিয়মিত ষাঁড়টিকে দেখাশোনা করা হচ্ছে। প্রাকৃতিক খাবার খাওয়ায়ে ষাঁড়টি লালন-পালন করছেন লিমন সাহেব। গরুটির উচ্চতা সাড়ে ৫ ফুট, দৈর্ঘ্য প্রায় সাড়ে ৮ ফুট এবং ওজন প্রায় ২২ মণ।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।