খুলনার খবর ||১৯৫৫ সালে শাহ্পুর ডুমুরিয়ায় শহীদ আল্লামা দেলাওয়ার হোসেন সাঈদীর প্রতিষ্ঠিত ঐতিহ্যবাহী মধুগ্রাম ঈদগাহ ময়দানে বিশাল ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
এই বিশাল ঈদের জামাতে দীর্ঘদিন যাবত ইমামতি করেন বিশিষ্ট আলেমেদ্বীন মুফাসসিরে কোরআন, সোশ্যাল মিডিয়া দাওয়াতুল কুরআন ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব, এরাবিক বিশুদ্ধ কুরআন শিক্ষা ফাউন্ডেশনের যুগ্ম মহাসচিব,শাহীবাগ জামে মসজিদের সম্মানিত খতিব হজরত মাওলানা মুফতি ক্বারী মাহদী হাসান কাউসারী।
এছাড়াও আল্লামা সাঈদীর সাহেবের পর এখানে দীর্ঘদিন ধরে যে সকল যোগ্যতা সম্পন্ন আলেমগণ নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে গেছেন, মাওলানা আব্দুল ওহাব বুলবুলি ( পাকিস্তান) বাংলাদেশ, মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক চিশতি ( যশোর) মাওলানা ইসমাইল হোসেন সিরাজী খুলনা। বর্তমান খুবই নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করছেন সকলের সু পরিচিত বিশিষ্ট আলেমেদ্বীন মুফাসসিরে কোরআন হজরত মাওলানা মুহাম্মদ মাহদী হাসান কাউসারী।
বর্তমান ঈদগাহ্ মাঠের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক মোঃ আমান উল্লাহ, এবং সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন বিশিষ্ট সমাজসেবক মোঃ কামাল হোসেন চৌধুরী।
আমরা মনে করি আল্লামা দেলাওয়ার হোসেন সাঈদীর সাহেবের প্রতিষ্ঠিত ঐতিহ্যবাহী মধুগ্রাম ঈদগাহ্ মাঠের ঐতিহ্য ধরে রাখতে আমরা নিরলস ভাবে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় এগিয়ে যাচ্ছি, এবং বর্তমান দায়িত্বে মাওলানা মুফতি ক্বারী মাহদী হাসান কাউসারী র সু পরামর্শৈ এবং জ্ঞান গর্ব মুলক আলোচনায় এলাকাবাসীর মধ্যে আল্লামা সাঈদীর মতো আবার যেন প্রাণের সঞ্চার ফিরে আসে।
ঐতিহ্যবাহী মধুগ্রাম ঈদগাহ্ এবং মধুগ্রাম আলিম মাদরাসার যৌথ উদ্যোগে আমরা যেন আল্লামা সাঈদীর প্রতিষ্ঠিত ঈদগাহ্ এবং মধুগ্রাম ইসলামিয়া আলিম মাদরাসার ঐতিহ্য ধরে রাখতে পারি সেই জন্য সকলের কাছে দোয়া কামনা করছি।
ঈদের জামাতের আলোচনায় মাওলানা মুফতি ক্বারী মাহদী হাসান কাউসারী বলেন ,নতুন স্বাধীনতার পর এবারের ঈদের দিনে সাধারণ মানুষের মাঝে আবেগ আপ্লুত হয়ে ঈদের নামাজে উপস্থিত হয়েছেন।
দীর্ঘ ১৬ বছর মানুষের ধর্মীয়, সামাজিক, রাজনৈতিক অধিকার কেড়ে নিয়েছে। ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনের অবসানে যারা বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে সুন্দর একটি বাংলাদেশ উপহার দিয়েছে, আমরা তাদের শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করছি।
আহত এবং পুঙ্গত্ববরণ কারীদের সুস্থতার জন্য মহান আল্লাহর কাছে দোয়া কামনা করছি। দেশে আইনের শাসন কায়েম করে খুন, ধর্ষণ চাঁদাবাজি এসব বন্ধ করার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।
কোন ষড়যন্ত্রই ইসলামের এই অগ্রযাত্রাকে থামাতে পারবে না। আমরা আমাদের অভিষ্ট লক্ষ্যে এগিয়ে যাব ইনশাআল্লাহ।তাকওয়াপূর্ণ সমাজ বিনির্মাণে আমাদের সকলের নিরলসভাবে কাজ করে যেতে হবে।
সকলের প্রতি মায়া মমতা ও ভালোবাসা ভরা সমাজ দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখার জন্য সকল মুসল্লিদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
কুরবানির মৌসুম এলেই আমরা প্রাণী জবাই করি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য। এই আমলটি শুধু একটি ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা নয়, বরং তা একটি মহাত্ম্যপূর্ণ শিক্ষা বহন করে—এটি একটা ত্যাগের শিক্ষা।
ইব্রাহিম আলাইহিস সালাম যখন তার সবচেয়ে প্রিয় বস্তু, অর্থাৎ সন্তান ইসমাইল আলাইহিস সালামকে আল্লাহর আদেশে কুরবানির জন্য প্রস্তুত হয়েছিলেন, তখন সেটাই ছিল ঈমানের পরাকাষ্ঠা। তিনি প্রমাণ করে দিলেন—আল্লাহর সন্তুষ্টির সামনে কোনো সম্পর্ক, কোনো ভালোবাসা, কোনো চাওয়া-পাওয়া বড় নয়।
আজ প্রশ্ন হলো—আমরাও কি সেই আত্মত্যাগের শিক্ষাটা বাস্তবে গ্রহণ করতে পেরেছি?
আমরা অনেকেই হয়তো সহজেই পশু কিনে কুরবানি দিতে পারি, কারণ আমাদের কাছে টাকা-পয়সা আছে। কিন্তু আল্লাহ কি পশুর গোশতের ক্ষুধায় আছেন?
আল্লাহ বলেন:”তাদের গোশত ও রক্ত আল্লাহর কাছে পৌঁছায় না, বরং তোমাদের তাকওয়া পৌঁছে।
তাহলে আসল কুরবানি কি?
এটা সেই জিনিসটা ত্যাগ করা যা তুমি সবচেয়ে বেশি ভালোবাসো— আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য। আপনি কি নিজেকে জিজ্ঞাসা করেছেনআমি কি আমার নফসের চাহিদাকে কুরবানি করতে পেরেছি? মেয়েরা যারা নিজেদের রূপ ও সৌন্দর্য দেখাতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন,
তারা কি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য পর্দার কুরবানি দিতে পেরেছেন? যারা ঘুষ, সুদ কিংবা হারাম রুজিতে অভ্যস্ত,
তারা কি সেই টাকা-পয়সাকে কুরবানি দিতে পেরেছেন আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য? যারা রাতভর গুনাহে ডুবে থাকি—চোখ, কান, জবান সব দিয়ে,
তারা কি কুরবানি দিতে পেরেছি আমাদের পাপের অভ্যাসগুলো?
সত্যিকারের কুরবানি তখনই হবে, যখন আমরা আমাদের আত্মাকে বদলাতে পারব, আমাদের গুনাহগুলোকে ছেড়ে দিতে পারব এবং আল্লাহর পথে ফিরে আসব। পশু কুরবানী করা আমাদের উপর ওয়াজিব সেটা আমাদের করতেই হবে।আর ইব্রাহিম আলাই সালাম এর ঘটনা থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে আসলে কুরবানী বলতে বিষয়টা কি।এটা হলো সেই জিনিস যা আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য নিজের প্রিয় অপ্রিয় কোন কিছু পরোয়া করবে না, আল্লাহ যা বলেছেন সেটা মেনে নেওয়া। সেদিকেই নিজের অন্তরকে ধাবিত করা।
ইব্রাহিম আলাই সালাম কেন আল্লাহর প্রিয় হয়েছিলেন কারণ তিনি সবকিছুর ঊর্ধ্বে আল্লাহর সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছিলেন।। আজকে আপনি যদি সবকিছুর উর্ধ্বে আল্লাহর সিদ্ধান্তকে মেনে নেন।
নিজের নফসকে নিয়ন্ত্রণ করেন। ইনশাল্লাহ আপনিও ইব্রাহিম আলাই সালাম এর মত আল্লাহর কাছে প্রিয় হবেন। কুরবানির পশু জবাই করার আগে নিজের হৃদয়ে একটু তাকান— সেখানে কি এখনো এক পশু বসে আছে? ঈমানকে বাধা দেয়, নফসের কথায় চলে, আল্লাহর হুকুম মানতে চায় না.
আসুন, এইবার সেই পশুটাকেই কুরবানি করি।এই হোক আমাদের আসল কুরবানির শিক্ষা। এবং ফিলিস্তিনিদের জন্য বিশেষ ভাবে দোয়া করা হয়। সার্বক্ষণিক সহযোগিতা করেন মধুগ্রাম ইসলামিয়া আলিম মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মহিববুর রহমান।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।