খুলনার খবর ||করোনাভাইরাসের প্রকোপ শেষ হওয়ার ফলে দীর্ঘদিন ধরে খুলনা মেডিকেল কলেজের আরটি পিসিআর মেশিনটি পড়ে রয়েছে। এজন্য নতুন করে মেশিনটি চালু করতে কিছু কাজ করতে হবে।
মেশিনটি চালুর জন্য চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে। তবে পিসিআর পরীক্ষা না হলেও গতকাল শনিবার থেকে খুমেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে র্যাপিড এন্টিজেন টেস্ট শুরু হয়েছে। প্রথম দিনে ছয়টি পরীক্ষা করে সবগুলোই নেগেটিভ রিপোর্ট মিলেছে। অর্থাৎ এখন পর্যন্ত খুলনায় কারো করোনা শনাক্ত হয়নি।
খুমেক হাসপাতালের করোনা বিষয়ক ফোকাল পার্সন ও আরএমও ডা. খান আহমেদ ইশতিয়াক বলেন, হাসপাতালে আগের থাকা ৭৫টি কীট দিয়েই শুরু হয়েছে এ কার্যাক্রম। গতকাল শনিবার ছয়জনের পরীক্ষা করে কারও করোনা শনাক্ত হয়নি। বর্তমানে রয়েছে ৬৯টি কীট। তবে ইতোমধ্যেই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে।
করোনাভাইরাসের জন্য খুমেক হাসপাতালে ৪০টি আইসোলেশন বেড ও ১০টি আইসিইউ বেড প্রস্তুত আছে উল্লেখ করে ডা. ইশতিয়াক বলেন, গত সোমবার (৯ জুন) থেকে করোনা রোগীদের জন্য এমন প্রস্তুতি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের থাকলেও গতকাল পর্যন্ত কোন রোগীকে ভর্তির প্রয়োজন হয়নি।
খুমেক’র আরটি পিসিআর মেশিনের জন্য আপাতত: টেকনিশিয়ান প্রয়োজন নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, হাসপাতাল ও কলেজে যারা আছেন তারাই পিসিআর মেশিনের কাজ চালিয়ে নিতে সক্ষম। পরে রোগী বাড়লে টেকনিশিয়ানের চাহিদাও বাড়বে। কিন্তু আপাতত: প্রস্তুত আছে খুমেক হাসপাতাল।
খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক(ভারপ্রাপ্ত) ডা: মোঃ মুজিবুর রহমান বলেন, আপাতত: বিভিন্ন হাসপাতালে মজুদকৃত কীট দিয়েই র্যাপিড এন্টিজেন টেষ্ট শুরু হয়েছে।
খুমেক হাসপাতালসহ অন্যান্য হাসপাতালের আরটি পিসিআর মেশিন সচল করার জন্য চাহিদাপত্র স্ব স্ব প্রতিষ্ঠান থেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে।
তাছাড়া কীটের চাহিদাও পাঠানো হয়েছে। আজ রবিবার থেকে বিভাগীয় করোনা সংক্রান্ত রিপোর্ট দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের বলা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, হয়তো ২/৩দিনের মধ্যেই প্রতিদিনের রিপোর্ট গণমাধ্যমে সরবরাহ করা সম্ভব হবে।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।