1. info@www.khulnarkhobor.com : khulnarkhobor :
মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫, ০৪:২১ পূর্বাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com    বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৪৭,আপার যশোর রোড (সঙ্গীতা হোটেল ভবন) ,খুলনা-৯১০০।ফোন:০১৭১০-২৪০৭৮৫,০১৭২১-৪২৮১৩৫। মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
খুলনার খবর
সুন্দরবনে নিষেধাজ্ঞা শুধু কাগজে-কলমে যশোর শহরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান খুলনা জিরোপয়েন্টে নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামীলীগের মিছিলে নেতৃত্বদানকারী ইমান আলী গ্রেফতার লোহাগড়ায় পশু হাসপাতালে চিকিৎসা না পেয়ে মারা গেল ভ্যান চালকের স্বপ্ন !!! মোরেলগঞ্জে বিএনপির সম্মেলনে সংঘর্ষের ঘটনায় ৫২ জনের বিরুদ্ধে মামলা নড়াইলে মোটরসাইকেল ও ট্রলির সংঘর্ষে প্রাণ গেল যুবকের  মোংলায় ছায়া-অস্ত্রের এক ভয়াল প্রহসন! যুবদল নেতা রাহাত হোসেন মুন্নার ওপর বর্বরোচিত হামলার নেপথ্যে বেরিয়ে আাসছে কেসিসিতে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ ও করোনা প্রতিরোধ বিষয়ে সভা অনুষ্ঠিত মামা কতৃক ভাগ্নি কে মারধর ও জমি দখলের অভিযোগ মোরেলগঞ্জে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলন স্থগিত, আহত ৩০ মোবাইল ফোন না দেওয়ায়  অভিমানে শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা আর জেএফ এর অর্থ সচিবের রূহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া অনুষ্ঠিত মোংলায় অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিরুদ্ধে যৌথ অভিযান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নে টাস্কফোর্স কমিটির সদস্যদের প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত  বাগেরহাটে সাংবাদিকদের ওপর পুলিশের হামলা, সাংবাদিক মহলের ক্ষোভ সেরা সাতারুর খোঁজে বাংলাদেশ, খুলনায় ইয়েস কার্ড ৪৪ যশোরের শার্শায় বজ্রপাতে এক যুবক নিহত গাবুরায় লিডার্সের উদ্যোগে কিশোরী মেয়েদের ডিগনিটি কিট বিতরণ নতুন ষড়যন্ত্র রুখতে দেশ প্রেমিক সাংবাদিকদের সতর্ক থাকার তাগিদ – নার্গিস বেগম খুলনা মেট্রোপলিটন শ্যূটিং ক্লাব কার্যনির্বাহী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত

সুন্দরবনে নিষেধাজ্ঞা শুধু কাগজে-কলমে

  • প্রকাশিত : সোমবার, ১৬ জুন, ২০২৫
  • ৪৫ বার শেয়ার হয়েছে

মোঃফয়সাল হোসেন কয়রা, প্রতিনিধি ||১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত তিন মাস সুন্দরবনের সব নদী ও খালে মাছ, কাঁকড়া ধরার পাশাপাশি পর্যটক ও সাধারণ সাধারণ মানুষের প্রবেশ এবং বনজদ্রব্য আহরণে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বন বিভাগ।

তবে খোঁজখবর নিয়ে দেখা গেছে, বাস্তবে সেই নিষেধাজ্ঞা মানার কোনো চিহ্ন নেই।পশ্চিম সুন্দরবনের খুলনার কয়রা উপজেলায় ‘কোম্পানি’ নামধারী কিছু অসাধু মাছব্যবসায়ীর ইন্ধনে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সুন্দরবনের অভয়রণ্যে ও বিভিন্ন খালে বিষ দিয়ে মাছ শিকার চলছে পুরো দমে।

গহিন বনের নীল কোমল স্টেশন এর ভিতর ,বালুরগাং, আমড়া তুলি,নীল কোমল অফিস খাল,বঙ্গবন্ধুর ,পুনতিদ্বীপ ,

কেঁড়ড়াসুটি ,ভোমরখালির ভিতর বয়ার শিং,ভোমর খালি অফিস খাল ,,পাটকোস্টার মোরগখালি ,চেরাগাখি, পাটকোস্টা অফিস খাল ,কাশিয়াবাদের
নলবুনিয়া,ছোটো দুখমুখি ,বড় দুধমুখি ,পিনখালি,চালকি ,কালাবগির আদাচাই, অফিস খাল,মামার খালসহ
বজবজা, খাসিটানা, গেওয়াখালী, ভোমরখালী, পাথকষ্টাসহ অন্যান্য খাল ও ভারানিতে ২০০-২৫০ টি নৌকায় চিংড়িসহ অন্য প্রজাতির মাছ শিকার করছে তারা। তাদের এ কাজে বন বিভাগের স্থানীয় কর্মকর্তারাও জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে।
ওইসব জেলে নামধারীরা তাদের আহরণকৃত চিংড়ি ভোররাতে কয়রা উপজেলা সদরের দেউলিয়া মৎস্য আড়ত, চাঁদালি মৎস্য আড়ৎ, পার্শ্ববর্তী নওয়াবেকীর মৎস্য আড়ৎ, প্রতাপনগর মৎস্য আড়ৎ, নলিয়ান ,দাকোপ ও সুন্দরবনের ভিতর দিয়ে মংলা নিয়ে বিক্রি করছে। শুঁটকির ফড়িয়ারা গোপনে এসব চিংড়ি জেলেদের কাছ থেকে কিনে সুন্দরবনের সন্নিকটে পার্শ্ববর্তী উপজেলা গুলোতে
অবৈধভাবে গড়ে ওঠা কয়েকটি খটিঘরে নিয়ে আগুনে শুকিয়ে চড়া দামে বিক্রি করছে।
পশ্চিশ সুন্দরবনের খুলনা রেঞ্জের বানিয়াখালী, নীলকোমল, নলিয়ান ,বানিয়াখালী ,কাশিয়াবাদ, কোবাদাক স্টেশনের অসাধু বনরক্ষীদের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় চলছে মৎস্য আহরণ।

অভিযোগ রয়েছে, সিন্ডিকেটের বাইরে কোনো জেলে মাছ ধরতে সুন্দরবনে গেলে তাদের বন কর্মকর্তা ও পুলিশ দিয়ে মাছসহ ধরিয়ে দেয়া হয়। তবে বন বিভাগের কর্মকর্তাদের দাবি ম্যানেজ হওয়ার কোন সুযোগ নেই ।

তারা নিয়মিত অভিযান অব্যাহত রেখেছেন ।নিষেধাজ্ঞায় বনের ভিতর প্রবেশ করে মাছ ধরার কোন নেই।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, সুন্দরবনকে কেন্দ্র করে অবৈধ কিছু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে। এসব সিন্ডিকেটের নেতারা বন বিভাগকে ম্যানেজ করে দীর্ঘদিন তাদের অবৈধ ব্যবসা টিকিয়ে রেখেছেন।

এদের অনেকেই বনদস্যুদের পৃষ্টপোষক হিসেবে পরিচিত এবং একাধিক মামলার আসামি। বর্তমানে সুন্দরবনে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা থাকায় কোনো সাধারণ জেলে-বাওয়ালি সুন্দরবনে প্রবেশ করতে না পারলেও কোম্পানি নামধারী ব্যবসায়ীরা তাদের অবৈধ ব্যবসা চালু রেখেছেন।
এদিকে এই নিষেধাজ্ঞা লোক দেখানো উল্লেখ করে সুন্দরবন নির্ভরশীল বনজীবী সুন্দরবনের মাছ-কাঁকড়া ধরে জীবন ও জীবিকা নির্বাহ করেন, এমন একাধিক জেলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, যে কারণে সুন্দরবনের প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা হয় সেই কাজ শতভাগ হয় না, হয় লোক দেখানো কিছু।

তারা বলেন, নিষেধাজ্ঞাটা গোটা সুন্দরবনে। এ কারণে বনের ভেতরের নদী-খালে সাধারণ জেলেরা যেতে পারেন না। কিন্তু যারা গভীর সুন্দরবনের অভয়ারণ্যে মাছ ধরেন, তাদের কিন্তু এ সময়টা সুবর্ণ সুযোগ। কারণ তখন সাধারণ জেলেরা থাকে না।
সুন্দরবনের আয়তনের শতকরা ৫০ ভাগের বেশি এখন অভয়ারণ্যভুক্ত উল্লেখ করে তারা বলেন, সাধারণ সময়েই ওদের আটকানো যায় না, আর এখন তো নিষেধাজ্ঞা। নিষেধাজ্ঞার সময়ে সুন্দরবন ইজারা নেওয়ার মতো করে তারা অভয়ারণ্য দখল করে নেয়।

অনেকে সরাসরি স্বীকার না করলেও কিছু জেলে ও কোম্পানীরা জানান, ঘুষ দিয়ে সুন্দরবনে মাছ ধরতে যাচ্ছেন তারা। একজন বলেন, সব ম্যানেজ করেই সুন্দরবনে যাই। মহাজন আর আড়তদার ম্যানেজ করে দেয়।

অভয়ারণ্যে তো বারো মাস বন্ধ আমরা ম্যানেজ করেই সেখানেও ১২ মাস মাছ ধরি। তবে বন্ধের সময় একটু বেশি টাকা দিতে হয়।
আবার অনেক জেলে জানান, নিয়ম মানলে তো আর পেট চলে না। নিষেধাজ্ঞার সময়ে সরকারের খাদ্য সহায়তা সব জেলে পায় না। যাদের নাম তালিকায় আছে, তারাও সময়মতো সহায়তা পায় না। এবার এখনও চাল বিতরণ হয়নি। তাদের অভিযোগ, প্রকৃত জেলে না হয়েও অনেক সচ্ছল মানুষ এই সহায়তা পান।

কয়রা উপজেলার দক্ষিণ বেদকাশির জেলে মোকসেদ আলী বলেন, আমরা সুন্দরবনের মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করি। আমরা সারাবছর যা রোজগার করি বন্ধের সময় তাতে ভালোভাবে সংসার চলতো।

কিন্তু কোম্পানি নামধারী সিন্ডিকেটের কারণে আমরা অভাব কাটিয়ে উঠতে পারি না।তিনি আরও বলেন, তারা প্রভাবশালী, তাদের সাথে ভালো সম্পর্ক ছাড়া সুন্দরবনের মাছ-কাঁকড়া ধরা যায় না। বিভিন্ন মামলা খাওয়ার ভয়ে মুখ বুজে সহ্য করি কষ্ট হলেও।

তাদের হাত অনেক লম্বা, তারা সবাইকে ভাগা গিয়ে সকল জেলেকে নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। বন বিভাগ সূত্র জানা যায়, পাস-পারমিট বন্ধকালীন তিন মাস অবৈধভাবে বনে ঢুকে কেউ যাতে মাছের বংশবিস্তারে ক্ষতিসাধন না করতে পারে, সেদিকে সকলকে সজাগ দৃষ্টি রাখার পরামর্শ দেয়া হয়েছে স্টেশন কর্মকর্তাদের।

সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী শুভ্র শচীন বলেন, এভাবে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বিষ প্রয়োগে মাছ ধরা অব্যাহত থাকলে সুন্দরবনের জলজ সম্পদসহ জীববৈচিত্র্য ভয়াবহ হুমকির মুখে পড়বে। প্রশ্ন হলো, যারা অবৈধভাবে সুন্দরবনে প্রবেশ করে তারা কীভাবে ঢুকছে এবং আহরণকৃত মাছ-কাঁকড়া কোথায় বিক্রি করছে? বন বিভাগের সে বিষয়ে কোন কার্যকর মনিটরিং নেই।নিষেধাজ্ঞার সময়ে সুন্দরবনের কিছু অসাধু বন কর্মকর্তার দুর্নীতির কারণে এর সুফল পাওয়া যায় না। এভাবে চলতে থাকলে সুন্দরবনের মাছের প্রজনন ও উৎপাদন মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হবে। তিনি নিষেধাজ্ঞার সময়ে সুন্দরবন উপকূলীয় জেলেদের পর্যাপ্ত খাদ্য সহায়তা নিশ্চিত করার দাবি জানান।

এ ব্যাপারে নীল কোমল স্টেশন কর্মকর্তা উৎকোচ নেয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, বর্তমানে পাস-পারমিট বন্ধ। এ সময়ে জেলেদের বনে প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষেধ। অবৈধভাবে বনে ঢুকে যারা মাছ শিকার করছে, তাদের ধরে

শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:-  ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।