মোঃ জসিম উদ্দিন তুহিন,যশোর জেলা প্রতিনিধি || অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক কর্নেল মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল বলেছেন,কারাগার থেকে মাদক সম্পূর্ণ নির্মূল করা রাতারাতি সম্ভব নয়। তবে কারা কর্তৃপক্ষ এই বিষয়ে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহণ করেছে এবং কঠোরভাবে কাজ করে যাচ্ছে। কেন্দ্রীয় কারাগার পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি জানান,মাদকের সঙ্গে জড়িত কারা কর্মচারী ও বন্দীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে কয়েকজন জেল পুলিশের বিরুদ্ধে মাদকের অভিযোগে ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে।জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থানের পর গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশের প্রতিটি স্তরে সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে উল্লেখ করে কর্নেল কামাল বলেন,এরই অংশ হিসেবে কারাগার ব্যবস্থার উন্নয়নের লক্ষ্যে আমরা মাঠপর্যায়ে সরেজমিনে পরিদর্শন করছি এবং প্রয়োজনীয় সংস্কারের দিকগুলো চিহ্নিত করছি।
কারা পুলিশের আদর্শ স্লোগান ‘রাখিব নিরাপদ,দেখাবো আলোর পথ’ স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন,বন্দীদের আলোর পথে ফিরিয়ে আনতে সম্মিলিতভাবে কাজ চলছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, সংস্কার কার্যক্রমের মাধ্যমে খুব শিগগিরই বন্দীদের জন্য একটি উন্নত,মানবিক ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।জুলাইয়ে নরসিংদী কারাগার থেকে পালানো আসামিদের বিষয়ে জানতে চাইলে অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক বলেন,পলাতক সব আসামিকে এখনো ধরা সম্ভব হয়নি,তবে পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো তাদের গ্রেপ্তারে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন,প্রয়োজনীয় সংখ্যক ফোর্স এখনই নামানো সম্ভব না হলেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আইনের চোখ ফাঁকি দিয়ে কেউ বেশিদিন পালিয়ে থাকতে পারবে না, বলে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।১৮৭৫ সালে নির্মিত যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে তিনি জানান,এটি দীর্ঘদিন ধরে বড় কোনো সংস্কার পায়নি। কারাগারটি এখন পুননির্মাণেরপ্রয়োজনীয়তা অনুভব করা হচ্ছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, আগামী দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে এর কাঠামোগত সংস্কার কাজ শুরু হবে। কারাগারের বর্তমান ব্যবস্থাপনা দেখে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জানান।
উল্লেখ্য,যশোর কেন্দ্রীয় কারাগার পরিদর্শনে আসেন। তিনি কারাগারে বন্দী ও রক্ষীদের সাথে কথা বলেন। একইসাথে তাদের সমস্যা ও সমাধানের বিষয়ে আশ্বাস দেন। এসময় তার সাথে ছিলেন যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার নুরশেদ আহমেদ ভূইয়া, জেলর শরিফুল আলম, সহকারী সার্জন এসএম মাহবুবুর রহমান এবং ডেপুটি জেলার গোলাম সাকলাইন।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।