খুলনার খবর ||খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. জুলফিকার আলী হায়দারের পদত্যাগের দাবিতে কেএমপি ঘেরাও করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে শুরু হয়ে চলে রাত ৮টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত।
খুলনার আওয়ামী আমলের আলোচিত উপপরিদর্শক (এসআই) সুকান্ত কুমার দাসকে ছাত্র-জনতা আটক করে পুলিশে দেওয়ার পরও তাকে ছেড়ে দেওয়াকে কেন্দ্র করেই মূলত বুধবার (২৫ জুন) থেকে শুরু হয় কেএমপি ঘেরাও।
এইচএসসি পরীক্ষার জন্য বুধবার রাত পৌনে ৯টায় ঘেরাও কর্মসূচি স্থগিত করার পর বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে আবারো শুরু হয়।
তবে বৃহস্পতিবার সকালে চুয়াডাঙ্গা থেকে এসআই সুকান্তকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হলেও এখন কেএমপি কমিশনারের পদত্যাগ দাবিতেই মূলত চলছে এই বিক্ষোভ কর্মসূচি।
এদিকে, খুলনার সাধারণ ছাত্র জনতা’র ব্যানারে কেএমপি ঘেরও শুরু হলেও এর সাথে ধীরে ধীরে রাজনৈতিক নেতারাও যুক্ত হচ্ছেন। বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাদেরও দেখা যায় এ বিক্ষোভে অংশ নিতে।
বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে তিনটা থেকে বিক্ষোভ শুরু হওয়ার সাথে সাথে কেএমপির প্রধান গেটটি বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কেএমপি কমিশনার মো. জুলফিকার আলী হায়দারসহ অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তারা কেএমপিতে অবরুদ্ধ ছিলেন। ঘেরাওকালে কেএমপি’র গেটে একটি ব্যানার টানানো হয়।
যাতে লেখা ছিল, ‘২৪ জুলাই গণঅভ্যুত্থান বিরোধী কুখ্যাত এসআই সুকান্তকে গ্রেপ্তার করে ছেড়ে দেওয়ার প্রতিবাদে একদফা দাবি খুলনার পুলিশ কমিশনার জুলফিকারের পদত্যাগ করতে হবে, খুলনার সাধারণ ছাত্র জনতা।’
বিক্ষোভকারীরা হ্যান্ডমাইকে বক্তৃতা দেওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।
‘দফা এক দাবি এক, পুলিশ কমিশনারের পদত্যাগ, এক দুই তিন চার, জুলফিকার তুই স্বৈরাচার, রক্তের বন্যায়, ভেসে যাবে অন্যায়’ ইত্যাদি স্লোগানে মুখরিত হয় কেএমপির সদর দপ্তর।
বিক্ষোভ চলাকালে রূপসা থেকে ছেড়ে আসা শহরগামী সকল যানবাহন বিকল্প রাস্তা দিয়ে চলাচল করে।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।