খুলনার খবর ||সংবাদ বিজ্ঞপ্তি : খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ- কেএমপি কমিশনারের পদত্যাগের দাবিতে গতকাল ২৫ জুন থেকে খুলনার জুলাই অভ্যুত্থানকারী ছাত্রজনতা অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে। ইতিমধ্যে খুলনার প্রায় সকল রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন ছাত্র জনতার দাবির পক্ষে একাত্মতা ঘোষণা করেছে এবং কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছে।
খুলনায় পুলিশলীগের মোস্ট ওয়ান্টেড ক্রিমিনাল, বহু অপকর্মের হোতা ও ছাত্র জনতাকে নির্যাতনকারী চার মামলার আসামী এসআই সুকান্তকে রাতের আঁধারে ছেড়ে দেওয়ার মধ্য দিয়ে ঘটনার সূত্রপাত হলে ও মূলত পুলিশ কমিশনারের কার্যক্রমে খুলনার মানুষ বহুদিন ধরে ক্ষুব্ধ৷ মুজিবপ্রেমী লেখক পুলিশ কমিশনার জুলফিকার আলী হায়দার খুলনায় যুক্ত হওয়ার পর থেকে ধারাবাহিকভাবে খুলনায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। ফলশ্রুতিতে খুলনাবাসী গত চার মাসে অন্তত তিন ডজন মানুষের হত্যাকান্ড প্রত্যক্ষ করেছে। খুলনার সকল সন্ত্রাসী ও লীগারদের ত্রাতা হিসাবে পুলিশ কমিশনার জনাব জুলফিকার আলী হায়দারের আবির্ভাব ঘটেছে বলে খুলনার মানুষ মনে করছে৷
খুলনায় রাজনৈতিক ডেভিলরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও তাদের ব্যাপারে পুলিশ কমিশনারের কোন উদ্যোগ এ পর্যন্ত আমাদের চোখে পড়ে নাই।
বারবার অনুরোধ ও সহযোগিতা করার ইচ্ছা প্রকাশ করার পরও দলকানা পুলিশ কমিশনার আমাদের ছাত্র জনতার সহযোগিতা নেন নাই। শুরু থেকেই জুলাই অভ্যুত্থানকারী ছাত্রজনতার প্রতি পুলিশ কমিশনার জুলফিকার আলী হায়দারের কোনোরুপ দায়বদ্ধতা চোখে পড়ে নাই।
এমনকি সদর, সোনাডাঙ্গা সহ কয়েকটি থানায় পুলিশ কমিশনারের নির্দেশে আটকের পরও চিহ্নিত আসামীদের ছেড়ে দেওয়া ও অপরাধীদের বিরুদ্ধে মামলা না নেওয়ার পাশাপাশি চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও লীগারদের গ্রেপ্তার নিরুৎসাহিত করতে সরাসরি পুলিশ কমিশনারের হস্তক্ষেপ দৃশ্যমান হয়েছে।
সব সময় নিজের ইচ্ছা ও খেয়াল খুশিমতো চলতে যেয়ে খুলনায় পুলিশ বাহিনীর দুর্নাম ও বদনাম ব্যতীত কমিশনার জুলফিকার আলী হায়দার এ যাবৎ আর কিছুই অর্জন করতে পারেন নাই৷
আমরা আশঙ্কা করছি, এসআই সুকান্তের মত বড় বড় রাজনৈতিক ডেভিলরা কমিশনার জুলফিকারের আশ্রয়ে রয়েছে। এজন্যই হয়তো খুলনা শহরে লীগের দোষররা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে, অভ্যুত্থানকারীদের হুমকি ধামকি দিচ্ছে ও নির্বিঘ্নে বাণিজ্য করে যাচ্ছে। পাশাপাশি অযোগ্য ও লীগ প্রেমীদের ধরে ধরে খুলনার বিভিন্ন থানার ওসি বানানোর পাশাপাশি কেএমপি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে পদায়ন করতেও কমিশনার জুলফিকার আলী হায়দারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
পরিশেষে খুলনায় পুলিশ লীগের মোস্ট ওয়ান্টেড ক্রিমিনাল, বহু অপকর্মের হোতা ও ছাত্র জনতাকে নির্যাতনকারী চার মামলার আসামী এসআই সুকান্তকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার পরও রাতের আঁধারে ছেড়ে দেওয়ার মধ্য দিয়ে পুলিশ কমিশনার জুলফিকার আলী হায়দার তার অপকর্মের কফিনে শেষ পেরেক স্থাপন করেছেন।
অযোগ্য, স্বেচ্ছাচারী ও অভ্যুত্থানবিরোধী পুলিশ কমিশনার জুলফিকার আলী হায়দারকে খুলনাবাসী আর এক মুহূর্তের জন্য কেএমপি কমিশনারের চেয়ারে দেখতে চাই না। আমরা অনতিবিলম্বে পুলিশ কমিশনার জুলফিকার আলী হায়দারের পদত্যাগ দাবি করছি।
পরবর্তী কর্মসূচি :
পুলিশ কমিশনার, পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম কর্মসূচি ঘোষণা করছি। পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ছাত্র জনতার দাবির সূরাহা না হলে শনিবার দুপুর ১২ ঘটিকা থেকে ‘খুলনা অচল’ কর্মসূচি ঘোষণা করা হলো। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে অবস্থান করার ব্যাপারে বিপ্লবী ছাত্র জনতা দৃঢভাবে অঙ্গীকারবদ্ধ।
বার্তাপ্রেরক-
বিপ্লবী ছাত্র জনতা (খুলনা)
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।