খুলনার খবর ||কার্যকর ঐক্য গড়ে তুলতে পারলে আগামীতে ইসলামপন্থীরাই প্রধান রাজনৈতিক শক্তি হবে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলনের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম। আমি শুরু থেকেই ইসলামপন্থী সব ভোট একবাক্সে আনার কথা বলে আসছি।
আগামী নির্বাচনে শুধু ইসলামী দলই নয়, বরং দেশপ্রেমিক আরো অনেক রাজনৈতিক দলও একবাক্স নীতিতে আসতে পারে, ইনশাআল্লাহ।
যদি আমরা একত্রে নির্বাচন করতে পারি, যদি কার্যকর ঐক্য গড়ে তুলতে পারি, তাহলে বাংলাদেশে ইসলামপন্থীরাই হবে প্রধান রাজনৈতিক শক্তি। রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব আমাদের হাতেই আসবে ইনশাআল্লাহ।
চরমোনাই পীর বলেন, আমরা বারবার রক্ত দিয়েছি, কিন্তু সফলতা পাই নাই। আমরা ৫৪ বছরে অনেক দলকে দেশ শাসন করতে দেখেছি। কিন্তু ইসলামকে এখনো ক্ষমতায় নিতে পারি নাই। এবার ইসলামপন্থীদের ঐক্যের ব্যাপারে গণপ্রত্যাশা তৈরি হয়েছে।
তিনি শনিবার বিকালে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ইসলামী আন্দোলন আয়োজিত জাতীয় মহাসমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন। এতে জামায়াতে ইসলামী সহ পিআর পদ্ধতির দাবির পক্ষে থাকা সব ইসলামী ও সমমনা দলের শীর্ষ নেতারা বক্তব্য রাখেন। সকাল ১০ টা থেকে এই সমাবেশের প্রাথমিক কার্যক্রম শুরু হলেও দুপুর দুইটার পর মুল পর্বে জাতীয় নেতারা বক্তব্য রাখেন।
চরমোনাই পীর বলেছন, আগামীর বাংলাদেশ-ইসলামের বাংলাদেশ। আগামীর বাংলাদেশ দেশপ্রেমিকদের বাংলাদেশ। এই লক্ষ অর্জনে সবাইকে সর্বোচ্চ শক্তি নিয়োগ করার আহবান জানাচ্ছি। আসুন সবাই মিলে আমাদের স্বপ্ন পূরণে একযোগে কাজ করি।
তিনি বলেন, দুর্নীতি-দুঃশাসনমুক্ত সমৃদ্ধ ও উন্নত রাষ্ট্র নির্মাণের জন্য এ দেশের মানুষ শত শত বছর ধরে আত্মত্যাগ করে যাচ্ছে। সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য দিচেছ। তারই ধারাবাহিকতায় চব্বিশের জুলাই-আগস্টেও আরেকটি গণঅভ্যূত্থান হয়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের অতীতের আত্মত্যাগ বিফলে গেছে ভুল নীতি এবং অসুস্থ রাজনীতির কারণে। সুতরাং জুলাই অভ্যুত্থানকেও আমরা অতীতের মতো ব্যর্থ হতে দিতে পারি না। আবু সাঈদ ও মুগ্ধরা আমাদের স্মৃতিতে অম্লান হয়ে আছে। আহতরা এখনো ক্ষত বয়ে বেড়াচ্ছে।
তাই প্রয়োজনীয় রাষ্ট্র সংস্কার এখনই করতে হবে। পতিত স্বৈরতন্ত্রের সঙ্গে জড়িতদের বিচার করতে হবে। পিআর (সংখ্যানুপাতিক) পদ্ধতিতে নির্বাচন আয়োজন করার কোন বিকল্প নাই। আজকের এই জনসমুদ্র পিআর পদ্ধতির নির্বাচনের পক্ষের জনসমুদ্র।
তিনি বলেন, দেশের সকল মানুষের ভোটের দাম সমান। কারো ভোট যাতে অবমূল্যায়ন না হয়, সেই ব্যবস্থা করতে হবে। তাই আগামী নির্বাচনে সংসদের উভয়কক্ষে অবশ্যই পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন দিতে হবে। যে দল যত শতাংশ ভোট পাবে, সংসদে তাদের সেই অনুপাতে আসন থাকবে।
চরমোনাই পীর বলেন, ১৯৭২ সালে রচিত সংবিধান ছিলো দেশের মানুষের বোধ-বিশ্বাস ও গণআকাংঙ্খা বিরোধী। সেই সংবিধান রচয়িতাদের স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধান রচনা করার ম্যান্ডেটই ছিলো না।
তারা ভিনদেশের সংবিধান অনুসরণ করেছিলেন। ফলে যা হওয়ার তাই হয়েছে। কোনক্ষেত্রেই কাঙ্ক্ষিত সমৃদ্ধি ও উন্নতি হয় নাই। রাজনৈতিক সংস্কৃতি কলুষিত হয়েছে। সবচেয়ে ভয়াবহ ব্যাপার হলো, সংবিধান মেনেই স্বৈরাচার তৈরি হয়েছে। এ জন্যই আমরা সংস্কারের প্রশ্নে অটল-অবিচল ও আপোষহীন অবস্থান নিয়েছি।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।