খুলনার খবর ||“নির্বাচন কমিশনকে আরও শক্তিশালী করতে সংস্কার কমিটি প্রস্তাব দিয়েছে। কালো টাকার ব্যবহার বন্ধ এবং যোগ্য প্রার্থী নিশ্চিত করতেই এসব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।”
সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন প্রেস সচিব মো. শফিকুল আলম।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মো. শফিকুল আলম বলেছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন হবে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর।জনগণ তাদের পছন্দের প্রার্থীকে স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পারবে।
শনিবার দুপুরে খুলনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
প্রেস সচিব বলেন, “নির্বাচনকে ঘিরে আগের মতো উৎসবমুখর পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে সরকার কাজ করছে। নির্বাচন কমিশনকে আরও শক্তিশালী করতে সংস্কার কমিটি প্রস্তাব দিয়েছে।
কালো টাকার ব্যবহার বন্ধ এবং যোগ্য প্রার্থী নিশ্চিত করতেই এসব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “খুলনার উন্নয়নে সরকারের বিশেষ নজর রয়েছে। মোংলা বন্দরকে কেন্দ্র করে এখানকার অর্থনীতিতে বড় পরিবর্তন আসবে।
মোংলা বন্দরের পাশে চীনের আগ্রহে অর্থনৈতিক অঞ্চলে শিল্পকারখানা গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে। বিডা এ নিয়ে কাজ করছে।”
খুলনায় নতুন পাট শিল্প স্থাপনের বিষয়ে তিনি বলেন, “সরকারি অনুদানে এখন আর শিল্প প্রতিষ্ঠান চালানো সম্ভব নয়। বেসরকারি উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসতে হবে। বিডা, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বন বিভাগ এই বিষয়ে একসঙ্গে কাজ করছে।”
শিক্ষায় খুলনার সম্ভাবনার বিষয়ে তিনি বলেন, “খুলনা একটি শিক্ষা শহর হিসেবেও গড়ে উঠছে। এখানে সরকারি-বেসরকারি অনেক বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে।”
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে খুলনায় যেসব ‘ক্লাইমেট রিফিউজি’ আসছেন, তাদের জন্য নিরাপদ আবাসনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
“শ্যামনগরের গাবুয়ায় যেভাবে নিরাপদ পানি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে, সেটি উপকূলীয় অন্য এলাকাতেও সম্প্রসারণ করা হবে।”
তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, “সরকারের নানা উদ্যোগ হয়তো এখনই দৃশ্যমান নয়, তবে আগামী এক দশকে খুলনা ঘুরে দাঁড়াবে। বন্ধ হয়ে যাওয়া জুটমিলগুলোর আওতাধীন স্কুলগুলো সরকারিকরণ করা হবে।”
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “২৬ জুন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) সাক্ষাৎ ছিল নিছক সৌজন্য সাক্ষাৎ। এটিকে আলোচনার বিষয় বানানোর কিছু নেই।”
মতবিনিময় সভায় ডেপুটি প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ ও সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
প্রেস সচিব খুলনায় যাওয়ার দিনই খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. জুলফিকার আলী হায়দারের অপসারণের দাবিতে আন্দোলন করছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। দুপুরে কেএমপি সদর দপ্তর ঘেরাও করে টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে তারা। এতে খানজাহান আলী রোডে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পুলিশ কমিশনারকে প্রত্যাহার করা না হলে খুলনার কেএমপি সদর দপ্তরসহ সব থানা অচল করে দেওয়ার হুমকিও দেন তারা।
এদিকে বিকাল ৫টার দিকে প্রেস সচিব প্রেসক্লাবে গিয়েছেন এমন খবর পাওয়ার পর আন্দোলনকারীরা সেখানে যান। তারা প্রেসক্লাবের ফটকে অবস্থান নেন এবং খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. জুলফিকার আলী হায়দারের অপসারণের দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন। পরে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন প্রেস সচিব। তিনি বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে সরকারকে জানাবেন বলে আশ্বাস দেন। রাত ৮টার দিকে প্রেসক্লাব ত্যাগ করেন তিনি।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।