পরেশ দেবনাথ,কেশবপুর,যশোর || যশোরের কেশবপুরে জলবদ্ধতা নিরসনে ইউএনও মহোদয়ের সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ করায় ইতোমধ্যে যথেষ্ট প্রশংসা কুড়িয়েছেন। কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেকসোনা খাতুন-এর নির্দেশে পানি উন্নয়ন বোর্ড কাশিমপুর বাঁধ অপসারণের কাজ শুরু করেছে। এটি অপসারণ করা হলে আবদ্ধ পানি সহজে বের হয়ে যেতে পারবে।
শণিবার (১২ জুলাই-২৫) সকাল থেকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলীসহ গৌরিঘোনা ইউনিয়নের আগরহাটি স্লুইস গেট ও কাশিমপুর বাঁধ পরিদর্শন করেন। অবশেষে সেখানে এস্কেভেটর দিয়ে বাঁধ কাটা হচ্ছে। ভাটার সময় পানির স্রোত প্রচুর। পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য মতে, আগামীকাল থেকে আরো বাড়বে স্রোত। ১০ তারিখে পুর্ণিমা ছিলো। আজ বিকাল থেকে তৃতীয়া লাগবে এজন্য জোয়ারের সময় উজানের দিকে পানির চাপ এখনো একটু বেশি। ২/১ দিনের ভিতর অনেক বেশি ভাটার টান থাকবে, তখন পানি আরো বেশি নামবে বলে তিনি মন্তব্য করেছেন।
এছাড়া আজ ত্রিমোহিনী ইউনিয়নের বাজার সংলগ্ন কপোতাক্ষ নদের উপর নির্মিত কাঠের ব্রিজ ও ঘেরের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত একটি রাস্তা পরিদর্শন করেন। ঘেরের মালিককে রাস্তাটি দ্রুত সংস্কারের নির্দেশ প্রদান করেন।অন্যথায় প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানান।
উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের দরিদ্র ও অসহায় ব্যক্তি (দীর্ঘ দিন যাবৎ কেশবপুর থানায় লাশ বহনকারী) শেখের আলী খাঁ অতিবৃষ্টির কারণে ঘরে বসত করতে না পারায় বুধবার (১০ জুলাই-২৫) কেশবপুর উপজেলা চত্বরে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে ঘর নির্মাণের জন্য দুই বান্ডিল ঢেউটিন ও নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করেন। সহায়তা পেয়ে শেখের আলী খাঁ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামের আব্দুল্লাহ গাজীর বসত বাড়ির উপর প্রতিবেশীর একটি বড় রেইন্ট্রি গাছ পড়ে বসতবাড়িটি ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার খবরটি জানতে পেরে সাথে সাথে দুই বান টিন এবং গৃহ নির্মাণের জন্য কিছু আর্থিক সাহায্য প্রদান করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেকসোনা খাতুন। সদর ইউপি চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন আলা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতা সামগ্রী ভুক্তভোগীর বাড়িতে পৌঁছে দেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মহানুভবতায় মাথা গোজার ঠাঁই পেলো আব্দুল্লাহ।
টানা বৃষ্টি ও হরিহর নদের পানি ঢুকে এলাকা প্লাবিত হয়ে পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমায় পৌঁছেছে। নদের পানি ঢুকে পৌরসভার মধ্যকুল খানপাড়া এলাকার অন্তত ২০টি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ভেঙে গেছে খোঁজাখালি খালের সুইস গেটের একটি কপাট। ওই ভাঙা কপাট দিয়ে পানি উজানে ঢুকে পড়ায় কেশবপুর সদর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার কৃষি জমি প্লাবিত হয়েছে। টানা বৃষ্টিতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার আমন ধানের বীজতলাসহ ৩১ হেক্টর ফসল আক্রান্ত হয়েছে।
বুধবার দুপুরে সরেজমিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেকসোনা খাতুন খোঁজাখালি খালের সুইস গেট এলাকা পরিদর্শন করেন এবং দ্রুত জিও ব্যাগ দিয়ে ওই স্থান বন্ধ করার ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। কেশবপুরে জলাবদ্ধতা নিরসনে নদের পানিপ্রবাহ ঠিক রাখতে কচুরিপানা অপসারণেরও ব্যবস্থা নিয়েছেন।
জলবদ্ধতাসহ সার্বিক পরিস্থিতিতে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ গ্রহন করায় কেশবপুরবাসী উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেকসোনা খাতুনকে যথেষ্ট প্রশংসা করছেন।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।