অদিতি সাহা খুলনার খবর ||খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার হাটবাজার গুলোতে এখন বেশ সরব শাপলা নামের একটি সবজি।
আগে যেটি শুধুই সৌন্দর্য বা পূজার উপকরণ হিসেবে ব্যবহৃত হতো, সেটিই এখন ভোজনরসিকদের পাতে স্থান করে নিচ্ছে স্বাস্থ্যসম্মত ও সুস্বাদু খাদ্য উপাদান হিসেবে।পথের বাজার, বারাকপুর , গাজিরহাট, কোলা, চন্দনীমহল, সেনহাটিসহ উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজার ঘুরে দেখা গেছে, বর্ষার এ সময়টিতে শাপলার চাহিদা অনেক বেড়ে গেছে।
প্রতিদিনই গ্রামের জলাশয়, ধানক্ষেত বা খাল-বিল থেকে শাপলা তুলে এনে স্থানীয় একশ্রেণীর মৌসুমী সবজি বিক্রেতা বাজারে বিক্রি করছেন ২০ থেকে ৩০ টাকা প্রতি আঁটি দরে।
কোথাও কোথাও চাহিদা অনুযায়ী দাম আরও বাড়ছে।স্থানীয় বিক্রেতা বাদশা বলেন, “আগে শাপলার এত চাহিদা ছিল না।
এখন অনেকেই শাপলা দিয়ে মাছ বা মুরগির ঝোল রান্না করেন, কেউ আবার ভর্তা বা ভাজিও করেন। বিক্রি ভালো হচ্ছে।”রান্নার স্বাদে বৈচিত্র্য ও পুষ্টিগুণের কারণে শাপলার জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে।
পুষ্টিবিদদের মতে, শাপলার কাণ্ডে রয়েছে আঁশ, আয়রন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। এটি হজমে সহায়ক, রক্তশূন্যতা দূর করে এবং রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কার্যকর ভূমিকা রাখে।
আরও আশার বিষয় হলো—শাপলা সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক পরিবেশে কোনো প্রকার সার বা কীটনাশক ছাড়াই জন্মায়, এতে করে এটি একটি নিরাপদ খাদ্য উপাদান হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
দিঘলিয়ার মৌসুমী শাপলা বিক্রেতারা মনে করছেন, সরকার বা কৃষি দপ্তর যদি শাপলা উৎপাদন, সংগ্রহ ও বাজারজাতকরণে সহায়তা করে, তাহলে এটি গ্রামীণ অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।পরিবেশবান্ধব, পুষ্টিকর ও সুস্বাদু এই শাপলা যেন আরও বেশি মানুষের খাদ্য তালিকায় স্থান পায়—এমনটিই প্রত্যাশা স্থানীয়দের।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।