খুলনার খবর ||খুলনায় ট্রেন ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ একজন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। সোমবার (১৪ জুলাই) রাত সোয়া ৮টার দিকে নগরীর খানজাহান আলী থানাধীন আফিল গেটে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় কয়েকজন গুরুতর আহত হয়েছে। সংঘর্ঘের পর থেকে খুলনার সঙ্গে সারা দেশের ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
খুলনা রেলওয়ে থানার (জিআরপি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস আলম খান দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, রাত সোয়া ৮টার দিকে ডাউন মহানন্দা ট্রেনটি খুলনার দিকে আসছিল। এ সময় একটি ট্রাক রেল লাইনের ওপর উঠে বন্ধ হয়ে গেলে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তবে এ ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর তিনি জানেন না।
খানজাহান আলী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কবির হোসেন বলেন, ‘আফিল গেট বাইপাস সড়ক রেল ক্রসিংয়ে একটি ট্রাক উঠে পড়লে তার স্টার্ট বন্ধ হয়ে যায়।
এ সময় খুলনার দিকে আসা ট্রেনটি ট্রাকটিকে ধাক্কা দিয়ে সামনের দিকে নিয়ে যায় এবং ট্রেনের তিনটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে যায়। এ ঘটনায় ট্রেনে থাকা যাত্রীদের অনেকে আহত হন।’
তিনি বলেন, ‘এ ঘটনায় একজন বয়স্ক ব্যক্তি গুরুতর আহত হয়েছেন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।
লোকমুখে শুনেছি আহত ওই ব্যক্তি মারা গেছেন। এ ঘটনার পর থেকে খুলনার সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।’
খুলনা রেলস্টেশনের স্টেশন মাস্টার জাকির হোসেন বলেন, ‘অফিস গেটে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে খুলনাগামী মহানন্দা এক্সপ্রেসের সঙ্গে ট্রাকের সংঘর্ষ হয়েছে। দুর্ঘটনায় বেশ কয়েকজন হতাহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এতে সারা দেশের সঙ্গে খুলনার ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।’
খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের একটি সূত্র জানায়, দুর্ঘটনার পর থেকে হাসপাতালে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত ৫/৬ জনকে ভর্তি করা হয়। আহতদের সঠিক হিসাব এখনো পাওয়া যায়নি। এর মধ্যে একজন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।
বিস্তারিত তথ্য যা জানা গেল :
খুলনার আফিল গেটে ট্রেন-ট্রাক সংঘর্ষে নিহত ব্যক্তির নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে। তার নাম মোঃ শহিদুল ইসলাম খান(৬৫) এবং তিনি একজন অবসরপ্রাপ্ত বিজিবি সদস্য। তিনি ঝিনাইদহ জেলার সদর থানাধীন খাজুরা পূর্বপাড়া এলাকার মৃত: আসমত আলী খানের ছেলে। খুমেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ইমারজেন্সি মেডিকেল অফিসার (ইএমও) ডা: আশরাফ হোসেন বলেন, জরুরি বিভাগে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।
তার মাথায় ও বুকে আঘাত ছিল।
সোমবার (১৪ জুলাই) রাত সোয়া আটটার দিকে কেএমপির খানজাহান আলী থানাধীন আফিল গেটে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনার পর থেকে খুলনা খুলনা থেকে ঢাকাগামী ট্রেন সুন্দরবন যথা সময়ে ছেড়ে যেতে পারেনি। সুন্দরবন ট্রেনটি রাত পৌনে দশটায় খুলনা থেকে ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল।
খুলনার স্টেশন মাষ্টার মোঃ জাকির হোসেন বলেন, রাত ১২টা নাগাদ দুর্ঘটনা কবলিত ট্রেনটি সরিয়ে নেওয়া হতে পারে। তবে দুর্ঘটনার পর থেকে ওই সড়কের যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
এদিকে, ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ২৫/৩০জন। যাদেরকে খুলনার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে শুধুমাত্র খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আটজনের নাম-ঠিকানা জানা গেছে।
এরা হলেন, যশোরের অভয়নগর থানার নওয়াপাড়ার সুমনের ছেলে সাদমান (৬), যশোর সদর থানাধীন সেখহাটির হাফিজুরের ছেলে মারুফ(১৭), খুলনার বটিয়াঘাটা থানার হাটবাটির মোশারফের ছেলে মিন্টু(৪৫), খুলনার আড়ংঘাটা থানার গাইকুড়ের মৃত:শেখ রুস্তম আলীর ছেলে শেখ সাইদুল আজম(৫০), খুলনার খালিশপুরের বাস্তুহারা এলাকার আব্দুর রহিমের ছেলে সোহেল(৩৪), খুলনার রূপসা থানার কাজদিয়ার আশিষের মেয়ে লাবণ্য (১৫), খুলনার দৌলতপুরের রনজিত পালের ছেলে বিপ্লব(২৬) এবং যশোরের বসুন্দিয়ার ইয়াকুব মোল্লার ছেলে মাহমুদ হোসেন(৪০)।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।