এস.এম.শামীম, দিঘলিয়া খুলনা ||চলমান মামলার জমিতে ব্যক্তিগত মন্দির নির্মাণ,সাংবাদিক গন কথা বলতে চাইলে আমার এখন কথা বলার মত সময় নেই বলেন ড:বাসু দেব।
দিঘলিয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের দিঘলিয়া গ্রামের দেব প্রসাদ চক্রবর্তীর পুত্র গোলক চক্রবর্তী গংয়ের নালিশী জমিতে মৃত মানিক চন্দ্র ঘোষের পুত্র বাসুদেব ঘোষ, নিখিল চন্দ্র ঘোষ ও বিষ্ণুপদ ঘোষ নানা নির্মাণ কাজ সম্পন্নের জন্য নানা পায়তারা ও ষড়যন্ত্র করে আসছেন।
জমি নিয়ে মামলা চলমান থাকা সত্ত্বেও বাসু দেব এর অপশক্তিতে নির্মাণ কাজ তড়িঘড়ি করে চলছে। তার নিকট জমির বৈধ কাগজ পত্র না থাকা সত্বেও অন্যের বিবাদমান ও মামলা চলমান থাকা সত্বেও উক্ত জমি নিজেদের দখলে নেওয়ার মানসে নানা বিগত সৈরাচারি সরকারের উচ্চ পদে আসিনদের ধরে সরকারি অর্থ বরাদ্দ আনেন।
যা ইতোমধ্যে বিতর্কিত ও মামলা চলমান জায়গা বিধায় সরকারি অর্থে নির্মাণ কাজ সংশ্লিষ্ট দপ্তর বাতিল করে দিয়েছে।
সরকারি মোটা অংকের বরাদ্দে নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়ে গেলেও উল্লেখিত বাসুদেব ঘোষ, নিখিল চন্দ্র ঘোষ ও বিষ্ণুপদ ঘোষ গোলক চক্রবর্তীর মামলা চলমান জমি দখল করিয়া স্থাপনা তৈরি এবং লাঠিয়াল সন্ত্রাসীদের সাথে নিয়ে গোয়ালঘর ভেঙ্গে জায়গা দখলের পায়তারা করছে।
এ ব্যাপারে গোলক চক্রবর্তী ১-৩ নং বিবাদী তার খুলনা জজ আদালতে সিভিল রিভিশন ৪৭/২৩ নং চলমান মামলার দাবীকৃত জমির স্থাপনা ভাংচুর, জমি দখল বা জমিতে কোনো প্রকার স্থাপনা তৈরি করতে না পারে, তার যথাযথ ব্যবস্থা দাবী করে গত ১৫/০৭/২০২৫ তারিখে খুলনা জেলা প্রশাসক ও গত ১৬/০৭/২০২৫ ইং তারিখে দিঘলিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার, দিঘলিয়া উপজেলা সহকারি কমিশনার ভূমি ও দিঘলিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ বরাবর লিখিত আবেদন দাখিল করেছেন।
উল্লেখ্য তফশীল বর্ণিত জমি আলতাফ হোসেন দিং এর পূর্বাধিকারী বাদল মোড়ল দিং বিনিময় সূত্রে প্রাপ্ত হয় এবং জেলা প্রশাসক পক্ষে এডিশনাল ডেপুটি কমিশনার (রেভিনিউ) খুলনা কর্তৃক গত ইং ২৫/০৪/১৯৭৫ তারিখে ৯৫৪৪/৭৫ নং সেটেলমেন্ট দলিল সম্পাদন ও রেজিষ্ট্রি করে দেন। বাদল মোড়ল দিং মৃত্যুতে মোঃ আলতাফ হোসেন দিং ওয়ারেশ সূত্রে প্রাপ্ত হন।
বর্তমান বিআরএস জরিপে ভুলক্রমে বিবাদীদের নামে রেকর্ড হলে উক্ত মোঃ আলতাফ হোসেন দিং বিআরএস খতিয়ানে তাদের নামে রেকর্ড সংশোধন করার জন্য গত ইং ২৯/০৫/২০২২ তারিখে ৩৩০৬ নং আমমোক্তার নামা দলিলে গোলক চক্রবর্তীকে ক্ষমতা দেন।
তিনি মোঃ আলতাফ হোসেন দিং কর্তৃক আমমোক্তার নামা বনিয়াদে ক্ষমতা প্রাপ্ত হয়ে বিআরএস সংশোধন করার জন্য জেলা খুলনার দৌলতপুর সহকারি জজ আদালতে দেঃ ৫০০/২১ নং মোকদ্দমা দায়ের করেন।
উক্ত দেওয়ানি ৫০০/২১ নং মোকদ্দমার এক অন্তর্বর্তীকালীন আদেশের বিরুদ্ধে জেলা খুলনার জজ আদালতে সিভিল রিভিশন ৪৭/২৩ নং মোকদ্দমা দায়ের করেন দিঘলিয়া নিবাসী দেব প্রসাদ চক্রবর্তীর পুত্র গোলক চক্রবর্তী।
জেলা খুলনা থানা দৌলতপুর, হাল থানা দিঘলিয়া অন্তর্গত সিএস ১৩৬১ নং খতিয়ান মোতাবেক এসএ ১৩১৭ নং খতিয়ানে ৮৪৩, ৮৪৭ দাগে মোট (০.১৩+০.১২) =০.২৫ একর জমি।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।