রিয়াজ মুস্তাফিজ,খুলনার খবর ||সবুজে ঘেরা ছায়া সুনিবিড় গ্রামের শান্ত সুনসান নিরাবতায় চিরনিদ্রায় শায়িত হল রাইসা মনির পুড়ে অঙ্গার হয়ে যাওয়া নিথর দেহখানি। পাখপাখালির কিচিরমচিরের সাথে মিশে গেল মাইলষ্টোন ট্র্যাজেডির শিকার হওয়া একটা প্রজাপতি অথবা ঘাসফড়িং।
শহরের কোলাহল আর নিত্যদিনের হোমওয়ার্কের তাড়াহুড়ো ছেড়ে রাইসা মিশে গেলো কালের গহবরের অচিন এক ঠিকানায়।
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গার নিজ গ্রামে রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান দুর্ঘটনায় নিহত শিক্ষার্থী রাইসা মনির দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
শুক্রবার সকাল ৯ টায় ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের বাজড়া গ্রামে শামসুল উলুম মাদ্রাসা ও এতিমখানা ময়দানে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে স্থানীয় প্রশাসন, সেনাবাহিনীর একটি টিমসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন। জানাজা শেষে বাজড়া গোরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, রাইসা মনির বাবা শাহাবুল শেখ ব্যবসার সুবাদে ঢাকায় পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন ।
তিন সন্তানদের মধ্যে রাইসা মেঝো। সে রাজধানীর মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
দূর্ঘটনার পর নিখোঁজ ছিল রাইসা মনি, একদিন পর ঢাকা সিএমএইসএ তার মৃতদেহ শনাক্ত করে পিতা শাহাবুল ইসলাম। কিন্তু তার শরীরে ৮০% পুড়ে যাওয়ায় শনাক্ত করার পরেও শতভাগ নিশ্চিত হতে ডিএনএ টেস্ট করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
পুলিশের ফরেনসিক ডিএনএ ল্যাবে মোট ১১ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পাঁচজনের পরিচয় শনাক্ত করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী রাইসা মনি।
ছোট্ট রাইসার মৃতদেহ বাড়িতে পৌঁছালে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। তার অকাল মৃত্যুতে বাকরুদ্ধ পরিবার ও স্বজনরাও।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।