মোঃ ইমরান হোসেন,বটিয়াঘাটা প্রতিনিধি || যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাব গাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে খুলনা’র বটিয়াঘাটা উপজেলার সর্বত্র সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম বৃহত্তম উৎসব জ্ঞান ও ললিতকলার দেবী স্বরস্বতী পূঁজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।পূঁজাকে ঘিরে গতকাল বৃহষ্পতিবার ভোর হতেই প্রায় প্রতিটি বাড়িতে বাড়িতে ও স্কুল-কলেজ সহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শঙ্খ ও উলুধ্বনিতে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে।কোথাও কোথাও আবার ঢাঁক- ঢোল,কাঁশি ও সাঁনাইয়ের বাজনায় মূখরিত হয়ে ওঠে।ভোর হতেই স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পায়জামা-পাঞ্জাবি এবং সাদা শাঁড়ি পরিধানসহ খোঁপায় রজনীগন্ধা ও গাঁদা ফুল লাগিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানমূখি হতে দেখা যায়।
বেলা বাড়ার সাথে সাথে রাস্তায় রাস্তায় শিক্ষার্থীদের পদচারনায় মুখরিত হয়ে ওঠে।এক পর্যায়ে তা উৎসবে পরিনত হয়ে ওঠে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের বাইরে ব্যক্তিগতভাবে অনেকের বাড়িতে জাঁকজমকপূর্ণ ভাবে দেবীর আরাধনা হতে দেখা যায়। এদের মধ্যে উপজেলা সদরের ঐতিহ্যবাহী ঘোষ পরিবার,জলমা ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী টিকাদার পরিবার ও একই ইউনিয়নের মিস্ত্রি পরিবার অন্যতম।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সরকারি বটিয়াঘাটা ডিগ্রি মহাবিদ্যালয়,শহীদ আবুল কাশেম ডিগ্রি কলেজ,খগেন্দ্র নাথ মহিলা কলেজ,হাটবাটী হোগলবুনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়,জলমা-চক্রাখালি সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়,হেঃ কোঃ পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়,মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,বয়ারভাঙ্গা বিশ্বম্ভর মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ অধিকাংশ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দেবী সরস্বতীর আরাধনা করা হয়।
অন্যদিকে সার্ব্বজনীনভাবে দেবীর বাণী অর্চনার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো বটিয়াঘাটা বাজার নাট মন্দির প্রাঙ্গন ও ছিলিন্দামারী জগতমাতা মন্দির অন্যতম। এদিকে বিকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনুরূপ পূঁজা অনুষ্ঠিত হয়। সবমিলিয়ে এ পূঁজাটি এক পর্যায়ে উৎসবে পরিনত হয়।