1. info@www.khulnarkhobor.com : khulnarkhobor :
মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ০৯:৩০ অপরাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি/বিজ্ঞাপন
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com    বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৪৭,আপার যশোর রোড (সঙ্গীতা হোটেল ভবন) নীচতলা,খুলনা-৯১০০।ফোন:০১৭১০-২৪০৭৮৫,০১৭২১-৪২৮১৩৫। মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
খুলনার খবর
পাইকগাছার কপিলমুনিতে রাস্তার জায়গা দখল কয়েক লক্ষ টাকায় বিক্রয় অতঃপর উদ্ধার উপজেলা পর্যায়ে কেশবপুর বাহারুল উলুম কামিল মাদ্রাসা শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান ও শ্রেষ্ঠ অধ্যক্ষ ফসিয়ার রহমান বটিয়াঘাটায় বীরমুক্তিযোদ্ধা সুশীল টিকাদারের রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন ঝিকরগাছায় সর্বজনীন পেনশন স্কিম বাস্তবায়নে উদ্বুদ্ধকরণ সভা অনুষ্ঠিত  বার বার সুন্দরবনে অগ্নিকাণ্ড -দায়ভার বনবিভাগকেই নিতে হবে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে লড়াই হবে চতুর্মুখী কেশবপুরে রাত পোহালে উপজেলা নির্বাচন  লোহাগড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী তারিকুল ইসলাম উজ্জলের গণসংযোগ  লোহাগড়ায় নবগঙ্গা ডিগ্রী কলেজের সভাপতি রাশিদুল কে অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ  লোহাগড়া উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী মুন্সী নজরুল ইসলামের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত দিঘলিয়ায় জামিল মোরশেদ মাসুমের উঠান বৈঠক ও গণ সংযোগ বটিয়াঘাটা উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী আওয়ামী লীগের ৩,সাংবাদিক ২ সহ ৬ জন ছুটির কারনে স্কুলের কর্মদিবস কমে গেলে শুক্রবারও চলবে ক্লাস: শিক্ষামন্ত্রী শার্শায় মাটিবাহী ট্রাক্টরের চাপায় প্রান গেল গৃহবধুর,আহত ৩ কেশবপুরে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে  মূলস্রোতে ফিরিয়ে আনতে মতবিনিময় সভা কেশবপুরের সন্তান তাপস মজুমদার ফুলতলা উপজেলার শ্রেষ্ঠ কলেজ শিক্ষক নির্বাচিত  সুন্দরবনে আগুন নেভানোর কাজ শুরু রাইট টক বাংলাদেশ বাগেরহাট জেলা শাখার পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত  খুলনা বিভাগীয় অনলাইন প্রেস ক্লাবের ৫১ সদস্য বিশিষ্ট কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন শার্শায় উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থীর বাসভবনের সামনে বোমা বিস্ফোরণ  সুন্দরবনে আগুন নেভানোর কাজ শুরু  

হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী গরুর গাড়ি

  • প্রকাশিত : মঙ্গলবার, ৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
  • ১৭৬ বার শেয়ার হয়েছে

পরেশ দেবনাথ,কেশবপুর,যশোর || গ্রামবাংলার জনপ্রিয় গরুর গাড়ি এখন শুধুই স্মৃতি। হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী গরুর গাড়ি। বিলুপ্তির পথে এ ইঞ্জিন বিহিন পরিবেশবান্ধব দুই চাকার গাড়িটি। মাঝে মধ্যে কেশবপুরের প্রত্যন্ত এলাকায় দু-একটি গরুর গাড়ি চোখে পড়লেও শহরাঞ্চলে একেবারেই দেখা যায় না বললেই চলে। মাঝে মধ্যে দুই-একটি গাড়ি ধান বা অন্যান্য মালামাল বহন করে নিয়ে যেতে দেখা যায়। আধুনিক সভ্যতায় ঐতিহ্যবাহী গরুর গাড়ি হারিয়ে যেতে বসেছে। সে কারণে শহরের ছেলে-মেয়েরাতো দূরের কথা, বর্তমানে গ্রামের ছেলে-মেয়েরাও গরুর গাড়ির শব্দটির সঙ্গে পরিচিত নয়। যুগ যুগ ধরে গরুর গাড়ি কৃষকের কৃষিক্ষেত্রে ফসল বহন এবং ফসল আনার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বাহন হিসেবে ব্যবহার করা হতো।

গরুর গাড়ি হল দুই চাকাবিশিষ্ট গরু বা বলদে টানা একপ্রকার যান বিশেষ। এ যানে সাধারণত একটি মাত্র কাঠের সাথে দুটি কাঠের চাকা যুক্ত থাকে। সামনের দিকে একটি জোয়ালের সাথে দুটি গরু বা বলদ জুতে এ গাড়ি টানা হয়। সাধারণত চালক বসেন গাড়ির সামনের দিকে। আর পিছনে বসেন যাত্রীরা বা কৃষকের বিভিন্ন ফসল। বিভিন্ন মালপত্র বহন করা হয় গাড়ির পিছন দিকে। বিভিন্ন কৃষিজাত দ্রব্য ও ফসল বহনের কাজে গরুর গাড়ির প্রচলন ছিল ব্যাপক। কাদার মধ্য দিয়েও মালবাহী গাড়ি ঠেলে নিয়ে যেত বলিষ্ঠ একজোড়া গরু। গ্রাম বাংলায় ঐতিহ্যগতভাবে গরুর গাড়ি এক দশক আগেও যাতায়াত ও মালবহনের কাজে অনেক ব্যবহৃত হত। অনুমান করা হয়, খ্রীস্ট জন্মের ১৫০০/১৬০০ বছর আগেই সিন্ধু অববাহিকা ও ভারতীয় উপমহাদেশের উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলে গরুর গাড়ির প্রচলন ছিল, যা সেখান থেকে ক্রমে ক্রমে সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছিল।

দুই/তিন যুগ আগেও গরুর গাড়িতে চড়ে বর-বধু যেত। গরুর গাড়ি ছাড়া বিয়ে হতো না। বিয়ে বাড়ি বা মাল পরিবহনে গরুর গাড়ি ছিল একমাত্র ভরসা। বর বিয়ের জন্যে ছাওনি (টাপর) সাজানো গরুর গাড়ির বহর নিয়ে বিয়ে করতে যেত। শশুরবাড়ী ও বাবার বাড়ী আসা যাওয়া করতো। রাস্তা-ঘাটে গরুর গাড়ি থেকে পটকাও ফুটাতো। যে সব গৃরস্থের পরিবারে গরুর গাড়ি ছিল, তাদের কদরের সীমা ছিল না। কৃষকরা প্রতিদিন ফজরের আজানের আগে গরুর গাড়িতে কখনো জৈব সার তথা গোবরের সার, কখনো গরুর খাবার ও লাঙল-মই-জোয়াল নিয়ে যেত মাঠে। উঁচু সুরে গাইত,’ওঁকি গাড়িয়াল ভাই-কত রব আমি পন্থের পানে চাঁইয়া রে’। গরুর চালক বা গাড়িওয়ালকে উদ্দেশ্য করে বলতো বধু, ‘ওকি গাড়িয়াল ভাই, আস্তে বোলাও গাড়ি, আরেক নজর দেখিবার নাও মুই দয়ার বাপের বাড়িরে গাড়িয়াল’।

এক বিল থেকে আর এক বিলে কৃষকেরা জমি চাষাবাদ এবং মালামাল বহনের জন্য গরুর গাড়ি বাহন হিসেবে ব্যবহার করতো। গ্রামাঞ্চলের রাস্তা অধিকাংশ পাকা না থাকায় যান্ত্রিক যানবাহন চলাচল করতো না। ফলে গরুর গাড়িই ছিল একমাত্র ভরসা। আধুনিক যুগে গ্রামীণ জনপদের উন্নতি হওয়ায় নানাধরণের মোটরচালিত যানের কারণে ধীর গতির এই যানটির ব্যবহার নেই বললেই চলে। এখন আর তেমন চোখে পড়ে না।

এখন যেমন আমরা নিজেদের ব্যাবহারের জন্য প্রাইভেটকার বা মাইক্রো ক্রয় করে থাকি, ঠিক তেমনি আগে গ্রামের অবস্থাসম্পন্ন লোকজন ও গৃহস্থরা গরুর গাড়ি নিজের ব্যবহারের জন্য তৈরি করে বাড়িতে রাখতেন। আপদ-বিপদে তা তারা বাহন হিসেবে ব্যবহার করতেন। কখনও কখনও তা আবার ভাড়ায় খাটাতেন। এখন আর গরুর গাড়ি নেই। গরুর গাড়ি এখন শুধুই স্মৃতি। যান্ত্রিক সভ্যতার যুগে এসে গ্রাম বাংলার সেই জনপ্রিয় গরুর গাড়ি বাহনটি এখন বিলুপ্ত হওয়ার পথে।

দেশে এখন অধিকাংশ অলিতে-গলিতে পাকা রাস্তা হওয়ায় বর্তমান যান্ত্রিক যুগে পরিনত হয়েছে। মানুষ বিভিন্ন ধরনের প্রয়োজনীয় মালামাল বহনের জন্য বাহন হিসেবে ব্যবহার করছে ট্রাক, পাওয়ার টিলার, ভ্যান,লরি,নসিমন-করিমনসহ বিভিন্ন মালগাড়ি। মানুষের যাতায়াতের জন্য রয়েছে প্লেন, মোটরগাড়ি, মাইক্রোবাস রেলগাড়ি,বেবী ট্যাক্সি, ইজিবাইক, মহেন্দ্র, রিক্সা ইত্যাদি।ফলে গ্রামাঞ্চলেও আর চোখে পড়ে না গরুর গাড়ি। অথচ গরুর গাড়ির একটি সুবিধা হলো,এতে কোনো জ্বালানি লাগে না। ফলে ধোঁয়া হয় না।পরিবেশের কোনো ক্ষতিও করে না। এটি হচ্ছে,পরিবেশবান্ধব একটি যানবাহন কিন্তু যান্ত্রিক গাড়িগুলো পরিবেশবান্ধব নয়।এই ডিজিটাল যুগে অল্প সময়ে অধিক রাস্তা পাড়ি দিতে এই যান্ত্রিক গাড়িগুলো অহরহ ব্যবহার করা হয়। হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী গরুর গাড়ি। কালের সাক্ষী গরুর গাড়ি এখন শুধুই স্মৃতি স্বরুপ।

শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:-  ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।