1. info@www.khulnarkhobor.com : khulnarkhobor :
সোমবার, ০৫ মে ২০২৫, ০২:৪৬ পূর্বাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com    বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৪৭,আপার যশোর রোড (সঙ্গীতা হোটেল ভবন) ,খুলনা-৯১০০।ফোন:০১৭১০-২৪০৭৮৫,০১৭২১-৪২৮১৩৫। মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
খুলনার খবর
আত্মসমর্পণ করেননি এড. সাইফুল, আদালতে ছিল কড়া নিরাপত্তা খুলনায় বিএনপি কার্যালয়ের সামনে নেত্রীকে মারপিট : এবার মহিলা দলের ৩ নেত্রী বহিস্কার খুলনার নর্থ ওয়েস্টার্নসহ ১৬ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ কলমি শাক চাষে সফল কৃষক এবাদত হোসেন সাতক্ষীরায় মাননীয় বিচারপতি মাহমুদুল হককে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ফুলের শুভেচ্ছা ও গার্ড অব অনার প্রদান খুলনায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের জমি দখলের অভিযোগ ৭৪ দিন ধরে বন্ধ কুয়েট, আজও শিক্ষকরা ক্লাসে না ফেরায়, শিক্ষার্থীরা হতাশ ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট শুভ উদ্বোধন করেন মঙ্গলবার সকালে ঢাকায় ফিরছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ম্যানগ্রোভ চার্টার্ড লায়ন্স ক্লাব,খুলনার মানবিক উদ্দ্যোগ এনসিপি / NCP দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর গাড়িতে সন্ত্রাসী হামলা স্বপ্নের ভৈরব সেতু স্বপ্নই হয়ে রইল খুলনায় শ্রমিক দলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত খুলনা বাগমারা এলাকায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে, গুলি বিনিময়ে গুলিবিদ্ধ -১ চুরির ঘটনায় বাগমারায় সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধকে ঢাকায় প্রেরণ মেয়র হতে নয়, মামলা ক‌রে‌ছি ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য : মঞ্জু দাকোপে ফসলী জমি দখল ও বালু ভরাটের অভিযোগ – বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ বিমানে নয়, কাতার আমীরের পাঠানো  একটি বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে দেশে ফিরছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী, ও বিএনপি,র চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া  আর মাত্র কয়েক ঘন্টা! এবার কি তবে খুলনার মেয়র হতে চলেছেন মঞ্জু ফুলতলায় গুলিসহ অভিনব আগ্নেয়াস্ত্র ‘পেনগান’ উদ্ধার

যশোরের কেশবপুরে মোগল সম্রাজ্যের সাক্ষী মির্জানগর হাম্মামখানা

  • প্রকাশিত : বৃহস্পতিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
  • ৩৫৪ বার শেয়ার হয়েছে

পরেশ দেবনাথ,কেশবপুর,যশোর || যশোরের কেশবপুরে পার্যটকদের দর্শনীয় স্থান মোগল সম্রাজ্যের ইতিহাস, মির্জানগর জমিদার বাড়ি ও হাম্মামখানা অযত্নে তার সোন্দর্য হারাতে বসেছে। যশোর শহর থেকে ৩৫ কি. মি. কেশবপুর উপজেলা সদর। আর কেশবপুর থেকে ৭ কিলোমিটার পশ্চিমে কপোতাক্ষ ও বুড়িভদ্রা নদীর মিলনস্থল ত্রিমোহিনীর মীর্জানগর নামক স্থানে অবস্থিত। ত্রিমোহীনী-কেশবপুর রাস্তার পার্শ্বে মীর্জানগরের নবাববাড়ি এখন ভগ্নস্তুপ বিশেষ। হাম্মাম শব্দটি ফরাসি ভাষা থেকে এসেছে। এর অর্থ মানুষের গোসলের স্থান। মুসলিম দুনিয়ার এক সময়ের অতি পরিচিত শব্দ হাম্মাম।

রাজা-বাদশাহ ও প্রভাবশালীরা রাজ প্রাসাদ ও অন্যান্য প্রাসাদের কাছাকাছি সুবিশাল হাম্মামখানা তৈরি করত। হাম্মামখানায় নারী-পুরুষের পৃথকভাবে গোসল করার ব্যবস্থা থাকার পাশাপাশি থাকত গোসলের উপযোগী গরম ও ঠান্ডা পানি সরবরাহের বিশেষ ব্যবস্থা। থাকত বিশ্রামাগার ঠান্ডা ও গরম পানির পৃথক কক্ষ, ঝরনা, টয়লেট, শরীর শুকানোর কক্ষ, সাজসজ্জার কক্ষ এবং প্রার্থনার কক্ষ প্রভৃতি।

মোঘল সম্রাট আকবরের সময় (১৬৩৯-৬৩) শাহ সুজা বঙ্গের সুবেদার নিযুক্ত হন। শাহ সুজার শ্যালকপুত্র মির্জা সফসিকান ১৬৪৯ খৃষ্টাব্দে যশোরের (ঈশ্বরপুরের) ফৌজদার নিযুক্ত হন। তিনি কপোতাক্ষ ও বুড়িভদ্রা নদীর সঙ্গমস্থল ত্রিমোহিনী নামক স্থানে বসবাস করতেন। তার নাম অনুসারে এলাকাটির নাম হয় মীর্জানগর।

তিনি বুড়িভদ্রা নদীর দক্ষিণ পাড়ে কিল্লাবাড়ি স্থাপন করে সেখানে বসবাস করতেন। পূর্ব-পশ্চিমে লম্বা ৪ কক্ষ বিশিষ্ট একটি কুপ সমেত হাম্মামখানাটি মোগল স্থাপত্য শৈলীর অনুকরণে নির্মিত হয়। স্থাপনাটি ৪ গম্বুজ বিশিষ্ট। এর পশ্চিম দিকে পরপর দু’টি কক্ষ। পূর্ব দিকের কক্ষ দু’টি উচু চৌবাচ্চা হিসাবে ব্যবহার করা হত। এর জানালাগুলো এমন উঁচু করে তৈরি যাতে এর ভিতরে অবস্থাকালে বাইরে থেকে শরীরের নিম্নাংশ দেখা যায় না। পূর্বপার্শ্বে দেয়াল বেষ্টনীর ভেতর রয়েছে ৯ ফুট ব্যাসের ইটের নির্মিত সুগভীর কূপ। সে কূপ হতে পানি টেনে তুলে এর ছাদের দু’টি চৌবাচ্চায় জমা করে রৌদ্রে গরম করে দেয়াল অভ্যন্তরে গ্রথিত পোড়ামাটির নলের মাধ্যমে স্নান কক্ষে সরবরাহ করা হতো। স্থাপনাটির দক্ষিণ পার্শ্বে একটি চৌবাচ্চা এবং একটি সুড়ঙ্গ রয়েছে যা তোষাখানা ছিল বলে অনুমিত হয়। ১৯৯৬ সালে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ এটিকে পুরাকীর্তি হিসেবে ঘোষণা করে এবং সংস্কার করে। যশোরের কেশবপুরের মীর্জানগর হাম্মামখানায় দর্শনার্থী ও পর্যটকদের ভীড় লক্ষ্য করা যায়। আজও বিভিন্ন স্থান থেকে পর্যটক ও ভ্রমণ বিলাসী মানুষ ছুটে আসেন তার হাম্মখানা দেখতে এবং পোড়ামাটির গন্ধ নিতে।

প্রাচীনকাল থেকে যশোরের রাজা-বাদশাহ ওলি- আউলিয়া ও ধর্ম প্রচারকগণ নিরিবিলি আশ্রয়স্থল হিসেবে যশোরের জঙ্গলাকীর্ণ এলাকাসমূহকে বেছে নিয়েছিলেন। কপোতাক্ষ ও বুড়িভদ্রা নদী অববাহিকার ত্রিমোহিনী ইউনিয়নের মির্জানগর গ্রাম এমন একটি ইতিহাস ও ঐতিহ্যের স্থান। শুধু মির্জানগর নয় পুরো ত্রিমোহিনী জুড়ে রয়েছে অসংখ্য প্রাচীন ঐতিহ্যের ধ্বংসাবশেষ। মির্জানগর গ্রামটি বাংলাদেশের অন্যান্য অজপাড়া গ্রামগুলোর মত একটি। গাছ গাছালিতে ভরা গ্রামটি দেখে কেউ মনে করবে না এটি একটি ঐতিহাসিক গ্রাম। কিন্তু এটিই সত্য যে মির্জানগর ছিল মোঘল সাম্রাজ্যের ফৌজদারি রাজধানীগুলোর অন্যতম। যেখানে মোগল সম্রাজ্যের সাক্ষী মির্জানগর হাম্মামখানা।

শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:-  ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।