পরেশ দেবনাথ,কেশবপুর,যশোর || কেশবপুরের মঙ্গলকোট ইউনিয়নের মঙ্গলকোট দক্ষিণ পাড়া নুর ইসলাম মোড়লের ইরি-বোরো স্কীমে সোমবার (৬ মার্চ) কৃষকরা বিদ্যুৎ সংযোগ পেয়ে দারুণভাবে খুশি হয়েছেন। মঙ্গলকোট গ্রামের নুর ইসলাম মোড়ল মঙ্গলকোট দক্ষিণ পাড়া ও ঝোর বিলে গত পাঁচ বছর ধরে দুইটি স্কীমে ৫৫ বিঘা জমিতে সেচ কার্য চালিয়ে আসছিলেন কিন্তু ইরি-বোরো মৌসুম ছাড়া মাছের ঘেরে পানি দেওয়াসহ বিভন্ন জটিলতার কারণে কেশবপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ তার বিদুৎ লাইন বিচ্ছিন্ন করে। এর পর দূরত্ব জটিলতা এড়াতে তিনি নিজস্ব ক্রয়কৃত জমিতে নিজ ক্রয়কৃত ট্রান্সমিটার স্থানান্তরের আবেদন করেন। গত ১৫ ফেব্রুয়ারী-২৩ নলকূপ স্থাপনের লাইসেন্স পেয়ে বৈধতার সকল কাগজপত্র কেশবপুর পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসে জমা দেন। বিচ্ছিন্নকৃত সেচ সংযোগে ভরা মৌসূমে সোমবার (৬ মার্চ) বিদ্যুৎ সংযোগ পেয়ে কৃষকের ভিতর প্রাণের সঞ্চার ঘটেছে।
তারা জানান,বোরো আবাদের ভরা মৌসূমে সেচ সংযোগ পাওয়ায় কেশবপুর সেচ কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার এম,এম আারাফাত হোসেন, কেশবপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর ডিজিএম, এলাকা পরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের ধন্যবাদ জানিয়েছেন। স্থানীয় কৃষকরা আরও জানান, এর মধ্যে ডিজেল চালিত মেশিন দ্বারা পর্যাপ্ত পানি দিতে না পারায় ধানের জমি ফেটে গেছে। ফলে বোরো আবাদের সঠিক লক্ষমাত্রা অর্জিত না হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
সেচ স্কীমের মালিক নুর ইসলাম মোড়ল জানান, আমার স্কীমটি অনুমোদন পাওয়ার জন্য ১৩-১২-২০২২ তারিখে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সেচ কমিটির সভাপতি বরাবর আবেদন করি। পরিদর্শনের পরও আমি লাইসেন্স না পাওয়ায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর ১২-০২-২৩ তারিখে সাময়িক সংযোগ পাওয়ার আবেদন করি। নির্বাহী অফিসার সাময়িক সংযোগ দেওয়ার সুপারিশ করলেও আমি সংযোগ পাইনাই। গত ১৫ ফেব্রুয়ারী নলকূপ স্থাপনের লাইসেন্স পেয়ে ১৬ ফেব্রুয়ারী সকল কাগজপত্রসহ কেশবপুর পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে জমা দেওয়ার পর আজ সোমবার (৬ মার্চ) সংযোগ পেয়ে খুব আনন্দিত হয়েছি। অসময়ে আমাকে যারা সহযোগিতা করেছেন তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।