1. info@www.khulnarkhobor.com : khulnarkhobor :
রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ১০:০৫ পূর্বাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি/বিজ্ঞাপন
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com    বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৪৭,আপার যশোর রোড (সঙ্গীতা হোটেল ভবন) নীচতলা,খুলনা-৯১০০।ফোন:০১৭১০-২৪০৭৮৫,০১৭২১-৪২৮১৩৫। মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
খুলনার খবর
শার্শায় চেয়ারম্যান প্রার্থী সোহরাব হোসেনের নির্বাচনী গনসংযোগ ও পথসভা অনুষ্ঠিত নিরাপদ সড়কের দাবিতে লোহাগড়ায় মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত  বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসে প্রেস ইউনিটির নাম সংশোধন মোংলায় বৃষ্টি হলেও কমেনি গরমের দাপট বাগেরহাটে গ্যাস সিলিন্ডারবাহী ট্রাকচাপায় নিহত-১ সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জে ভয়াবহ আগুন ডুমুরিয়ায় নিসচা’র ২০২৪-২৫ সালের পূর্ণাঙ্গ কমিটির পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত কেশবপুর বাস-মিনিবাস ও ট্রাক মালিক সমিতির কমিটি গঠন কপিলমুনিতে বিশুদ্ধ খাবার পানি বিতরণ মোংলা-খুলনা মহাসড়কে ট্রাক চাপায় এক যুবক নিহত খুলনার কয়রায় ইসলামপুর শান্তি সংঘের আয়োজনে ঠান্ডা পানি বিতরণ দিঘলিয়া হাজীগ্রামে নির্মাণাধীন হলো মসজিদে -এ – কূবা কপিলমুনিতে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযান ৭০ হাজার টাকা জরিমানা  সরকার ক্ষমতা হারানোর ভয়ে দিশাহারা হয়ে মোদির গোলামির জিঞ্জিরে দেশকে আবদ্ধ করেছে- মাওঃ আব্দুল আউয়াল  কেশবপুরে বর্ণাঢ্য আয়োজনে খেলাঘরে’র ৭২তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপিত বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস আজ মোংলায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে একজনের মৃত্যু খানজাহানআলী থানার শ্রেষ্ঠ বিএনসিসি শিক্ষক নির্বাচিত সালাহউদ্দীন ঢাকার আকাশে প্রশান্তির বৃষ্টি জনমনে স্বস্তি পাইকগাছায় অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে তরমুজ চাষী 

আমতলা ও খড়িয়াসহ সকল নদী-খালের ইজারা বন্ধের দাবিতে সাংবাদ সম্মেলন

  • প্রকাশিত : বৃহস্পতিবার, ৮ জুন, ২০২৩
  • ১৯৯ বার শেয়ার হয়েছে

মোঃ ইমরান হোসেন,বটিয়াঘাটা প্রতিনিধি || উন্মুক্ত খালকে পুনরায় ইজারা দেওয়ার প্রতিবাদে বটিয়াঘাটায় লোকজ ও মৈত্রী কৃষক ফেডারেশনের যৌথ সংবাদ সম্মেলন গতকাল বৃহস্পতিবার সংগঠনের কাতিয়ানাংলায় অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে আমতলা ও খড়িয়াসহ সকল নদী-খালের ইজারা বন্ধ,নেট-পাটা ও বাঁধ অপসারণ করে কৃষির জন্য উন্মুক্ত জলমহল ঘোষণার দাবী জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মৈত্রী ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বিভাষ মন্ডল।এ সময় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর প্রদান করে বক্তব্য রাখেন লোকজ-এর নির্বাহী পরিচালক দেব প্রসাদ সরকার, গঙ্গারামপুর ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য শেখ মো: মোশাররফ হোসেন,সেলিনা ইয়াসমিন পলি,মো: মনিরুল ইসলাম, মৈত্রী কৃষক ফেডারেশনের সভাপতি বরীন্দ্রনাথ মন্ডল, সহসভাপতি দীপ্তি মল্লিক,তাপস মল্লিক,বাসুদেব মন্ডল,প্রসেন বিশ্বাস, আশিষ মন্ডল,মোস্তাফিজুর রহমান,লোকজ-এর সমন্বয়কারী পলাশ দাশ প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়েছে বটিয়াঘাটা উপজেলার মধ্যদিয়ে প্রবাহিত আমতলা,খড়িয়া,বটবুনিয়া, বরাখালী, ছোটখড়িয়া, মরাখড়িয়া ও গোন্ধামারী খাল উল্লেখিত নদী ও খালসমূহ পরস্পর সংযুক্ত, কিন্তু ভিন্ন নামে পরিচিত জলমহল। যা ওয়াপদা বেঁড়িবাধ-এর ভিতরে অবস্থিত এবং স্লুইস গেইট সংযুক্ত। উক্ত নদী-খালগুলির মাধ্যমে এলাকার ২৬টি গ্রামের প্রায় ৩৫ হাজার একর ফসলী জমির আবাদ হয় এবং এই জমির পানি নিষ্কাষিতও হয়।এলাকার ৩৫ হাজার অধিবাসীদের মধ্যে শতকরা ৯০ ভাগ মানুষ কৃষিজীবি ও মৎস্যজীবি। তারা এই নদী ও খালের পানি ব্যবহার করে আমন,আউশ ও ব্যাপক বোরো ধান, তরমুজ,মিস্টি কুমড়া,তিল,মুগডালসহ সকল ফসল উৎপাদন করে। সারাদিন কাজের পর কৃষকরা এই নদী হতে মাছ ধরে তাদের দৈনন্দিন আমিষের চাহিদা মেটায়। এলাকার মানুষের জীবন জীবিকার জন্য এই নদী ও খালগুলি একমাত্র অবলম্বন হয়ে উঠেছে।

অথচ জলমহলগুলোর মধ্যে আমতলা ও খড়িয়া নদী দুটি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের অসাধু কর্মচারিদের সাথে স্থানীয় ভূয়া মৎস্যজীবি সমিতির যোগসাজসে ইজারা প্রদানের ব্যবস্থা করেছে। এই ইজারার ফলে সরকার কিছু তাৎক্ষনিক রেভুনিউ পেলেও জিডিপি’তে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। বাংলাদেশ সরকারের ভূমি ব্যবস্থাপনা ম্যানুয়াল নবম পরিচ্ছেদ-এর ১৮৭, ১৮৮ অনুচ্ছেদ,বাংলাদেশ সরকারের মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রনালয়ের ২৭ আগস্ট ২০১৪ সালে প্রকাশিত গেজেট জাতীয় চিংড়ি নীতিমালা-২০১৪ এর ৫.২.৪ ও ৫.২.৫ ধারা, জাতীয় সংসদের মাননীয় স্পীকারের উপানুষ্ঠানিক পত্র নং: বাজাস/স্পীকার/১(১)/ভূঃমঃ/০৯/২১৮, জলমহল নীতিমালা ২০০৯ এর ১৫ ধারার ‘ঘ’ উপধারা এবং বিভিন্ন দপ্তরের প্রতিবেদন পত্র বিবেচনা না করে ইজারা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। উল্লেখিত নদী ও খালসমূহ উন্মুক্ত জলাশয়। সরকারের আইন ও নীতিমালা অনুযায়ী উন্মুক্ত জলাশয় ইজারা প্রদানের বিধান না থাকলেও ভূয়া মৎস্যজীবি সমিতির পক্ষে এলাকায় মাইকিং করে স্থানীয় কৃষক ও মৎস্যজীবিদের খড়িয়া ও আমতলা নদীতে মাছ ধরা এবং নদীর পানি ব্যবহার করতে নিষেধ করা হচ্ছে বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়।

আগে বিভিন্ন আন্দোলন ও সংগ্রাম এবং আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণের প্রেক্ষিতে দীর্ঘ ১৫ বছর বন্ধ থাকার পর আবারো নতুন করে এই এলাকার নদী-খাল ইজারা প্রদান করা হচ্ছে। এযেনো নদী-খাল ইজারার নামে এলাকার জনগণের সাথে ইঁদুর বেড়াল খেলা। সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সরকারের কাছে আমতলা ও খড়িয়াসহ বটবুনিয়া,বরাখালী, ছোটখড়িয়া,মরাখড়িয়া ও গোন্ধামারী খালের ইজারা বন্ধ এবং খাল ও নদীর নেট-পাটা ও বাঁধ অপসারণ করে উন্মুক্ত জলাশয় ঘোষণা দাবী জানানো হয়েছে।

শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:-  ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।