1. info@www.khulnarkhobor.com : khulnarkhobor :
শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ১২:১৮ অপরাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি/বিজ্ঞাপন
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com    বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৪৭,আপার যশোর রোড (সঙ্গীতা হোটেল ভবন) নীচতলা,খুলনা-৯১০০।ফোন:০১৭১০-২৪০৭৮৫,০১৭২১-৪২৮১৩৫। মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
খুলনার খবর
তালায় ট্রাক উল্টে খাদে; নিহত ২, আহত ১০ ২১ মে মঙ্গলবার ১৫৭ উপজেলায় সাধারণ ছুটি ঘোষনা ১৭ মে থেকে ৩ দিনের জন্য বেনাপোল স্থলবন্দর বন্ধ যে পরিকল্পনায় খুন হন লোহাগড়ার চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল, চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন ভাড়াটিয়া শুটার  লোহাগড়ায় ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসি’র গ্রাহক সমাবেশ অনুষ্ঠিত  বিশ্ব সন্ত্রাসী ইসরাইলের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রেরণের ব্যবস্থা করতে হবে- মাওঃ আব্দুল আউয়াল  মানববন্ধন-সমাবেশ দুর্যোগের ঝুঁকিতে থাকা উপকূলের উন্নয়নে বিশেষ বরাদ্দের দাবী রামপালে লায়ন ড শেখ ফরিদুল ইসলামের উদ্যোগে ১৫ তম ফ্রি চক্ষু চিকিৎসা শিবির অনুষ্ঠিত কেশবপুরের তৃষান বসু দিব্য জাতীয় পর্যায়েও শ্রেষ্ঠ হতে চায় দিঘলিয়ায় নির্বাচনী মাঠে ব্যতিক্রমী প্রচার-প্রচারণা আকৃষ্ট করল ভোটারদের খুলনায় তৃতীয় শ্রেণির মাদ্রাসা ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে মাদ্রাসা সুপার গ্রেপ্তার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে সাত কলেজের ভর্তি পরীক্ষা শেষ হচ্ছে আজ খুলনায় গণহত্যা জাদুঘরের দশম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী অনুষ্ঠিত সুন্দরবন নিউজ টিম এর ক্যান্সারে আক্রন্ত আরিয়ান মন্ডলের শ্যামনগরে রোগীদের মাঝে অনুদানের চেক বিতরণ করেছেন এমপি আতাউল হক দোলন  নির্বাচন অফিস করাকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসী হামলায় সাবেক চেয়ারম্যান সহ আহত-৬ সাংবাদিক জলিলের বোনের মৃত্যুতে সিআরইউকে এর শোক বিবৃতি  খুলনা চেম্বার অব কমার্সের সভাপতির সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত ২৫০ সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিল যুক্তরাষ্ট্র কেশবপুরের পাঁজিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান এন্তাজ আলী গাজীর ইন্তেকাল

কেশবপুরের ঘরে ঘরে কুমড়ো বড়ি তৈরিতে ব্যস্ত নারীরা

  • প্রকাশিত : রবিবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩
  • ৬০ বার শেয়ার হয়েছে

পরেশ দেবনাথ,কেশবপুর,যশোর || কেশবপুরের ঘরে ঘরে এখন কুমড়ার বড়ি তৈরিতে ব্যস্ত গ্রামের বধুরা। কুমড়ো বড়ি খেতে কে না পছন্দ করেন। কিন্তু বানানো অনেক কষ্ট আর ঝামেলা বলেই অনেকেই বাজার থেকে কিনে খান। খোলা বাজারের কেনা বড়ির স্বাদ কেমন হয় সেটা যারা খায় তারাই ভালো জানেন। ঢেঁকির চল না থাকায় মা খালাদের ঘরে বড়ি বানানোর রেওয়াজ দিন দিন কমেই যাচ্ছে। আধুনিক ডিজিটাল যুগে কলাই মাড়াই মেশিন উঠায় অনেকে মনে করেন আগের চেয়ে বড়ি বানানো চল বেড়েছে। কলাই-চালকুমড়া মাড়াই করতে বেশি সময় লাগে না। বিভিন্ন স্থানে কুমড়ার বড়ি তৈরী করার উপকরণ মাড়াই করার জন্য মাড়াই মেশিন স্থাপন করায় গৃহবধুদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে না।

মঙ্গলকোট বাজারের মিল মালিক প্রনব কুমার সরকারের সাথে সাক্ষাতে দেখা যায়, কুমড়ার বড়ি তৈরীর উপকরণ মাড়াই করতে নিয়ে এসেছেন, বসুন্তিয়া গ্রামের সুভাষ পাল ৩ কেজি, তরুণ বিশ্বাস ২ কেজি, তরিকুল ইসলাম ৩ কেজি, আমেনা ২ কেজি, আব্দুল সাত্তার সরদার ৩ কেজি, পরেশ দেবনাথ ২ কেজি, শুভ দীপ পাল ২ কেজি, পাঁচপোতা গ্রামের, দিবস সিংহ আড়াই কেজি, অঞ্জনা রাণী ১ কেজিসহ পার্শ্ববর্তী গ্রামের লোকজনেরা। মিল মালিক জানান, প্রতিদিন ৫০/৬০ কেজি করে মাড়াই করি। আবার স্থানীয় কুমাররা যখন পাজা পোড়াই তখন স্থানীয় লোকেরা বেশি মাড়াই করে। কারণ, আকাশ খারাপ থাকলেও টিনে বড়ি দিয়ে পাজার উপর দিলে তাড়াতাড়ি বড়ি শুকিয়ে যায়।

মাসকলাই ডাল আর চালকুমড়ার মিশ্রনে যে বড়িটা তৈরি হয় তার স্বাদ অতুলনীয়। ঠিক কবে থেকে বাঙালির রান্নাঘরে বড়ির আগমন তা জানা যায় না। তবে প্রাচীন কাল থেকে বিভিন্ন তরকারির সঙ্গে বড়ির ব্যবহার হচ্ছে। শাকের সাথে চিংড়ি মাছ বড়ির গুণে বদলে যায় রান্নার স্বাদ। মূলত শীতকালে কলাইয়ের ডাল, খেসারির ডালের বড়ির ব্যবহার মূলত বেশি।

কুমড়ার বড়িতে অনেক গুণ আছে। বড়িতে যে ঘরোয়া মশলা মেশানো হয় অর্থাৎ জিরে, আদা, মরিচ এই সবগুলোর নানা উপকারিতা আছে। এছাড়াও স্বাদ ফেরাতে খুব ভালো সাহায্য করে বড়ি। শীতে ঠাণ্ডা লাগা, সর্দি কাশি অনেকেরই হয়। রোগজীবাণুর প্রকোপ থেকে রক্ষা করতেও ভূমিকা রয়েছে বড়ির।

ডাল সারারাত ভিজিয়ে রাখতে হয়। চালকুমড়া কেটে কুরিয়ে পানি ঝরানোর জন্য কাপড় দিয়ে বেঁধে সারা রাত চাপ দিয়ে রাখতে হয়। সকালে পরিমান মত কচু কুচিয়ে মিশিয়ে মাড়াই মেশিনে দিলে দ্রুত মাড়াই করা যায়। অনেকে পাটায় বেটে নেয়। অনেকে এর সঙ্গে লবণ, মরিচ, জিরা গুঁডা, কালজিরা, আদা, রসুন মিশিয়ে ভালো করে ব্লেন্ড করে মাড়াই করে নেয়। এরপর  ছাদের উপর বা রৌদ্রের খোলা স্থানে বা চালার উপর কাপড়, পাতায়  চালা ওই মিশ্রণ নিয়ে হাত দিয়ে বড়ি দিতে হয়। এরপর রোদে তিন দিন টানা শুকিয়ে সংরক্ষণ করতে হয়। রান্না মাঝামাঝি হয়ে আসলে বড়ি ভেজে তরকারিতে দিতে হয়।

গ্রামীণ অর্থনীতিতে বড়ির বেশ গুরুত্ব রয়েছে। গ্রামাঞ্চল থেকে শহর এখন সবখানে বড়ি পাওয়া যায়। অনেকেই অনলাইনে বড়ি বিক্রি করেন শীতকালে বড়ির বিক্রি সবথেকে বেশি।
সরেজমিন বড়ি দিতে দেখা যায়, বসুন্তিয়া গ্রামের উষা রানী, সন্ধ্যা রাণী, ছায়া রাণি, অঞ্জনা রাণীকে। মঙ্গলকোট গ্রামের বিলকিস, রওশনারা, সুইট ও আছিয়া বেগমের সাথে। পাথরা গ্রামের পঞ্চি রাণী, সুন্দরী বালা, শান্তি রাণীর সাথে। এ ভাবে বিভিন্ন গ্রামের বধুরা ঘরে ঘরে কুমড়ার বড়ি তৈরিতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।

শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:-  ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।