1. info@www.khulnarkhobor.com : khulnarkhobor :
মঙ্গলবার, ০৬ মে ২০২৫, ১০:২৮ পূর্বাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com    বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৪৭,আপার যশোর রোড (সঙ্গীতা হোটেল ভবন) ,খুলনা-৯১০০।ফোন:০১৭১০-২৪০৭৮৫,০১৭২১-৪২৮১৩৫। মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
খুলনার খবর
নগরীতে ভুল বুঝাবুঝির দ্বন্দ্বে বন্ধুর হাতে বন্ধু জখম কালীগঞ্জে কিশোরী উদ্ধারে এসে হামলার শিকার যশোরের তিন পুলিশ সদস্য কুয়েটে অচলাবস্থা কাটছে না, বাড়ছে সেশনজটের শংকা হরিণ টানা থানার সেকেন্ড অফিসার ফরহাদ হোসাইন এর বিদায় সংবর্ধনা – খুলনা জিরো পয়েন্ট ব্যবসায়ী সমিতি কয়রা থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে ধর্ষণ মামলার এজাহারভুক্তসহ ৬ জন গ্রেফতার মোল্লাহাটে গাছ থেকে পড়ে রাকিবুল (১২) নামের এক শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু কালিগঞ্জে জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সম্মেলনের প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত শাপলা চত্বর গণহত্যার বিচারের দাবিতে ছাত্রশিবিরের মানববপ্রাচীর লাঞ্ছনার সা‌থে জড়িতদের বিচার দাবিতে কুয়েটে শিক্ষক স‌মি‌তির আল্টিমেটাম খুলনার আদালতে বিচার বিভাগীয় কর্মচারীদের কর্মবিরতি নিজস্ব প্রতিবেদক পাইকগাছায় অনলাইন জুয়ার বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত: ৭মাস্টার এজেন্ট আটক যশোরের শার্শায় ১০ পিস স্বর্ণের বারসহ পাচারকারী আটক নড়াইলে সেনা-পুলিশের অভিযান, কলাবাড়িয়ায় পিস্তলসহ দেশীয় অস্ত্রের গোপন ভাণ্ডার উদ্বার আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে ছাত্রদের নতুন রাজনৈতিক দল সাতক্ষীরায় আম সংগ্রহ শুরু: মৌসুমের শুরুতেই বাজারে দেশি জাতের আম ভাড়া বাড়িতে খুবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা লোহাগড়ায় নিরাপদ সড়কের দাবীতে  মানববন্ধন ও স্মারকলিপি পেশ ইউপি চেয়ারম্যান সহ শার্শা  আওয়ামী লীগের ৭ নেতা আটক বাটাগুর বাসকা প্রজাতির তিনটি কচ্ছপের ডিম থেকে জন্ম নিয়েছে ৬৫’টি বাচ্চা উপহার দিয়ে চিকিৎসকদের প্রভাবিত করা নিষিদ্ধের সুপারিশ – স্বাস্থ্যখাত সংস্কার কমিশন

কেশবপুরের ঘরে ঘরে কুমড়ো বড়ি তৈরিতে ব্যস্ত নারীরা

  • প্রকাশিত : রবিবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩
  • ১৬৭ বার শেয়ার হয়েছে

পরেশ দেবনাথ,কেশবপুর,যশোর || কেশবপুরের ঘরে ঘরে এখন কুমড়ার বড়ি তৈরিতে ব্যস্ত গ্রামের বধুরা। কুমড়ো বড়ি খেতে কে না পছন্দ করেন। কিন্তু বানানো অনেক কষ্ট আর ঝামেলা বলেই অনেকেই বাজার থেকে কিনে খান। খোলা বাজারের কেনা বড়ির স্বাদ কেমন হয় সেটা যারা খায় তারাই ভালো জানেন। ঢেঁকির চল না থাকায় মা খালাদের ঘরে বড়ি বানানোর রেওয়াজ দিন দিন কমেই যাচ্ছে। আধুনিক ডিজিটাল যুগে কলাই মাড়াই মেশিন উঠায় অনেকে মনে করেন আগের চেয়ে বড়ি বানানো চল বেড়েছে। কলাই-চালকুমড়া মাড়াই করতে বেশি সময় লাগে না। বিভিন্ন স্থানে কুমড়ার বড়ি তৈরী করার উপকরণ মাড়াই করার জন্য মাড়াই মেশিন স্থাপন করায় গৃহবধুদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে না।

মঙ্গলকোট বাজারের মিল মালিক প্রনব কুমার সরকারের সাথে সাক্ষাতে দেখা যায়, কুমড়ার বড়ি তৈরীর উপকরণ মাড়াই করতে নিয়ে এসেছেন, বসুন্তিয়া গ্রামের সুভাষ পাল ৩ কেজি, তরুণ বিশ্বাস ২ কেজি, তরিকুল ইসলাম ৩ কেজি, আমেনা ২ কেজি, আব্দুল সাত্তার সরদার ৩ কেজি, পরেশ দেবনাথ ২ কেজি, শুভ দীপ পাল ২ কেজি, পাঁচপোতা গ্রামের, দিবস সিংহ আড়াই কেজি, অঞ্জনা রাণী ১ কেজিসহ পার্শ্ববর্তী গ্রামের লোকজনেরা। মিল মালিক জানান, প্রতিদিন ৫০/৬০ কেজি করে মাড়াই করি। আবার স্থানীয় কুমাররা যখন পাজা পোড়াই তখন স্থানীয় লোকেরা বেশি মাড়াই করে। কারণ, আকাশ খারাপ থাকলেও টিনে বড়ি দিয়ে পাজার উপর দিলে তাড়াতাড়ি বড়ি শুকিয়ে যায়।

মাসকলাই ডাল আর চালকুমড়ার মিশ্রনে যে বড়িটা তৈরি হয় তার স্বাদ অতুলনীয়। ঠিক কবে থেকে বাঙালির রান্নাঘরে বড়ির আগমন তা জানা যায় না। তবে প্রাচীন কাল থেকে বিভিন্ন তরকারির সঙ্গে বড়ির ব্যবহার হচ্ছে। শাকের সাথে চিংড়ি মাছ বড়ির গুণে বদলে যায় রান্নার স্বাদ। মূলত শীতকালে কলাইয়ের ডাল, খেসারির ডালের বড়ির ব্যবহার মূলত বেশি।

কুমড়ার বড়িতে অনেক গুণ আছে। বড়িতে যে ঘরোয়া মশলা মেশানো হয় অর্থাৎ জিরে, আদা, মরিচ এই সবগুলোর নানা উপকারিতা আছে। এছাড়াও স্বাদ ফেরাতে খুব ভালো সাহায্য করে বড়ি। শীতে ঠাণ্ডা লাগা, সর্দি কাশি অনেকেরই হয়। রোগজীবাণুর প্রকোপ থেকে রক্ষা করতেও ভূমিকা রয়েছে বড়ির।

ডাল সারারাত ভিজিয়ে রাখতে হয়। চালকুমড়া কেটে কুরিয়ে পানি ঝরানোর জন্য কাপড় দিয়ে বেঁধে সারা রাত চাপ দিয়ে রাখতে হয়। সকালে পরিমান মত কচু কুচিয়ে মিশিয়ে মাড়াই মেশিনে দিলে দ্রুত মাড়াই করা যায়। অনেকে পাটায় বেটে নেয়। অনেকে এর সঙ্গে লবণ, মরিচ, জিরা গুঁডা, কালজিরা, আদা, রসুন মিশিয়ে ভালো করে ব্লেন্ড করে মাড়াই করে নেয়। এরপর  ছাদের উপর বা রৌদ্রের খোলা স্থানে বা চালার উপর কাপড়, পাতায়  চালা ওই মিশ্রণ নিয়ে হাত দিয়ে বড়ি দিতে হয়। এরপর রোদে তিন দিন টানা শুকিয়ে সংরক্ষণ করতে হয়। রান্না মাঝামাঝি হয়ে আসলে বড়ি ভেজে তরকারিতে দিতে হয়।

গ্রামীণ অর্থনীতিতে বড়ির বেশ গুরুত্ব রয়েছে। গ্রামাঞ্চল থেকে শহর এখন সবখানে বড়ি পাওয়া যায়। অনেকেই অনলাইনে বড়ি বিক্রি করেন শীতকালে বড়ির বিক্রি সবথেকে বেশি।
সরেজমিন বড়ি দিতে দেখা যায়, বসুন্তিয়া গ্রামের উষা রানী, সন্ধ্যা রাণী, ছায়া রাণি, অঞ্জনা রাণীকে। মঙ্গলকোট গ্রামের বিলকিস, রওশনারা, সুইট ও আছিয়া বেগমের সাথে। পাথরা গ্রামের পঞ্চি রাণী, সুন্দরী বালা, শান্তি রাণীর সাথে। এ ভাবে বিভিন্ন গ্রামের বধুরা ঘরে ঘরে কুমড়ার বড়ি তৈরিতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।

শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:-  ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।