1. info@www.khulnarkhobor.com : khulnarkhobor :
বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫, ০৪:৩২ অপরাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com    বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৪৭,আপার যশোর রোড (সঙ্গীতা হোটেল ভবন) ,খুলনা-৯১০০।ফোন:০১৭১০-২৪০৭৮৫,০১৭২১-৪২৮১৩৫। মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
খুলনার খবর
কেসিসি’র সাবেক সংরক্ষিত কাউন্সিলর বেবীর ইন্তেকাল কর্মক্ষেত্রে মানসিক চাপমুক্ত থাকবেন যেভাবে কেএমপি’তে ৫৮ তম ব্যাচ টিআরসির ওরিয়েন্টেশন কোর্সের উদ্বোধন বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড পশ্চিম জোনের আয়োজনে তারুণ্যের উৎসব অনুষ্ঠিত আলফাডাঙ্গায় ৩০০ ভ্যানচালকের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ খুলনায় বর্নিল আয়োজনে কালের কণ্ঠ মাল্টিমিডিয়ার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন অন্যকে নয়, আগে নিজেকে ভালোবাসতে শিখুন চোখের যত্নে করণীয় কি ?   মুড অফ’ হয়ে যাচ্ছে? সাংবাদিক জিহাদুল ইসলামের ওপর সন্ত্রাসী হামলা: প্রেসক্লাবের তীব্র নিন্দা ও বিচার দাবিতে বিবৃতি জাতীয়তাবাদী তাঁতী দল সোনাডাঙ্গা থানা নবগঠিত ১৮ নং ওয়ার্ড তাঁতী দল আংশিক কমিটির সভা অনুষ্ঠিত  নগরী ২৬ নং ওয়ার্ড সোনাডাঙ্গা থানা নবগঠিত তাঁতি দলের কমিটি গঠনের বিশেষ আলোচনা সভা তেরখাদায় উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে ওয়ার্ড কমিটি গঠন উপলক্ষে মতবিনিময সভা যশোরে বারান্দা ভেঙে দুই ইঞ্জিনিয়ার সহ তিনজন নিহত জুলাই যোদ্ধাদের বাদ দিয়ে দোয়া মাহফিল, তোপের মুখে খুলনার ডিসি দিঘলিয়ায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এক যুবককে গুরুতর রক্তাক্ত জখম অবরুদ্ধ  খুলনার প্রবেশদ্বার !  দেড় ঘণ্টা পর  যান চলাচল শুরু কেএমপি কমিশনারের পদত্যাগ দাবিতে রূপসা সেতু ব্লকেড খুলনায় ১৯ হাজার পিস ইয়াবাসহ মাদক কারবারি আটক প্রেমের টানে গোপালগঞ্জে চীনা যুবক: করলেন বিয়ে

কুষ্টিয়ায় আলোচিত মিলন হত্যা;যেভাবে সজিব মরদেহ টুকরো ও গুম করেছিল

  • প্রকাশিত : সোমবার, ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
  • ৪৪১ বার শেয়ার হয়েছে

খুলনার খবর || কুষ্টিয়ায় ব্যবসায়ী মিলন হোসেন (২৭) হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার ছয়জনকে আদালতে নিয়ে দুজনের সাতদিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে।এরমধ্যে চার জনের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি নেয়া হয়েছে।

গ্রেফতারকৃত ৬ জনের বরাত দিয়ে পুলিশ জানিয়েছে,হত্যার পর সাবেক ছাত্রলীগ নেতা এস কে সজিব নিজ হাতে মিলনের মরদেহ ৯ টুকরো করে।

রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে কুষ্টিয়া সদর আমলী আদালতে রিমান্ড আবেদন করার পর চার জনের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি নেয়া হয়েছে।তবে জবানবন্দিতে তারা কি বলেছে সেটা জানা জায়নি।

এঘটনায় গত শনিবার রাতে মিলনের মা শেফালি খাতুন বাদী হয়ে অজ্ঞাত নামে কুষ্টিয়া মডেল থানায় মামলা করেন। আটক ছয়জনকে এই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়েছে আদালতে নেয়া হয়।

আদালতে নেয়া আসামিরা হলেন: কুষ্টিয়া শহরের আড়ুয়াপাড়ার মৃত মিলন শেখের ছেলে সজীব শেখ (২৪), দেশওয়ালী পাড়ার কাজী ফরহাদ হোসেনের ছেলে কাজী লিংকন (৩২),কুমারগাড়া এলাকার রবিউল ইসলামের ছেলে ফয়সাল আহমেদ (২৫), হাউজিং সি ব্লকের আওলাদ খানের ছেলে ইফতি খান,সদর উপজেলার কান্তিনগর গ্রামের জনি প্রামাণিক (২১) ও হাউজিং ডি ব্লকের সাইদুল ইসলামের ছেলে সজল ইসলাম (১৮)।এরমধ্যে সজীব জেলা ছাত্রলীগের বহিস্কৃত সহ-সভাপতি। এদের মধ্যে সজল ও ইফতির সাতদিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে। আজ সোমবার তাদের রিমান্ড শুনানি হবে। বাকি সজীব, ফয়সাল, লিংকন ও জনি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি নেয়া হচ্ছে।

থানায় জিডির পর থেকে লাশের টুকরো উদ্ধার ও জড়িতদের ধরার অভিযানে পুরো নেতৃত্ব দেন কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস ও মিডিয়া) পলাশ কান্তি নাথ।

গ্রেফতার ৬ জনের বরাত দিয়ে পুলিশের দুই কর্মকর্তা জানান, বুধবার (৩১ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে এগারটার দিকে ব্যবসায়ী অংশীদার সজল ফোন করে মিলনকে তাদের অফিসে ডেকে নেয়। সেখানে আগে থেকে সজীবসহ আরও কয়েকজন অবস্থান নিয়েছিল। ওই কার্যালয়ে সজীব মিলনের কাছে চাঁদা দাবি করে। ভয়ভীতি দেখাতে তাকে মারধর করে। একপর্যায়ে মুখে গামছা গুজে নাক চেপে ধরে। ঘটনাচক্রে মিলন মারা যায়।

এসময় অফিসের দুটি কক্ষে সজীবদের অন্তত ১০ থেকে ১১ জন সদস্য ছিল। সেখানে দুটি কক্ষে তারা অবস্থান নেয়। লাশ গুম করতে সজীব পরিকল্পনার কথা জানায়। এসময় একজনকে সঙ্গে নিয়ে অফিসে তালা লাগিয়ে বাইরে চলে যায়। বাকিরা ঘরের ভেতর থাকে। দেড় ঘণ্টা ধরে শহরের তিনটি স্থানে দোকান থেকে কাটার যন্ত্র হেক্সো ব্লেড, পলিথিন ব্যাগ ও রক্ত পরিষ্কার করার জন্য জীবানুনাশক কেনে। তারা আবার বিকেল পাঁচটার দিকে অফিসে যায়। সেখানে গিয়ে দুর্বল চিত্তের ৪/৫ জনকে পাশের কক্ষে রাখে। সজীবসহ ৪/৫ জন মিলে এক কক্ষের বাথরুমে মরদেহ নিয়ে টুকরো করার কাজ করে। প্রায় ৪ ঘণ্টা ধরে কেটে ব্যাগে ভরে।

বুধবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে চারটি মোটরসাইকেলযোগে সাতজন ব্যাগ নিয়ে বের হয়ে আসে। বাকিদের সজীব যে যার মতো বাড়ি চলে যেতে বলে এবং বিষয়টি কাউকে না জানাতে হুমকি দেয়। পুলিশ শহরের কয়েকটি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করেছে তাতে দেখা গেছে রাত ৯টা ৩২ মিনিটের দিকে চারটি মোটরসাইকেলে সাতজন শহরের ছয় রাস্তা মোড় হয়ে হরিপুর সেতু নিয়ে পদ্মার চরের দিকে চলে যায়। রাত ১১টার মধ্যে লাশের টুকরোগুলো পদ্মার চরে বালু চাপা দিয়ে যে যার মতো বাড়ি চলে যায়। তবে সবাই স্বাভাবিকভাবে শহরে চলাফেরা করতে থাকে। কেউ পালানোর চেষ্টা করেনি বলে পুলিশ জানিয়েছে।

থানায় জিডির সূত্র ধরে সজলকে থানায় ডেকে নেয় পুলিশ। এরপর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ চলে। কিন্তু বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সারাদিনেও সে কোন তথ্য জানায়নি। শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) সকালে সজল থানায় তার এক পরিচিত পুলিশ সদস্যকে মিলনকে হত্যার কথা জানায়। এরপর বিষয়টি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানতে পারেন। শুক্রবার অভিযান চালিয়ে চার ঘণ্টার মধ্যে সজীবসহ আরও চারজনকে শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে  গোয়েন্দা পুলিশ আটক করে থানায় নেয়। সজীব আটকের পর তার ফোনে বিভিন্ন সময়ে কয়েকজন নেতা ফোন করে। এসময় ফোনটি পুলিশের হেফাজতে ছিল। তবে আটকরা মিলনকে হত্যার কথা অস্বীকার করতে থাকে।

শুক্রবার রাতে সজীব কান্না করতে করতে একপর্যায়ে সব ঘটনা পুলিশকে জানায়। ভোরের দিকে লাশের টুকরা উদ্ধারে যায় অন্তত ৫০ সদস্যের পুলিশ টিম। মরদেহ গুমের পর লাশ টুকরো করতে ব্যবহৃত সামগ্রী বাধবাজার এলাকায় একটি পুকুরে ফেলে দেয় এবং মিলনের ব্যবহৃত মোবাইলফোনও জঙ্গলে ফেলে দেয়। সেই ফোন এখনও উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।

কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস ও মিডিয়া) পলাশ কান্তি নাথ বলেন, ঘটনায় জড়িত থাকায় এখন পর্যন্ত ১৩/১৪ জনের নাম পাওয়া গেছে। আরও অধিকতর যাচাই বাছাই চলছে। সব আসামিদের ধরা হবে। কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।

পুলিশ জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিরা সবাই একে অপরের পরিচিত। মিলন হাউজিং এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতো। একই এলাকায় আরেকটি বাসা ভাড়া নিয়ে সেখানে অফিস হিসেবে অনলাইনে কাজ করতেন।

শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:-  ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।