1. info@www.khulnarkhobor.com : khulnarkhobor :
বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫, ০৮:৩৪ পূর্বাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com    বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৪৭,আপার যশোর রোড (সঙ্গীতা হোটেল ভবন) ,খুলনা-৯১০০।ফোন:০১৭১০-২৪০৭৮৫,০১৭২১-৪২৮১৩৫। মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
খুলনার খবর
দিঘলিয়ায় পুলিশের হাতে আটক ব্যক্তিকে ছিনিয়ে নিলো তার সহযোগীরা তারেক রহমানের সহধর্মীনি ডাঃ জুবাইদা রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে খতমে কোরআন ও দোয়া অনুষ্ঠান নড়াইলে পুকুরের পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু লোহাগড়ায় বিধবা নারীকে ধর্ষণ, মামলা দায়ের লোহাগড়ায় ইয়াবাসহ মাদক কারবারি গ্রেফতার  যশোর বেনাপোলে সাংবাদিকের বাসায় দু:সাহসিক চুরি বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের মেডিক্যাল ক্যাম্পেইন যশোরে ফিল্মি স্টাইলে টাকা ছিনতাইয়ের নাটক, ৩২ লাখ টাকা সহ আটক ৭ আষাড়ের টানা বৃষ্টিতে ডুবলো খুলনা, চরম ভোগান্তিতে নগরবাসী লন্ডনের বৈঠক পছন্দ না হওয়ায় আলোচনায় বসেনি একটি দল – মির্জা ফখরুল ইরানের পাশে দাড়ালো আরো এক পারমাণবিক শক্তিধর দেশ ফেসবুকে থাকছে না কোন ‘ভিডিও’যা জানা গেল খুলনার সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা সাইফুলের অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধানে নেমেছে – দুদক যশোরে ছেলের ইটের আঘাতে মা হাসপাতালে যশোরের অভয়নগর কুয়েত প্রবাসী হাসান শেখ হত্যায় ৫ জন গ্রেপ্তার যশোরে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে পুলিশের এসআই সাময়িক বরখাস্ত নগরীতে দিনব্যাপী অ্যাডভান্স স্কিন ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত খুলনায় অস্ত্র ও ইয়াবাসহ আটক ছাত্রদল নেতা রাজু ও শামীমকে বহিষ্কার বৃষ্টি পড়লেই, খিচুড়ি খেতে মন চায়? বিলুপ্তির পথে বর্ষার ঐতিহ্য কদম ফুল: প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও সংস্কৃতির সংকটকাল

শুরু হয়েছে সুন্দরবনের দুবলার চরের শুঁটকি মৌসুম, ছুটছে জেলেরা

  • প্রকাশিত : সোমবার, ৪ নভেম্বর, ২০২৪
  • ১৭০ বার শেয়ার হয়েছে

অতনু চৌধুরী(রাজু)বাগেরহাট প্রতিনিধি || শুরু হয়েছে সুন্দরবনের দুবলার চরের শুঁটকি তৈরির মৌসুম। শুঁটকি পল্লীতে ফের শুরু হবে কর্মব্যস্ততা। জীবনের ঝুঁকি ও ঋণের বোঝা নিয়ে মৎস্য আহরণে সমুদ্রে যাত্রা করছে জেলারা। জেলেরা সমুদ্রে মৎস্য আহরণকে ঘিরে নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখছে । ঘুরে দাঁড়ানোর আশায় জীবনের ঝুকি নিয়ে চলেছে উপকূলের জেলে-মহাজনেরা। সাগরে যেতে যে যার মত প্রস্তুত করেছেন জাল, দড়ি, নৌকা-ট্রলার। কেউ কেউ গড়েছেন নতুন ট্রলার, আবার কেউ পুরাতন নৌকা মেরামত করে নিয়েছেন। প্রস্তুতি অনুযায়ী অনেকেই আগেভাগে রওনা দিচ্ছেন। অনেকেই আবার সাগরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়ে ইতোমধ্যে চলে এসেছে মোংলা পশুর নদীর পাড়ে।

সোমবার (০৪ নভেম্বর) সকালে সরজমিন ঘুরে দেখা যায়, দুবলার চরের উদ্দেশে রওনা হয়ে যাবেন জেলেরা। আগামী ৫ মাস তারা সেখানে থাকবেন। তৈরি করবেন বিভিন্ন জাতের মাছের শুঁটকি।

দুবলার চর বাংলাদেশ অংশের সুন্দরবনের দক্ষিণে, কটকার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং হিরণ পয়েন্টের দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত একটি দ্বীপ যা চর নামে হিন্দুধর্মের পূণ্যস্নান, রাসমেলা এবং হরিণের জন্য বহুল পরিচিত। কুঙ্গা ও মরা পশুর নদের মাঝে এটি একটি বিচ্ছিন্ন চর। এই চরের মোট আয়তন প্রায় ৮১ বর্গমাইল। আলোরকোল, হলদিখালি, কবরখালি, মাঝেরকিল্লা, অফিসকিল্লা, নারকেলবাড়িয়া, ছোট আমবাড়িয় এবং মেহের আলির চর নিয়ে দুবলার চর গঠিত।

দুবলার চরে তৈরি হয় জেলে গ্রাম। মাছ ধরার সঙ্গে চলে শুঁটকি শোকানোর কাজ। বর্ষা মৌসুমের ইলিশ শিকারের পর বহু জেলে ৫ থেকে সাড়ে ৫ মাসের জন্য সুদূর কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, বাগেরহাট, পিরোজপুর, খুলনা, সাতক্ষীরা থেকে ডেরা বেঁধে সাময়িক বসতি গড়ে তোলে সেখানে। মেহেরআলীর খাল, আলোরকোল, মাঝেরচর, অফিসকেল্লা, নারিকেলবাড়িয়া, মানিকখালী, ছাফরাখালী ও শ্যালারচর ইত্যাদি এলাকায় জেলে পল্লী স্থাপিত হয়। এই কমাস তারা মাছকে শুঁটকি বানাতে ব্যস্ত থাকেন। এখান থেকে শুঁটকি পাইকারী বাজারে মজুদ ও বিক্রয় করা হয়।

সুন্দরবনের পূর্ব বিভাগ থেকে মাছ সংগ্রহের অনুমতি সাপেক্ষে বহরদার ও জেলেরা দুবলার চরে প্রবেশ করে থাকেন। দুবলার চর থেকে সরকার নিয়মিত হারে রাজস্ব পেয়ে থাকে। প্রতি বছর বিএলসি বা বোট লাইসেন্স সার্টিফিকেট, ডিএফসি বা ডেইলি ফুয়েল (জ্বালানি কাঠ) কন্যাম্পশন ইত্যাদি প্রক্রিয়ায় বন বিভাগকে রাজস্ব প্রদান করে মৎস্য ব্যবসায়ীগণ সুন্দরবনে ঢোকার অনুমতি পান, এছাড়া আহরিত শুঁটকি মাছ পরিমাপ করে নিয়ে ফিরে আসার সময় মাছভেদে প্রদান করেন নির্ধারিত রাজস্ব।

শুধুমাত্র সুন্দরবনের উপর নির্ভরশীল হওয়ার কারণে ও নানা প্রতিকূলতায় ভাগ্যের চাকা ঘুরাতে পারেনি জেলে পরিবারগুলো। বরং দিন – দিন তাদের অবস্থার অবনতি ঘটেছে। ক্রমবর্ধমান ক্ষতির মুখে ইতোমধ্যে পূঁজি ও জাল-নৌকা হারিয়ে এ পেশা হারিয়েছেন অনেক জেলে।

এ বিষয়ে জেলেরা বলছেন, চড়া সুদে টাকা নিচ্ছেন সুদের কারবারিদের কাছ থেকে। কেউবা টাকা গ্রহণে এনজিও, বিভিন্ন ব্যাংক ও সমিতি থেকে ঋণ করছেন। ঋণ, সুদের বোঝার সঙ্গে এমন দুশ্চিন্তা মাথায় নিয়েই ৫ মাসের এক অনিশ্চিত জীবন শুরু করতে চলছেন তারা।

এ বিষয়ে বহদ্দার শুভংকর হালদার বলেন, প্রতি বছর আমরা বিভিন্ন ভাবে ঋণ করে সমুদ্রে যাই। এবছরও পাঁচ লক্ষ টাকা ঋন করেই সাগরে যাচ্ছি। সরকারি ভাবে আমরা তেমন কোন সাহায্য সহযোগীতা পাই না।

এ বিষয়ে তিনি আরও বলেন,সুন্দরবনে জলদস্যু-বনদস্যুর উৎপাত ও মুক্তিপণ আদায়’সহ আসাধু বনরক্ষীদের দৌরাত্ম্য দীর্ঘ দিন বন্ধ ছিলো এখন আছে কিনা তা জানিনা। তবে শুনেছি জলদস্যু-বনদস্যুর উৎপাত নাকি আবার বেড়েছে।

এ বিষয়ে নিতাই হালদার নামের এক জেলে বলেন,আমরা বনবিভাগের পাস নিয়েই সাগর পাড়ের দুবলার চরে রওনা হই। ধার দেনা করেই আমাদের যেতে হয় এ সাগরে। তবে অনেকে এবার সুদে টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় স্বর্ণের জিনিস রেখে টাকা আনতে হয়েছেন। দীর্ঘদিন সাগরে দস্যুদের উৎপাত না থাকলেও এবার নাকি দস্যুদের দেখা যাচ্ছে। ঝড়-জলোচ্ছাসের প্রাণহানী ও ক্ষয়ক্ষতির ঝুঁকি মাথায় নিয়েই যাত্রা শুরু করি আমরা হাজার – হাজার জেলেরা এ দুবলা চরে।

এ বিষয়ে জাতীয় মৎস্যজীবী সমিতির মোংলা শাখার সভাপতি বিদ্যুৎ মন্ডল বলেন,পাস পারমিট হাতে পাওয়ার পর জেলেরা গত রবিবার সন্ধ্যায় পরবর্তী থেকে সকল জেলেরা দুবলার চরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে। জেলেরা এখান থেকে সব ধরনের সরঞ্জাম নিয়েই গেছেন বা যাচ্ছেন।

এ বিষয়ে পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ নূরুল করিম বলেন, বনবিভাগের কাছ থেকে পাস (অনুমতিপত্র) নিয়ে নিজ-নিজ এলাকা থেকে রওনা হয়ে জেলেদেরকে সরাসরি যেতে হবে দুবলার চরে। চরে ঘর বাড়ি বা দোকান পাট তৈরী করার জন্য কোন সুন্দরবনের কোন গাছ কাঠতে পারবে না।

এ বিষয়ে তিনি আরও বলেন,গত শুঁটকির মৌসুমে দুবলার চর থেকে রাজস্ব আদায় হয়েছিল প্রায় সাড়ে ৬ কোটির মতো। এবারও আমাদের আশা আছে প্রায় সাড়ে ৬ থেকে ৭ কোটি টাকার মত রাজস্ব আদায়ের।

শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:-  ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।