ইমরুল ইসলাম ইমন, খুলনা প্রতিনিধি || বটিয়াঘাটায় ইজিবাইক চালকের গলা কাঁটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।শুক্রবার সকালে সংবাদ পেয়ে বটিয়াঘাটা থানা পুলিশ উপজেলার সদর ইউনিয়নের বারুইআবাদ কালভার্ট সংলগ্ন খেঁজুর গাছের নীচ থেকে মোঃ হাফিজুল ইসলাম (৫০) নামের এক ইজিবাইক চালকের মৃতদেহ উদ্ধার করে।
ভিকটিম নিহতের বাড়ি খুলনা মহানগরীর খালিশপুর এলাকায়। সে ওই এলাকার মৃতঃ খাদেমুল ইসলাম’র ছেলে। এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ভিকটিম একজন ইজিবাইক চালক। বটিয়াঘাটা গাওঘরা সড়কের বটিয়াঘাটা কালভার্ট সংলগ্ন রাস্তার ডান পাশে স্বরজিত রায়ের মৎস্য ঘেরের দক্ষিণ পশ্চিম কোনে অজ্ঞাত দুষ্কৃতিকারীরা ইজিবাইক চালককে গলা কেঁটে হত্যা করে লাশ ফেলে রেখে যায়। সন্ত্রাসীরা তাকে হত্যার পর তার ইজিবাইক ছিনতাই করে নিয়ে যায় ।
বটিয়াঘাটা থানার ওসি( তদন্ত) মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম বলেন, হত্যার ঘটনায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। যার নং ৩৭১। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মেডিকেলে প্রেরণ করা হয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।অপরদিকে গত বৃহষ্পতিবার গোধূলি লগ্নে উপজেলার খুলনা- চালনা মহাসড়কের মল্লিকের মোড় এলাকায় চক্রাখালীর শিবানী টিকাদার নামে এক মহিলার গলা থেকে একটি স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নিয়ে মোটরসাইকেল যোগে পালিয়ে যায় ছিনতাইকারীরা ।
সে ওই এলাকার সার্ভেয়ার বিশ্বজিৎ টিকাদার’র স্ত্রী । এর এক সপ্তাহের মধ্যে মল্লিকের মোড় সংলগ্ন খ্রীষ্টান চার্চের সামনে কালভার্টের কাছ থেকে অবঃ শিক্ষক ধীরেন্দ্রনাথ বিশ্বাসের স্ত্রীর গলা থেকে স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নিয়ে একই কায়দায় মোটরসাইকেল যোগে পালিয়ে যায় ছিনতাইকারীরা । তার এক সপ্তাহ পূর্বে উপজেলার ভাদগাতী সার্বজনীন গোবিন্দ মন্দিরে সংঘবদ্ধ একটি চোরচক্র গভীর রাতে মন্দিরে চুরি সংঘটিত করে পালিয়ে যায়।সম্প্রতি বটিয়াঘাটা উপজেলার চুরি-ছিনতাই বেড়ে যাওয়ায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি দেখা দিয়েছে ।
যে কারণে সাধারণ মানুষের জানমাল রক্ষায় অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে । সচেতন মহলের অভিযোগ থানার খোদ ওসি জন সাধারণের জানমাল রক্ষায় মনোনিবেশ না করে, নাশকতা ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত মামলা দায়ের এবং ধরপাকড় নিয়ে বেশি ব্যস্ত থাকায় অপরাধিরা একের পর এক সুযোগটা কাজে লাগিয়ে অপরাধ মূলক কর্মকান্ড ঘটিয়ে চলেছে। শুধু তাই নয়,গত কয়েক দিন ধরে প্রকাশ্য দিবালোকে উপজেলা বাজার সদর সহ আশপাশ এলাকায় ২/৩ টি মোটরসাইকেল, চার্জার ভ্যান ও ইজিবাইক চুরি সংঘটিত হলেও একটিও চুরি কিংবা ছিনতাইয়ের সাথে জড়িত কোন অপরাধীকে আটক করতে পারেনি থানা পুলিশ। কত মাসে উপজেলা সুন্দরমহল এলাকা থেকে দুইটি গরু চুরি হয়। চোর সিন্ডিকেটের একজনকে আটক হলেও বাকিরা রয়েছে ধরা শোয়ার বাইরে। সব মিলিয়ে উপজেলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নাজুক অবস্থা ধারন করেছে ।
অন্যদিকে ধর পাকড় ও গ্রেফতার এঁড়াতে এলাকার অধিকাংশ বাড়িতে পুরুষ শূণ্য থাকায় বসত গৃহে গৃহবধূ ও মেয়েরা রয়েছে শংঙ্কার ভিতর। অতিস্বত্বর মানুষের জান-মাল রক্ষায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উর্ধতন কতৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী ।
এ ব্যাপারে থানার ওসি মোস্তফা খায়রুল বাশার’র সরকারি ব্যবহৃত মুঠোফোনে ফোন দিলে তিনি রিসিভ না করায় তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।