নড়াইল প্রতিনিধি|| নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার ইতনা ইউনিয়নে মধুমতি নদী সংলগ্ন চরের বিরোধপূর্ণ জমি দখলকে কেন্দ্র করে বিএনপি নেতা কুমারডাঙ্গা গ্রামের পলাশ শেখের লোকজনের সাথে আওয়ামীলীগ নেতা ডিগ্রীচর গ্রামের আবুল শেখ ওরফে আবু পক্ষের লোকজনের মধ্যে সংর্ষের আশংঙ্খা বিরাজ করছে।
এ ঘটনায় উভয় পক্ষের লোকজন পরস্পর বিরোধী বক্তব্য দিয়েছেন। জানা গেছে, উপজেলার ইতনা ইউনিয়নের ১২৯নং বারপাড়া মৌজার ও ১২৭ নং দৌলতপুর মৌজার বিভিন্ন দাগে মোট ৪০ বিঘা সম্পত্তি নিয়ে কুমারডাঙ্গা গ্রামের বিএনপি নেতা পলাশ শেখ, মোহাসিন শেখ, বাবু রাম সরকারসহ ১২ জন কবলা দলীল মুলে আব্দুল হাই মিনা ও মকছেদ শেখের কাছ থেকে খরিদ করে ভোগ দখল করে আসছিল। অপর দিকে ডিগ্রীরচর গ্রামের আওয়ামীলীগ নেতা আবুল হোসেন শেখ ওরফে আবু শেখ, বজলার রহমান (লাল মিয়া), ইউপি চেয়ারম্যান সিহানুক শেখ বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে উক্ত জমি খরিদ করে মর্মে দাবী করেন। এ নিয়ে এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তি বর্গদের নিয়ে একাধিকবার শালিশ বৈঠকে উভয় পক্ষকে আধাআদি সম্পত্তি ভোগ দখল করার সিদ্ধান্ত দেয়।
কিন্ত বিগত আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামী লীগ নেতা আবু শেখ ও সিহানুক শেখ, আদনান শেখ ক্ষমতার বলে পুরা জমি জোর দখল করে নেয় এবং ঐ জমিতে নদী ভাংঙ্গন কবলিত লতিফ শেখ, জাহাঙ্গীর, ছলেমান, রহিম, বাকেলাসহ ১৫টি পরিবারের কাছ থেকে টাকা নিয়ে কোন প্রকার দলীল-কাগজপত্র ছাড়া বসবাস করতে দেয়। ইতিমধ্যে তারা উক্ত জমিতে বাড়ীঘর নির্মান করে বসবাস করে আসছে।
এদিকে আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পর বিএনপির ইউনিয়ন সভাপতি পলাশ শেখ (পলাশ মেম্বার) গং উক্ত জমি দখলে নিয়ে চাষবাস করে ভোগ দখল করছে। তাদের বৈধ কাগজপত্র আছে দাবী করে পলাশ শেখ বলেন, ক্ষমতার বলে আওয়ামীলীগ আমলে জোর করে আবু শেখ, সিহানুক চেয়ারম্যান আমাদের জমি চাষ করতো। এখন আমরা এই জমি চাষ করছি, বিভিন্ন ধরনের ফসল উৎপাদন করে মুল মালিক আমরা ১২ জন ভোগ দখল করছি। আমিসহ প্রকৃত জমির মালিকদের বিরুদ্ধে বিভিন্নি মাধ্যমে গাছ কাটা, মাটি কাটা, ফসল নিয়ে যাওয়ার যে সংবাদ প্রচার করা হচ্ছে তা সত্য নয়।আমার জমি থেকে মাটি কেটে অন্যত্র ভরাট করছি।
গাছের মালিক রহিম মোল্যা ও বাকেলা খানম জানান, তাদের বাড়ীর সীমানায় রোপনকৃত গাছ তারা পারিবারিক প্রয়োজনে বিক্রি করেছে। আবু শেখ উক্ত জমি তাদের দাবী করে বলেন, পলাশ শেখ জোর করে জমির মাটি, ফসল ও গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন।
এ ব্যাপারে লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশিকুর রহমান জানান, ইতনা ইউনিয়নের বারপাড়া মৌজার কয়েকটি দাগের প্রায় ৪০ বিঘা চরের জমি নিয়ে ওই এলাকার দুই পক্ষের মধ্যে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। এই জমি নিয়ে দুই পক্ষকে শান্ত থাকতে বলেছি। পুলিশ বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেকভাল করছে।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।