মোঃফয়সাল হোসেন, কয়রা প্রতিনিধি||কয়রা থানা পুলিশ একটি দুঃসাহসিক অভিযানে চুরির ঘটনার রহস্য উন্মোচন করেছে। অত্যাধুনিক সিসিটিভি ফুটেজ এবং আসামীর স্বীকারোক্তির ওপর ভিত্তি করে শুধু চুরি যাওয়া মালামালই উদ্ধার হয়নি, বরং তিন দুর্ধর্ষ অপরাধীও পুলিশের জালে ধরা পড়েছে। কয়রা পুলিশের এই সাফল্য এলাকায় ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে।
ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট শাখায় দুঃসাহসিক চুরি ও মমিনুরের স্বীকারোক্তি বৃহস্পতিবার ২২ মে, কয়রা থানায় ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট শাখায় সংঘটিত দুঃসাহসিক চুরির ঘটনায় মামলা নং-১২, ধারা- ৪৫৭/৩৮০ পেনাল কোড ১৮৬০-এর তদন্তে নামে পুলিশ। এই মামলার সূত্র ধরে সন্দেহভাজন হিসেবে ইব্রাহীম হাওলাদারের ছেলে মো. মমিনুর হাওলাদার (৩২)-কে চিহ্নিত করা হয়।
সিসিটিভি ফুটেজ পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিশ্লেষণ করে পুলিশ মমিনুরকে গ্রেফতার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদেই মমিনুর চুরির কথা স্বীকার করে।
তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, তার নিজের বসতবাড়ীর শয়ন কক্ষের খাটের নিচ থেকে চুরি যাওয়া ৩টি কম্পিউটার সিপিইউ এবং নগদ ১১,৩৪০/- টাকা উদ্ধার করা হয়। তবে, এই চুরির সঙ্গে জড়িত আরও কিছু পলাতক আসামী এবং বাকি টাকা উদ্ধারের জন্য পুলিশের বিশেষ অভিযান পুরোদমে চলছে।
আরও দুই আসামী গ্রেফতার একই অভিযানে কয়রা থানা পুলিশ আরও দুটি গুরুত্বপূর্ণ মামলার আসামীদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে।
সিআর ৪৭০/২৩ এর গ্রেফতারী পরোয়ানাভুক্ত আসামী কবির মোল্যার ছেলে আব্দুর রব এবং কয়রা থানার মামলা নং-৫/১৫৫ (তাং- ১৭/১২/২৪ ইং, ধারা- ১৪৩/৪৪৭/৩২৩/৩২৪/৩২৫/৩২৬/৩০৭/৩৫৪/৩৭৯/৫০৬ পেনাল কোড ১৮৬০) এর এজাহার নামীয় আসামী মৃত কফিল উদ্দীন সানার ছেলে ফারুক সানা (৩৮)-কেও গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃত সকলকে বর্তমানে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। কয়রা থানা পুলিশ দৃঢ়তার সাথে জানিয়েছে, অপরাধ দমনে তাদের জিরো টলারেন্স নীতি অব্যাহত থাকবে এবং এলাকার শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে তারা বদ্ধপরিকর।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।