খুলনার খবর ||অপরাধ ও মাদক প্রত্যয় দুটি সন্দেহাতীতভাবে একে অন্যের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত উল্লেখ করে মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও খুলনা-২ আসনের ধানের শীষের মনোনয়ন প্রাত্যাশী শফিকুল আলম তুহিন বলেন, মাদকদ্রব্য সমাজ, রাষ্ট্র ও ব্যক্তির জন্য অন্যতম সমস্যা হয়ে দাড়িয়েছে।
মাদকের অবৈধ ব্যবহার দিন দিন আমাদের প্রজন্মকে গ্রাস করে নিচ্ছে। ধ্বংস করছে আমাদের সন্তানদের মেধা, ঘটাচ্ছে সামাজিক অবক্ষয়। সীমান্ত দিয়ে এদেশে চোরাকারবারিরা মাদক আমদানি করছে। এতে করে বাংলাদেশে দিন দিন মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার বেড়েই চলেছে।
মাদক কারবারিদের প্রধান টার্গেট হয়ে ভয়াবহ মরণ নেশার নির্মম শিকারে পরিণত হচ্ছে এদেশের তরুণ ও যুবসমাজ। মাদকমুক্ত সমাজ গড়তে এবং সমাজে অপরাধের হার কমিয়ে আনতে সমষ্টিগত পদক্ষেপ গ্রহন করতে হবে।
শুক্রবার (২০ জুন) পুর্ববানিয়াখামার জামে মসজিদে পবিত্র জুম্মার নামাজ আদায়পুর্ব মুসল্লীদের উদ্দেশ্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, মাদকাসক্তির কারণে সব জনপদে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাস বেড়ে গিয়ে মানুষের জান-মাল ও নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে।
সমাজের বেশির ভাগ অপরাধের জন্য মুখ্যভাবে দায়ী এই মাদকতা। এ জন্য রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘মদ পান কোরো না। কেননা তা সব অপকর্মের চাবিকাঠি।’
মাদকমুক্ত সমাজ গঠন করতে চাইলে অবশ্যই ধর্মীয় অনুশাসন অনুসরণ করতে হবে। যেসব বস্তু সেবনে উম্মত্ততা সৃষ্টি হয় অথবা বোধশক্তির ওপর ক্ষতিকর প্রভাব বিস্তার করে, সেগুলো মাদকদ্রব্য।
ফেব্রুয়ারিতে সংসদ নির্বাচনের ঘোষণা অনেকের পছন্দ হয়নি উল্লেখ করে তুহিন বলেন নির্বাচন নির্বাচন হলেই বিশেষ একটি দলের বিপদ। আমাদের দলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। তাঁর কাছে আমরা একটা জিনিসই শিখেছি-সেটা হচ্ছে ব্যক্তির চেয়ে দল বড়, দলের চেয়ে দেশ বড়।
আমাদের নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ওই একই শিক্ষা দিয়েছেন। এখন আমাদের তরুণ নেতা যিনি আমাদের স্বপ্ন দেখিয়েছেন, সফল হয়েছেন ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে বিদায় করতে। সেই নেতা তারেক রহমান আমাদের স্বপ্ন দেখাচ্ছেন নতুন স্ট্রাকচারে নতুন বাংলাদেশ গড়ার।
এই স্বপ্নটা আমাদের সবাইকে মাথায় রাখতে হবে যে, আমরা একটা নতুন বাংলাদেশ চাই, পরিবর্তন চাই। লন্ডনের বৈঠককে কেন্দ্র করে শফিকুল আলম তুহিন বলেন, নির্বাচনের তারিখ ও সময় নিয়ে যখন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সরকারের দূরত্ব সৃষ্টি হচ্ছিল তখনই এই বৈঠক দেশের মানুষকে স্বস্তি দিয়েছে।
এই বৈঠক একটি ঐতিহাসিক ঘটনা। আমরা বলেছিলাম, ডিসেম্বরে নির্বাচন চাই। অন্যদিকে ড. ইউনূস এপ্রিলে নির্বাচনের ঘোষণা দিলেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আলোচনার মাধ্যমে সেটি ফেব্রুয়ারিতে নিয়ে এলেন, তিনি ডিসেম্বরে অনড় ছিলেন না। এটি একজন দেশনায়কের গুণ। দেশ ও জাতির জন্য সবাইকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করেন তিনি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সদর থানা বিএনপির সভাপতি কেএম হুমায়ুন কবীর, দৈনিক সময়ের খবর পত্রিকার সম্পাদক তরিকুল ইসলাম, মাসুদুল হক হারুনসহ বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দসহ এলাকার মুসল্লিরা
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।