1. info@www.khulnarkhobor.com : khulnarkhobor :
মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫, ০৪:৩৬ অপরাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com    বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৪৭,আপার যশোর রোড (সঙ্গীতা হোটেল ভবন) ,খুলনা-৯১০০।ফোন:০১৭১০-২৪০৭৮৫,০১৭২১-৪২৮১৩৫। মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
খুলনার খবর
আজ থেকে দেশে চালু হচ্ছে গুগল পে, যেসব সুবিধা মিলবে গ্রাহকের খালিশপুর ক্লিনিকে ভুল চিকিৎসায় রোগী’র মৃত্যু’র অভিযোগ যশোরের ‘আড্ডাখানা’ রেস্তোরাঁয় পঁচা ও বাসি খাবার বিক্রি, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা সাতক্ষীরার মরিচ্চাপ নদীর ওপর নির্মিত ৭টি ব্রিজ ভেঙে পড়েছে , ভাঙন ঝুঁকিতে আরও কয়েকটি নগরীর পাঁচ থানায় মহিলা দলের আহবায়ক কমিটি গঠন ঢাকা থেকে ৪ দেশের ফ্লাইট বন্ধ ঘোষণা রপ্তানি হচ্ছে না রাজশাহীর আম, লোকসানে চাষি-ব্যবসায়ীরা মাদকের ছোবল থেকে বাঁচাতে যুব সমাজকে ক্রীড়ামুখী করতে হবে: বকুল দৌলতপুরে জুট প্রেস ইউনিটের আয়োজনে মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত মংলায় দুর্বৃত্তের গুলিতে আসিফ নাঈম নামে একজন গুরুতর আহত জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপির) সদস্যসচিব আখতারকে লক্ষ্য করে ককটেল বিস্ফোরণ, আহত ৪ খুলনায় ইজিবাইক চালক হত্যাকাণ্ডে জড়িত ৫ জন গ্রেফতার, লুণ্ঠিত ইজিবাইক ও মোবাইল উদ্ধার জিয়া হলের স্থানে নান্দনিক স্থাপনা তৈরি করার লক্ষ্য কেসিসির মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হলেন কাটেঙ্গা গ্রামের কৃতি সন্তান, সাবেক ছাত্রনেতা, লন্ডন প্রবাসী আরিফ বিল্লাহ তেরখাদায় পানতিতা-কাটেঙ্গা টেকনিক্যাল এন্ড বিএম কলেজে এইচ এস সি পরীক্ষার্থীদের বিদায় সংবর্ধনা লোহাগড়া পৌর শহরে নির্দিষ্ট ডাম্পিং ব্যবস্থা না থাকায় চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে এলাকাবাসী আল-হেরা কলেজে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন কার্ড ও প্রবেশপত্র বিতরণ ও সোনালী বন্ধন এর মোড়ক উন্মোচন লোহাগড়ায় তিলক্ষেত থেকে পচা-গলা অবস্থায় মহিলার লাশ উদ্ধার মানব পাচার প্রতিরোধে যশোরে কাউন্টার ট্রাফিকিং নেটওয়ার্ক গঠন বাবা হারালেন পিয়া জান্নাতুল

সাতক্ষীরার মরিচ্চাপ নদীর ওপর নির্মিত ৭টি ব্রিজ ভেঙে পড়েছে , ভাঙন ঝুঁকিতে আরও কয়েকটি

  • প্রকাশিত : মঙ্গলবার, ২৪ জুন, ২০২৫
  • ১৯ বার শেয়ার হয়েছে

খুলনার খবর ||ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের সমন্বয়হীনতায় সাতক্ষীরার মরিচ্চাপ নদীর ওপর নির্মিত অন্তত সাতটি ব্রিজ ভেঙে পড়েছে নদীতে। ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে আরও কয়েকটি।

ব্রিজ নির্মাণের সময় অনুসরণ করা হয়নি সিএস রেকর্ড। নেওয়া হয়নি পানি উন্নয়ন বোর্ডের মতামতও। যে কারণে নির্মাণের কয়েক বছর না যেতেই এসব ব্রিজ ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে।

এদিকে মাত্র এক থেকে দেড় মাসের ব্যবধানে ব্রিজ সাতটি ভেঙে পড়ায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে সাতক্ষীরা সদর, দেবহাটা ও আশাশুনি উপজেলার অন্তত ৩০টি গ্রামের জনসাধারণের। জেলা সদরে আসতে মাত্র ৪-১০ কিলোমিটার রাস্তার পরিবর্তে তাদের পাড়ি দিতে হচ্ছে ২০ কিলোমিটারেরও বেশি। এতে দুর্ভোগের পাশাপাশি সময় ও খরচও বেড়েছে স্থানীয়দের।

এতে করে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন ওই এলাকার মানুষ। ভেঙে পড়া ব্রিজগুলো হলো, বাকড়া ব্রিজ, টিকেট ব্রিজ, হিজলডাঙ্গা ব্রিজ, চরগোবিন্দপুর ব্রিজ, শিমুলবাড়িয়া ব্রিজ, ডাড়ার খাল ব্রিজ ও এল­ারচর ব্রিজ। ২০১৪ সাল থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে নির্মিত ব্রিজগুলোর দৈর্ঘ্য ১০ মিটার থেকে ১৫ মিটারের মধ্যে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় কোনটি ভেঙে নদীর মাঝখানে পড়ে আছে, কোনটির এক পাশ পাড়ে ঝুলছে, তো অপর পাশ ভেঙে নদীতে পড়েছে। কোনটির একপাশে বাঁশ বেঁধে পার হওয়ার চেষ্টা করছেন কেউ কেউ, কোনটির উপর চলাচলের জন্য তৈরি করা হয়েছে বাঁশের সাকো। ব্রিজগুলো ভেঙে পড়ার কারণ অনুসন্ধান করে জানা গেছে, ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় যখন এসব ব্রিজ নির্মাণ করে তখন ভরাট হয়ে সরু খালে পরিণত হয়েছিল মরিচ্চাপ নদী। এরপর ২০২১-২২ ও ২০২২-২৩ অর্থবছরে পানি উন্নয়ন বোর্ড মরিচ্চাপ নদী পুনঃখননের উদ্যোগ নেয়। এতে নদী ফিরে পায় পুরনো রূপ, বেড়ে যায় প্রস্থ। চাপ বাড়ে জোয়ারের পানিরও। এতে দুই পাশের মাটি সরে গিয়ে ব্রিজগুলো ভেঙে পড়ে।

চরগোবিন্দপুর এলাকার শুকুর আলী সরদার বলেন, মরিচ্চাপ নদীর ওপর ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছিল তখন নদীতে জোয়ার-ভাটা হতো না। নদী খননের পর এখন নিয়মিত জোয়ার ভাটা হচ্ছে। নদীর তুলনায় ব্রিজগুলো এতো ছোট যে, পানির তোড়ে ব্রিজের এপ্রোচ সড়ক ভেঙে পড়েছে। শুধু চরগোবিন্দপুর ব্রিজই নয়, এই নদীর সব ব্রিজের একই অবস্থা।

ডাড়ার খাল এলাকার আব্দুল মাজেদ জানান, ব্রিজগুলো ভেঙে পড়ায় হাটবাজারসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাজে জেলা সদরে যেতে তাদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সময় ও অর্থ ব্যয় হচ্ছে কয়েকগুণ বেশি। সময়মতো স্কুল-কলেজে যেতে পারছে না তাদের ছেলে-মেয়েরা। একই সাথে ঘের অধ্যুষিত হওয়ায় উৎপাদিত মাছ বাজারে নিয়ে যেতে পারছেন না তারা।

এ প্রসঙ্গে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মুজিবুর রহমান বলেন স্থান ভেদে মরিচ্চাপ নদীর প্রস্থ ৫০-৭০ মিটার। কিন্তু এ নদীর উপর নির্মিত ব্রিজগুলো সর্বোচ্চ ২০ মিটার হতে পারে। এতো বড় নদীর উপর এমন ছোট ছোট ব্রিজ টিকবে কিভাবে?

তিনি বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতাধীন নদী বা খালে কোনো স্থাপনা নির্মাণ করলে হলে এনওসি নিতে হয়, যা এসব ব্রিজ নির্মাণের ক্ষেত্রে নেওয়া হয়নি। ব্রিজগুলো যখন নির্মাণ হয়েছে তখন মরিচ্চাপ নদী ছিল সরু খালের মতো। আমরা নদীর সীমানা অনুযায়ী খনন করেছি। কিন্তু ব্রিজগুলো নদীর সীমানা অনুযায়ী নির্মাণ করা হয়নি।

পাউবোর এই কর্মকর্তার বক্তব্য মিলে যায় একই নদীর উপর এলজিইডি নির্মিত ব্যাংদহা ব্রিজের সাথে। বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্বব্যাংক  অর্থায়নে ২০২২ সালে নির্মিত এই ব্রিজের দৈর্ঘ্য ৬০ মিটার। নদী খননের পর অন্যান্য ব্রিজ ভেঙে পড়লেও ব্যাংদহা ব্রিজ ঠাঁই দাঁড়িয়ে আছে।
এ বিষয়ে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শাহিনুল ইসলাম বলেন ব্রিজগুলো ভেঙে পড়ার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে উপজেলা ও জেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোয়েব আহমেদ বলেন, ধসে পড়া সাতটি ব্রিজের মধ্যে চারটি এলজিইডির মাধ্যমে নির্মাণের জন্য এরই মধ্যে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।

শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:-  ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।