খুলনার খবর ||খুলনা সদর সাব রেজিষ্ট্রি অফিসের ছাদের একাংশ পুনরায় ধ্বসে পড়েছে। দুপুরে হঠ্যাৎ বিকট শব্দে ছাদ ধ্বসে পরলে রেজিষ্ট্রি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সেবা প্রত্যাশিদের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পরে। তবে ছাদ ধসের ঘটনায় কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
প্রত্যক্শদর্শীরা জানান, বেলা একটার দিকে সদর সাব রেজিষ্ট্রি অফিসের ভলিউম কক্ষের ছাদ ধ্বসে পড়ে। প্রায় দেড়শ’ বছরের পুরাতন, জরাজীর্ন ভবনটি অনেক আগেই ব্যবহারের অনুপযোগি হলেও তা রক্ষণাবেক্ষণ ও ভলিউম শাখাটি অন্যত্র স্খথান্তরের কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি। সেবাগ্রহিতারা জানান, বৃষ্টির পানিতে গোটা ভলিউম শাখাটি পানিতে টুইটম্বুর হয়ে যায়।
চুন আর সুরকি দিয়ে বিট্রিশ আমলের তৈরি খুলনা সদর সাব রেজিস্ট্রি কার্যালয়ের একতলা ভবন। রিপেয়ারের অভাবে ভবনের বিভিন্ন অংশের প্লাস্টার খসে পড়ছে। এর আগে ওই ভবনের প্রশাসনিক কার্যালয়টির ছাদের প্লাস্টার সম্পূর্ণ চটে পড়ে।
তখন কয়েকজন গুরুতর আহত হয়। পরবর্তীতে সেখানকার কর্মকর্তারা বাঁশ এবং নেটের ছাউনি দিয়ে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। নিরাপত্তাহীন ভবন জেনেও সেখানকার কর্মকর্তারা জীবন এবং জীবিকার তাগিদে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।
সর্বশেষ গত কয়েকদিনের অতিবৃষ্টিতে ওই ভবনের ছাদের মাঝ অংশ ভেঙ্গে পড়ে। তবে কোন হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও বিপত্তি বেঁধে বৃষ্টিতে সেখাকার কয়েক শত বই পানিতে ভিজে নষ্ট হয়ে গেছে। তা পুনরুদ্ধারে কর্মকর্তাদের চেষ্টা চলছে। তবে সেখানকার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন এভাবে আর কতক্ষণ। সবকিছুরই উন্নয়ন হয়েছে কিন্তু উন্নয়ন হলো না খুলনার এই প্রাচীন ভবনটি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, খুলনা সিটি কর্পোরেশনের পাশে রয়েছে সদর সাব রোজিস্ট্রির কার্যালয়। এটি খুলনার প্রাচীন একটি ভবন। ভবনটিতে রয়েছে খুলনা এবং বাগেরহাট জেলার জমির মূল্যবান কাগজপত্র। সেখান থেকে মানুষ জমি বিক্রি এবং কাগজ উঠানোর কাজ করেন। গত কয়েক বছর সংস্কারের অভাবে ভবনটির বিভিন্ন অংশের দেয়ালের প্লাস্টার খসে পড়ছে। সবশেষ গত দু’বছর আগে ওই ভবনের প্রশাসনিক কার্যালয়ের পুরো ছাদের প্লাস্টারটি খসে পড়ে গিয়ে কয়েকজন আহত হন।
জানতে চাইলে খুলনা সদর রেজিস্ট্রি অফিসের রেকর্ড কিপার মাহবুবুর রহমান জানান, ভবনটির বিভিন্ন অংশ থেকে পানি পড়ছে। প্লাস্টার খসে খসে পড়ছে। গত কয়েকদিনের অতিবৃষ্টিতে মঙ্গলবার ভোরের দিকে ভবনটির মাঝখানের ছাদের একাংশ পড়ে যায়। ফলে বৃষ্টিতে সেখানে রাখা প্রায় শতখানেক বই পানিতে ভিজে গেছে।
বৃষ্টির পানি না আসতে পারে সেজন্য ছাদের ওপর পলিথিন দিয়ে চারজন শ্রমিকের মাধ্যমে রেকর্ড রুম পরিস্কার করা হচ্ছে। আর পানিতে যে ভলিয়ম বইগুলো ভিজে গিয়েছে তা সংরক্ষণের চেষ্টা চলছে ।
<রক্ষাবেক্ষণের অভাব ও বৃষ্টির কারণে প্রযোজনীয় দলিল ও কাগজপত্র নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এই অচলাবস্থা নিরসন না হলে অচিরেই সব মূল্যবান কাগজপত্র একেবারে বিনষ্ট হওয়ার শংকা রয়েছে
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।